ওয়াশিংটন ভিত্তিক সংস্থা গ্লোবাল ফাইনান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটি (জিএফআই) সম্প্রতি (২৮ জানুয়ারি) একটি প্রকাশ করেছে। বিদেশে অবৈধভাবে অর্থ পাচার এবং বিদেশ থেকে অবৈধভাবে অর্থ গ্রহণের বিশ্লেষণ করা হয় এই প্রতিবেদনে। ১৪৮টি উন্নয়নশীল দেশের ২০০৬-২০১৫ সালের অবৈধ অর্থ আদান-প্রদানের তথ্য উঠে এসেছে এতে।
এই রিপোর্ট অনুসারে, ২০১৫ সালে টাকা পাচারে বৈশ্বিকভাবে শীর্ষে রয়েছে মেক্সিকো। ওই দেশ থেকে পাচার হয়েছে ৪২.৯ বিলিয়ন ডলার। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা মালয়েশিয়া থেকে ৩৩.৭ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে।
বিদেশে টাকা পাচারের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম স্থানে রয়েছে ভারত। ভারত থেকে পাচার হয়েছে ৯.৮ বিলিয়ন ডলার। এর পরই বাংলাদেশের স্থান। বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে ৫.৯ বিলিয়ন ডলার।

Money,U.S. dollar,Chinese money, yuan Source: Getty Images
জিএফআই-এর তথ্য অনুসারে, উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের মোট বাণিজ্যিক লেনদেনের ১৭.৫ শতাংশই কোনো না কোনোভাবে পাচার হচ্ছে।
জিএফআই-এর তথ্য অনুসারে, ২০১৫ সালে বাংলাদেশ থেকে চার প্রক্রিয়ায় ৫.৯ বিলিয়ন ডলার পাচার করা হয়েছে। এ টাকার বেশিরভাগ বৈদেশিক বাণিজ্যে জালিয়াতির মাধ্যমে পাচার করা হয়। এর বিপরীতে একই পদ্ধতিতে সে বছর বাংলাদেশে ঢুকেছে ২.৮ বিলিয়ন ডলার।