কারিগরি ত্রুটির কারনে অস্ট্রেলিয়ার হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের আগামী সপ্তাহে আবারও NAPLAN টেস্ট দিতে হবে। টিচার্স ইউনিয়ন একে ন্যক্কারজনক ঘটনা বলে উল্লেখ করে বলেছে পুনরায় পরীক্ষা নেয়া হবে সম্পদের অপচয়।
সিডনির সেন্ট ইগ্নাসিয়াস রিভারভিউ স্কুলের প্রায় ৬০০ শিক্ষার্থী আবার পরীক্ষা দিচ্ছে। এই স্কুলের প্রিন্সিপাল পল হাইন বলেন, এর ফলে তাদের পাঠক্রমের ধারাবাহিকতা বিঘ্নিত হবে। তিনি বলেন, স্কুলের এক্সকারসনসহ অন্যান্য কার্যক্রম কাটছাঁট করতে হবে।
এ পর্যন্ত নিউ সাউথ ওয়েলসের ৪০০, ভিক্টোরিয়ার ১০০, কুইন্সল্যান্ডের ৮০, এবং সাউথ অস্ট্রেলিয়ার ৫১টি স্কুল তাদের কারিগরি ত্রুটির বিষয় নিশ্চিত করেছে। অন্যান্য রাজ্যগুলোতে এখনও এই সংখ্যা নিশ্চিত হয়নি।
এদিকে অস্ট্রেলিয়া টিচার্স ইউনিয়নের ডেপুটি প্রেসিডেন্ট ম্যরি মুলহেরন পুনরায় পরীক্ষা নেয়ার বিপক্ষে। তিনি বলেন, এবারের টেস্ট পুরো ব্যর্থ হয়েছে এবং এই টেস্টকে অনলাইনে নিয়ে যাওয়ার পেছনে ব্যবসায়িক স্বার্থ জড়িত, শিক্ষকরা এটা চায় না।
ফেডারেল শিক্ষামন্ত্রী ডেন টেহান পুনরায় টেস্টের পক্ষে থাকলেও বিভিন্ন রাজ্যের মন্ত্রীরা এর সমালোচনা করেছেন। ভিক্টোরিয়ার শিক্ষামন্ত্রী এসবিএস নিউজকে এক বিবৃতিতে বলেন যে, ফেডারেল কর্তৃপক্ষের অযোগ্যতায় কোন কোন শিক্ষার্থীর NAPLAN অনলাইন টেস্টে বিঘ্ন ঘটার বিষয়টি গ্রহণযোগ্য নয়।
নিউ সাউথ ওয়েলসের শিক্ষামন্ত্রী বলেন যে, কারিগরি ত্রুটির কারণে শিক্ষার্থীদের NAPLAN টেস্টে ব্যঘাত ঘটায় তিনি হতাশ।
এদিকে NAPLAN টেস্ট নিয়ন্ত্রক বডি অস্ট্রেলিয়ান কারিকুলাম এসেসমেনট এন্ড রিপোরটিং অথরিটি জোরের সাথে বলছে যে টেস্ট হবে সঠিকভাবে এবং পরীক্ষার ফলও হবে গ্রহণযোগ্য। এই সংস্থার সিইও ডেভিড ডি কারভাহ্ল বলেন যে, আমরা একটা খারাপ অবস্থা থেকে যতটা ভাল করা যায় তাই করছি। এটা ঠিক যে আমরা যা আশা করেছিলাম তা হয়নি, কিন্তু যেসব শিক্ষার্থীরা এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের পুনরায় সুযোগ না দেয়াটা ঠিক হবে না।
এবার অস্ট্রেলিয়ার অর্ধেকেরও বেশী স্কুলে NAPLAN টেস্ট হয়েছে কম্পিউটারে। আগামী সপ্তাহের টেস্টে শিক্ষার্থীরা চাইলে কাগজ-পেন্সিলে দিতে পারবে।
এসবিএস নিউজের জন্য প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন লিডিইয়া ফেং এবং এমেলিয়া ডান। বাংলায় অনুবাদ করেছেন শাহান আলম।