অস্ট্রেলিয়ায় নাগরিকত্বের জন্য বহু লোক আবেদন করে থাকেন। ৩০ এপ্রিল ২০১৮ পর্যন্ত দুই লাখেরও (২০০ হাজারেরও) বেশি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। এগুলোর প্রক্রিয়াকরণ ত্বরাম্বিত করার জন্য ডিপার্টমেন্ট অফ হোম অ্যাফেয়ার্স আরও কর্মী নিয়োজিত করবে।
আগামী ছয় মাসের মধ্যে আরও কর্মী নিয়োজিত করার কথা বললেন সিটিজেনশিপ ও মাল্টিকালচারাল অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রী অ্যালান টাজ।
“আগামী ছয় মাসে আমরা অতিরিক্ত ১৫০ জন লোক নিয়োজিত করবো যারা নাগরিকত্বের আবেদনপত্রগুলো নিয়ে কাজ করবে।”আবেদনপত্র প্রক্রিয়াকরণে দেরি হওয়ার কারণ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে এক্ষেত্রে দেরি হওয়ার পেছনে মূলত তিনটি কারণ রয়েছে।
Minister for Human Services Alan Tudge. Source: AAP
“প্রথমত, আবেদনপত্র তিনগুণ বেড়েছে।”
“দ্বিতীয়ত, পরিচয় যাচাই এবং সিকিউরিটি চেকিংয়ে সময় লাগছে।”
“তৃতীয়ত, তিন-চার বছর আগে নৌকায় করে আসা লোকদের নিয়ে এখন আমরা কাজ করছি, যারা এখন নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছে।”
ডিপার্টমেন্টের লোকবল কম হওয়ার অভিযোগ তিনি উড়িয়ে দেন।
“গত তিন বছরে আমাদের কর্মী সংখ্যা শতকরা ২০ ভাগ বেশি রয়েছে। আমরা আরও ১৫০ জন লোক নিচ্ছি”, বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, শতকরা ৭৫ ভাগ দরখাস্ত এখনও ১৫ মাসের মধ্যেই প্রক্রিয়াকরণ করা হচ্ছে।ডিপার্টমেন্ট অফ হোম অ্যাফেয়ার্সের একজন মুখপাত্র এসবিএস হিন্দি-কে বলেন,
Source: Department of Home Affairs
“অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকত্বের ক্রমবর্ধমান চাহিদার সঙ্গে সেই সব কেসের সংখ্যাও বাড়ছে যেগুলোর জন্য জটিল আইডেন্টিটি অ্যাসেসমেন্ট-এর দরকার হয়।”
বিশেষত, এ রকম লোকের সংখ্যাও অনেক বেড়েছে, যারা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছেন কিন্তু তারা যে দেশ থেকে এসেছেন সেই ‘কান্ট্রি অফ অরিজিন’ থেকে পরিচয় নির্ধারক মামুলি ধরনের কাগজপত্র জমা দিয়েছেন কিংবা একেবারেই কোনো কাগজপত্র দেন নি। এ ধরনের আবেদনগুলো জটিল এবং এগুলো প্রক্রিয়া করতে অতিরিক্ত সময় ও শ্রম লাগে।
“বিগত বছরগুলোর তুলনায় অস্ট্রেলিয়া আজকাল বেশি নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে। সকল অস্ট্রেলিয়ানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার নাগরিকত্বের আবেদনকারীদের পরিচয় যাচাই করা এবং চারিত্রিক যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।”যেখানে দুই লাখ (২০০ হাজার) আবেদনকারী তাদের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছে সেখানে সরকার সিটিজেনশিপ-এর নিয়ম-কানুনে পরিবর্তন আনার চিন্তা করছে।
PM Malcolm Turnbull and Minister for Home Affairs Peter Dutton during Question Time in the House of Representatives at Parliament House AAP Source: AAP
এই লেজিসলেশনে প্রস্তাব করা হয়েছে, নাগরিকত্বের জন্য পার্মানেন্ট রেসিডেন্সির সময়কাল এক বছর থেকে চার বছর করতে, ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা যাচাই করতে, একটি নতুন মূল্যবোধ পরীক্ষা নিতে এবং কঠোরভাবে চারিত্রিক যাচাই-বাছাই করতে।
সম্ভাব্য নাগরিককে আরও দেখাতে হবে, অস্ট্রেলিয়ান মূল্যবোধের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তিনি সমাজে চলতে পারেন।
READ MORE
অস্ট্রেলিয়ান ইমিগ্রেশন: স্কিলসিলেক্ট