এই মুহূর্তে ভারতে অ্যাকটিভ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ হাজার ০৭০ জন।আর ১০ হাজার ৮৮৭ জন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।আক্রান্ত ও মৃত্যের সংখ্যার নিরিখে রাজ্যগুলির মধ্যে এখনও শীর্ষে মহারাষ্ট্র।সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২ হাজার ২৯৬ জন।এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫২১ জনের।এর পরে গুজরাট। সেখানে এখনও পর্যন্ত ৫ হাজার ৫৫ জন করোনা রোগীর খোঁজ মিলেছে।
এর মধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন দাবি করেছেন,বিশ্বের মধ্যে ভারতেই মৃত্যুর হার সবচেয়ে কম।আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার সময়ের ব্যবধানও বেড়েছে।অর্থাৎ আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হতে সময় লাগছে কম।স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন আরও বলেছেন, করোনা আক্রান্তরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন।রবিবার দিল্লির লেডি হার্ডিঞ্জ হাসপাতাল পরিদর্শনে যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় কেমন প্রস্তুত ওই হাসপাতাল, তা খতিয়ে দেখেন তিনি।কথা বলেছেন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে।লকডাউন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, রেড, অরেঞ্জ ও গ্রিন জোনে ভাগ করে আলাদা পরিকল্পনা,এই সব পদক্ষেপের জেরে অন্যান্য বহু দেশের তুলনায় ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা কম।
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও ভারতের করোনা মোকাবিলার প্রশংসা করা হচ্ছে।কিন্তু তার মধ্যেও দেশে করোনা সংক্রমণের হার বাড়ছে।রবিবারও নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন আড়াই হাজারের বেশি মানুষ। ২৪ ঘণ্টায় এত সংখ্যক মানুষের কোভিড-পজিটিভ হওয়ার নজির নেই দেশে।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে আরও ২ জনের।নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৪১ জন।সব মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মৃত্যুর সংখ্যা এখন ৫০।
তবে রবিবার কারও সেরে ওঠার খবর নেই।রাজ্য সরকারের প্রকাশিত বুলেটিনে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৯৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।এখনও পর্যন্ত মোট ২২৯১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বাড়িতে নজরদারিতে রয়েছেন ৬ হাজার ৯৫৩ জন। আর নজরদারি সম্পূর্ণ করেছেন ৬২ হাজার ৩৬৫ জন।এখনও পর্যন্ত হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৪ হাজার ৫৩২ জনকে।হাসপাতালের আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৪ হাজার ২৩০ জন।বর্তমানে হাসপাতালে আইসোলেশনে রয়েছেন ৩০২ জন।বুলেটিনে জানানো হয়েছে, রাজ্যের ৫৮২টি কোয়ারানটিন সেন্টারে মোট ২০ হাজার ৭৪১ জনকে রাখা হয়েছে।ছাড়া পেয়েছেন ১৫ হাজার ৮১১ জন।
অন্যদিকে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন কলকাতা পুলিশের আরও এক থানার ওসি।কলকাতা পূর্ব বিভাগের বাইপাস লাগোয়া ওই থানার অফিসার ইন চার্জ চিকিৎসাধীন রয়েছেন বাইপাসের কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে।কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁর স্ত্রীকে আইসোলেশনে রেখে নমুনা পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য।তবে পরীক্ষার ফল এখনও আসেনি।কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়েছে ওই পুলিশ আধিকারিকের গাড়ির চালক এবং দেহরক্ষীকে।এর আগে বন্দর এলাকার একটি থানার ওসি আক্রান্ত হয়েছিলেন কোভিডে।তিনি এখন সুস্থ হয়ে বাড়িতে। জোড়াবাগান থানার এক সাব ইনস্পেক্টরও কোভিডে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন। এর আগে কলকাতা উত্তর ডিভিশনের এক পুলিশ কর্মীও আক্রান্ত হয়েছিলেন।