আই সি সি ইউ -তেই আগুন লাগে বলে জানা গিয়েছে। মৃতরা সকলেই আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। ৫০ শয্যার সেই হাসপাতালে ৪৫ জন করোনা আক্রান্ত ভর্তি ছিলেন । তাঁদের উদ্ধার করে ১০টি অ্যাম্বুল্যান্সের মাধ্যমে সর্দার বল্লভভাই পটেল ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।হাসপাতালের বাইরে ভিড় জমান উদ্বিগ্ন রোগীর আত্মীয়রা। দমকলের কর্মীরা আগুন নেভানোর পাশাপাশা হাত লাগান রোগীদের উদ্ধারের কাজে। শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে কী করে ওই হাসপাতালে আগুন লাগল সে ব্যাপারে এখনও কিছু জানা যায়নি। অসমর্থিত সূত্রের খবর, শর্ট সার্কিট থেকেই ছড়িয়েছে আগুন।
এই ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি ট্যুইটে লিখেছেন, অহমদাবাদের হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুঃখিত। মৃতের পরিবারদের সমবেদনা জানাই। আহতরা দ্রুত সেরে উঠুন। পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপাণি ও মেয়রের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্তদের সবরকম সাহায্যের ব্যবস্থা করছে।প্রধানমন্ত্রীর বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকে মৃতদের পরিবার পিছু ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। শ্রেয় হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণী। তিন দিনের মধ্যে এই ঘটনার রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
এ দিকে,গুজরাতে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা রোজদিনই বেড়ে চলেছে। সেখানে এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৬৫ হাজারেরও বেশি। করোনার জেরে সে রাজ্যে মোট মৃত্যু আড়াই হাজার ছাড়িয়েছে।দেশজুড়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩৯ হাজার-এরও বেশি মানুষের। ভারতে প্রতিদিন গড়ে আক্রান্ত হচ্ছে ৫০ হাজরের বেশি মানুষ।
অন্যদিকে,পশ্চিমবঙ্গে করোনা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত। নতুন রেকর্ড গড়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। খোদ রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, রাজ্যে এখন প্রতি ২৪ মিনিটেরও কম সময়ে ১ জন করে করোনা রোগী প্রাণ হারাচ্ছেন। সংক্রমণের হারও উদ্বেগজনকভাবে বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২ হাজার ৮০০ জনের বেশি ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন এই মারণ ভাইরাসে।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের শেষ বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৮১৫ জন। যার ফলে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৮৩ হাজার ৮০০। তবে, সরকারকে স্বস্তি দিয়ে বাড়ছে সুস্থতার ঘটনা। এ দিনও করোনা জয় করে উঠেছেন ২,০৭৮ জন। যার জেরে রাজ্যে এই মুহূর্তে কোভিড জয়ীর সংখ্যা বেড়ে হল ৫৮ হাজার ৯৬২ জন। আর অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৯৯২ জন। সুস্থতার হার ৭০.৩৬ শতাংশ। তবে চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে মৃতের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে মোট মৃতের সংখ্যা হয়েছে ১ হাজার ৮৪৬ জন।