এ প্রোগ্রামের আওতায় বাসা থেকে বের করে দেয়া হয় নির্যাতনকারী স্বামী বা পার্টনারকে। যার ফলে, শিশু এবং নির্যাতিত মহিলাদের অন্য কোথাও আশ্রয় নিতে হচ্ছে না। গৃহহীন হওয়ার সংখ্যা কমার পাশাপাশি কমছে দুর্ভোগও।
রাজ্য সরকারের সাথে যৌথভাবে দ্য স্টেয়িং হোম লিভিং ভায়োলেন্স প্রোগ্রাম নিয়ে কাজ করছে এনএসডাব্লিউ পুলিশ।
এ প্রোগ্রামের আওতায় নির্যাতিতরা যেসব সেবা পেয়ে থাকেন:
১. আইনানুগ সহায়তা
২. শিশুদের সহায়তা
৩. নিরাপত্তার পরিকল্পনা
৪. বাড়ির নিরাপত্তা উন্নতীকরণ
৫. আর্থিক ব্যবস্থাপনা সহায়তাবিচ্ছেদ হওয়ার পরও যেসব মহিলারা তাদের প্রাক্তন স্বামী বা পার্টনারের কাছ থেকে দুর্ব্যবহার বা হুমকি পেয়ে আসছেন, তাদেরকে এ প্রোগ্রামে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সহায়তা দেয়া হয়।
Source: NSW Government
পাশাপাশি আরো যারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ সেবা পেয়ে থাকেন, তারা হচ্ছেন;
১. পারিবারিক নির্যাতনের শিকার
২. আদিবাসী বা টরেস স্ট্রেইট আইল্যান্ডার
৩. আর্থ- সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত
৪. ভিন্ন সাংস্কৃতিক এবং ভাষার মানুষ
৫. সামাজিকভাবে একপেশে
৬. প্রতিবন্ধী
৭. প্রতিবন্ধী শিশুর সেবক
৮. ১৬- ১৮ বছর বয়সীরা।
বর্তমানে রাজ্যের ২৭টি এলাকায় এ সেবা চালু আছে। আগামীতে আরো পাঁচটি নতুন এলাকায়, গ্রিফিথ, পোর্ট স্টেফেনস, আলবুরি, রিচমন্ড ভ্যালি এবং ওয়ালগটে এ সেবা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন পারিবারিক নির্যাতন এবং যৌন হয়রানি প্রতিরোধ মন্ত্রী প্রো গোয়ার্ড।
আর এজন্য আগামী চার বছরে খরচ করা হবে ৬ দশমিক ২ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার।
মন্ত্রী বলেন, এ পদক্ষেপ আরো ১১০০ মহিলা এবং তাদের শিশুকে গৃহহীন হওয়া থেকে বিরত রাখবে সহিংস সম্পর্কের পর।
প্রো গোয়ার্ড বলেন, "আমরা জানি যে গৃহহীন হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে পারিবারিক নির্যাতন। সহিংস সম্পর্কের পর নির্যাতিতদের নতুন জীবন শুরুতে এ প্রোগ্রাম সহায়তা করবে।"