বাংলাদেশের এ বছরের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এক বার্তায় বলেন,
“বিগত ৫০ বছরে বাংলাদেশ তাৎপর্যময় উন্নয়ন করেছে কৃষিতে, শিল্পে এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে, বিশেষত নারী ও বালিকাদের উন্নয়নে।”
যে-অল্প কয়েকটি দেশ সর্বপ্রথমে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিয়েছিল, সেগুলোর মধ্যে একটি দেশ হিসেবে অস্ট্রেলিয়া গর্ব অনুভব করে, বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশী সম্প্রদায় প্রতিবছর বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পরিশেষে তিনি বলেন, ২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। তিনি এই গভীর ও আন্তরিক সম্পর্ক উদযাপনের জন্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এদিকে, ফেডারাল বিরোধী দলীয় নেতা অ্যান্থোনি অ্যালবানিজ এক বাণীতে বলেন, অস্ট্রেলিয়ান লেবার পার্টির নেতা হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের ৫০ বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে তিনি বাংলাদেশী অস্ট্রেলিয়ান ও বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানান।
তিনি বাংলাদেশের জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষ পূর্তিতে মুজিব বর্ষের কথাও উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন,
“বাংলাদেশের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান লেবার পার্টির শক্তিশালী সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের জাতিসংঘে সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে হুইটলাম লেবার সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।”
তিনি আরও বলেন,
“বাংলাদেশে সফরকারী একমাত্র অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী হলেন মিস্টার হুইটলাম। আমি নিশ্চিত যে, তিনি সর্বশেষ হবেন না।”
পরিশেষে, অস্ট্রেলীয় সমাজে অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশী অস্ট্রেলিয়ানদেরকে তিনি ধন্যবাদ জানান।
মিনিস্টার ফর ইমিগ্রেশন, সিটিজেনশিপ, মাইগ্রান্ট সার্ভিসেস অ্যান্ড মাল্টিকালচারাল অ্যাফেয়ার্স অ্যালেক্স হাক এক বাণীতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের ৫০ বর্ষ পূর্তিতে অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশী সম্প্রদায় অস্ট্রেলিয়ায় দ্রুত-বর্ধনশীল সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে অন্যতম। ৫০,০০০ এরও বেশি বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত লোক অস্ট্রেলিয়াকে নিজের দেশ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার গ্ল্যাডিস বেরেজিক্লিয়ান এ রাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশী অস্ট্রেলিয়ানদেরকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণী প্রদান করেছেন।
তিনি বলেন,
“অস্ট্রেলিয়ান বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্যক্তিরা আমাদের রাজ্যে, বিশেষত, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে যে অবদান রেখেছেন, সেজন্য প্রিমিয়ার হিসেবে আমি গর্বিত।”
নিউ সাউথ ওয়েলসে বিরোধী দলীয় নেতা এবং শ্যাডো মিনিস্টার ফর মাল্টিকালচারালিজম, লেবার পার্টির জোডি ম্যাকেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের ৫০ বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে বাণী প্রদান করেছেন।
তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সদস্য পদ লাভের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তা করে অস্ট্রেলিয়া এবং ১৯৭৫ সালে লেবার পার্টির সাবেক প্রধানমন্ত্রী গফ হুইটলাম প্রথম এবং একমাত্র অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাংলাদেশ সফর করেন।