বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের সবশেষ বিফ্রিংয়ে বলা হয়, আম্ফানের প্রভাবে বৃহস্পতিবার সারা দিন বৃষ্টি ও বাতাস অব্যাহত থাকবে। আগামীকাল শুক্রবার থেকে দেশের অবস্থা স্বাভাবিক হবে। বর্তমানে নিম্নচাপটির কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার।
ব্রিফিংয়ে আরো জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান প্রথমে সুপার সাইক্লোন ছিল, এরপর সাইক্লোন এবং সবশেষ এটি স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি এখন ভারত থেকে রাজশাহী ও পাবনা হয়ে বাংলাদেশ অতিক্রম করছে।
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের দুর্যোগে মধ্যে দেশের সাত জেলায় অন্তত ১২ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা।
ঝড়ের মধ্যে প্রবল বাতাসে বহু গাছপালা ভেঙে পড়ে, ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েন উপকূলের ১০ লাখ গ্রাহক।
এ পর্যন্ত যাদের মৃত্যুর খবর এসেছে তাদের বেশিরভাগই ঝড়ে গাছ বা ঘর চাপা পড়ে মারা গেছেন।
এর মধ্যে পিরোজপুর ও যাশোরে তিনজন করে, পটুয়াখালীতে দুজন এবং ঝিনাইদহে, সাতক্ষীরা, ভোলা ও বরগুনায় একজন।