সব ভিসা বাতিলের সময়সীমা ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত,তবে ছাড় দেওয়া হয়েছে কূটনৈতিক, অফিশিয়াল, রাষ্ট্রপুঞ্জ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা-সহ অন্যান্য কয়েকটি ভিসার ক্ষেত্রে।১৩ মার্চ গ্রিনিচ সময় অনুসারে রাত ১২টা থেকে বিমানবন্দরগুলিতে এই নিয়ম কার্যকরী হবে।আগে এই ভিসা বাতিল করা হয়েছিল শুধুমাত্র করোনা আক্রান্ত দেশগুলির ক্ষেত্রে।তবে অন্য কোনও দেশের ভিসা নিয়ে যাঁরা ভারতে আছেন,তাঁদের ভিসার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই।তবে যাঁরা জরুরি প্রয়োজনে ভারতে আসতে চান,তাঁরা সংশ্লিষ্ট দেশের ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে নুতন ভিসার আবেদন করতে পারবেন।আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত এই নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে।
এদিকে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর লোকসভায় জানিয়েছেন,ইরানের বিভিন্ন জায়গায় বাস করছেন কমপক্ষে ৬ হাজার ভারতীয়।রুটি-রুজি টানে অধিকাংশ মানুষ দীর্ঘমেয়াদি ভিসায় সেখানে রয়েছেন।তাঁর কথায়,বিদেশ ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা সবচেয়ে জরুরি। বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, লাদাখ, জম্মু-কাশ্মীর,মহারাষ্ট্র থেকে ১১০০ জন ইরানে গিয়েছেন।শুধুমাত্র জম্মু-কাশ্মীর থেকেই ৩০০ পড়ুয়া সেখানে রয়েছে।শ্রীনগরে গিয়ে পড়ুয়াদের পরিবারের সদস্যেদের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর।বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত করানো এবং যথাপোযুক্ত ব্যবস্থার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ওই পড়ুয়াদের পরিবারগুলিকে।
অন্যদিকে,করোনাকে বিশ্ব মহামারী তকমা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।সব রকমের পদক্ষেপ করা সত্ত্বেও ভারতের আক্রান্তর সংখ্যা ৭৩ জন।বৃদ্ধির হার দ্রুত হচ্ছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন,এই পরিস্থিতি ব্যতিক্রম।তাই ব্যতিক্রমী কাজ করা প্রয়োজন।ভিসা বাতিলের পাশাপাশি করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে অন্য দেশ থেকে আসা ভারতীয়-সহ বিদেশিদের জন্য আগের নির্দেশিকা বাতিল করে নতুন নির্দেশিকা জারি হয়েছে।কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের ওই নির্দেশিকায় নির্দিষ্ট কিছু দেশের ক্ষেত্রে কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।আগে শুধুমাত্র সন্দেহ হলে তবেই আলাদা করে রাখা হচ্ছিল।নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে,১৫ ফেব্রুয়ারির পরে চিন, ইটালি, ইরান,কোরিয়া, ফ্রান্স,স্পেন, জার্মানিতে গিয়েছেন এমন ভারতীয় বা বিদেশি নাগরিকদের বাধ্যতামূলক ভাবে ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক।১৩ ফেব্রুয়ারি থেকেই এই নিয়ম কার্যকরী হচ্ছে।