অস্ট্রেলিয়াকে নতুন করে সতর্ক করলো চায়না

একজন সিনিয়র চীনা কর্মকর্তা আবার অস্ট্রেলিয়া সরকারের নিন্দা করেছেন, তবে এবার হোম অ্যাফেয়ার্স সেক্রেটারির 'অনৈতিক' আচরণের জন্য এবং যুদ্ধের হুমকিকে বাড়িয়ে তোলার জন্য।

The Chinese Government has sent a warning to Australia

The Chinese Government has sent a warning to Australia Source: SBS

এই সপ্তাহের শুরুতে, মাইক পেজুল্লো ঘোষণা করেছিলেন যে 'যুদ্ধের দামামা' বাজছে এবং এই অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ার উচিত সংঘাতের জন্য প্রস্তুত হওয়া। 

চাইনিজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বেজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ার প্রতি কঠোর সতর্কতা জারি করেছে। 

ওই মুখপাত্র বলেন, "চায়নার সাথে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বজায় রেখে সুবিধাভোগী দেশ হিসেবে অস্ট্রেলিয়া 'চায়না হুমকি'র যে তত্ত্ব নিয়ে হাইপ  তুলেছে তা  অনৈতিক, তাদের কোন অভিযোগই বাস্তবতার সাথে মেলে না। এভাবে চললে তারা শেষে নিজেদেরই ক্ষতি করবে।"  

মিঃ লিজিয়ান এই মন্তব্য করলেন অস্ট্রেলিয়ার হোম সেক্রেটারি মাইক পেজুল্লোর মন্তব্যের একদিন পরেই। এনজেক ডে'তে করা হোম সেক্রেটারির ওই মন্তব্যের পর দু'দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে ওঠে।
এক বক্তব্যে মিঃ পেজুল্লো বলেছিলেন যে 'যুদ্ধের দামামা' আবার বাজছে।

যদিও তিনি চীনের নাম উল্লেখ না করে বলেছিলেন যে অস্ট্রেলিয়াকে এই অঞ্চলে সংঘাতের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

ফেডারেল ট্রেজারার জশ ফ্রাইডেনবার্গ এবিসি'র সাথে এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্যগুলি খণ্ডন করেছেন।  

তিনি বলেন, "অস্ট্রেলিয়া সরকারের দিক থেকে আমরা চীনের সাথে একটি স্থিতিশীল সম্পর্ক দেখতে চাই। আমরা দেখতে চাই যে এই গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব অব্যাহত রয়েছে, যাতে পারস্পরিক উপকার সাধন হয়।”

এই সপ্তাহে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পিটার ডাটন তাইওয়ান এবং চীন মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা নিয়ে যে মূল্যায়ন করেছেন তার প্রেক্ষিতে মিঃ পেজ্জুলোর এই মন্তব্য এসেছে।

এবং প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনকে চীনের একটি কোম্পানির কাছে ডারউইন বন্দর ব্যবহারের জন্য ৯৯ বছরের লিজ সম্পর্কে আবার জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল।

মিঃ মরিসন বলেছেন, "এতে সামরিক এবং প্রতিরক্ষা ক্ষমতার সাথে আপোস করা হয়নি এবং এটি বোধগম্য। তবে আমি এখানে প্রেক্ষিতটি উপলব্ধি পারি। আমাদের সিদ্ধান্ত নির্ধারণ করতে জাতীয় স্বার্থ চিন্তা করতে  হবে এবং এটি প্রতিরক্ষা, সিকিউরিটি এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো থেকে প্রাপ্ত পরামর্শের ভিত্তিতে হতে হবে।"
অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউটের পিটার জেনিংস বলেছেন, কথার যুদ্ধের নীচে আরও মারাত্মক কিছু রয়েছে।

এই সপ্তাহে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পিটার ডাটন তাইওয়ান এবং চীন মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা নিয়ে যে মূল্যায়ন করেছেন তার প্রেক্ষিতে মিঃ পেজ্জুলোর এই মন্তব্য এসেছে।

এবং প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনকে চীনের একটি কোম্পানির কাছে ডারউইন বন্দর ব্যবহারের জন্য ৯৯ বছরের লিজ সম্পর্কে আবার জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল।

মিঃ মরিসন বলেছেন, "এতে সামরিক এবং প্রতিরক্ষা ক্ষমতার সাথে আপোস করা হয়নি এবং এটি বোধগম্য। তবে আমি এখানে প্রেক্ষিতটি উপলব্ধি পারি। আমাদের সিদ্ধান্ত নির্ধারণ করতে জাতীয় স্বার্থ চিন্তা করতে  হবে এবং এটি প্রতিরক্ষা, সিকিউরিটি এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো থেকে প্রাপ্ত পরামর্শের ভিত্তিতে হতে হবে।"

অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউটের পিটার জেনিংস বলেছেন, কথার যুদ্ধের নীচে আরও মারাত্মক কিছু রয়েছে।

মিঃ জেনিংস বলেন, "বক্তব্যের মধ্যে একটি সত্যিই গুরুতর কৌশলগত সমস্যা দেখা দিচ্ছে, যেখানে চীন আমাদের অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোর প্রতি তার দাবিগুলো নিয়ে আরও বেশি আগ্রাসী হয়ে উঠছে এবং অস্ট্রেলিয়া তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পিছিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং আমি মনে করি কৌশলগত সময়ের ক্ষেত্রে এটি গুরুতর বিষয়, এবং আমি মনে করি আমাদের সত্যিই সচেতন হওয়া উচিত যে এই সমস্ত বোলচালের নিচে সামনের বছরগুলিতে আমাদের একটি সংঘাতের মধ্যে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”

 শুনুন প্রতি সোমবার এবং শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় এবং আমাদের  ভিজিট করুন।

আরও দেখুনঃ 




Share
Published 30 April 2021 6:19pm
By Claire Slattery
Presented by Shahan Alam

Share this with family and friends