হাইকমিশনার সুফিউর রহমান তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক বিচক্ষণতার বিভিন্ন দিক এবং ৭ মার্চ ভাষণের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন।
মিঃ রহমান ৭ মার্চের ভাষণকে মহাকাব্য উল্লেখ করে বলেন, "এ ভাষণের মাধ্যমে বাংলার জনগণের সহস্র বছরের স্বাধীনতা লাভের ন্যায্য দাবীর স্ফুরণ ঘটেছিল।"
তিনি বলেন, "বঙ্গবন্ধু তাঁর এ ভাষণে বাংলার স্বাধীনতা অর্জনের প্রতিটি পদক্ষেপের সুস্পষ্ট নির্দেশনা প্রদান করেছিলেন।"
বাঙালির স্বাধীনতার চেতনার বিকাশে এ ভাষণের ভূমিকার ওপর বিশদ গবেষণার প্রয়োজনীয়তার ওপর আলোকপাত করেন সুফিউর রহমান।বাংলাদেশের হাইকমিশনার বলেন, "বঙ্গবন্ধু বাংলার প্রতিটি মানুষের বঞ্চনার অভিজ্ঞতা এবং স্বাধীনতার আকাঙ্খা অনুভব করতেন। তিনি সমগ্র জাতিকে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করেছিলেন। বাংলার মানুষের অধিকারের প্রশ্নে কখনও আপোষ করেননি বঙ্গবন্ধু।"
Bangladesh's High Commissioner to Australia Mr. Sufiur Rahman. Source: Bangladesh High Commission, Australia
এছাড়া আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, প্রবাসী বাংলাদেশি ড. কামাল উদ্দিন ও ড. আবেদ চৌধুরী। আলোচকগণ উল্লেখ করেন, ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনের পরে পশ্চিম পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠীর ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রকে বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চ ভাষণে সুনিপূণভাবে তুলে ধরেন বাংলার আপামর জনসাধারণ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে।
বক্তারা অন্যান্য বিশ্বনেতাদের ঐতিহাসিক বক্তৃতা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের সঙ্গে তুলনা করেন এবং বলেন এই ভাষণ ইতিহাসের একমাত্র ভাষণ যা একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র সৃষ্টি করেছিল।
৭ মার্চ সকালে ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের কার্যক্রম শুরু করেন বাংলাদেশের হাইকমিশনার সুফিউর রহমান।
অনুষ্ঠানে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো: আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী পাঠ করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশ হাইকমিশনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ভিডিও চিত্র প্রদর্শন। এসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্যানবেরাস্থ প্রবাসী বাংলাদেশিগণ এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
- খবর প্রেস বিজ্ঞপ্তির।
এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন:
আরও দেখুন: