মিনিস্টার ফর ইমিগ্রেশন, সিটিজেনশিপ অ্যান্ড মাল্টিকালচারাল অ্যাফেয়ার্স, মিস্টার ডেভিড কোলম্যান দাবি করেন, ডিপার্টমেন্ট অফ হোম অ্যাফেয়ার্স-এর জনবল বৃদ্ধি করায় নাগরিকত্বের আবেদনগুলো প্রক্রিয়াকরণে অনেক সুবিধা হয়েছে।
সাম্প্রতিক সরকারি তথ্য অনুসারে, ২০১৮ সালের জুলাই থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত ৪৫,৫০০ নাগরিকত্বের আবেদন চূড়ান্ত করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৩৯ হাজার আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে।
২০১৭ সালের একই সময়ে নাগরিকত্ব অনুমোদনের সংখ্যা ছিল ১৫,৫০০। সেই তুলনায় ২০১৮ সালের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দ্বিগুণেরও বেশি সংখ্যক ব্যক্তিকে নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়েছে।মিস্টার কোলম্যান বলেন:
India's President, Ram Nath Kovind meets David Coleman (R) Australian Minister for Immigration, Citizenship and Multicultural Affairs, in Sydney Nov 2018. Source: AAP
“রেকর্ড সংখ্যক আবেদন এবং জটিল কেসগুলোর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার পরও নাগরিকত্বের আবেদন চূড়ান্তকরণ এবং অনুমোদনের সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি সম্ভব হয়েছে।”
সেজন্য তিনি ইমিগ্রেশন ও সিটিজেনশিপ প্রোগ্রামগুলোর পেছনে সরকারের নতুন অর্থায়নের প্রতি কৃতিত্ব আরোপ করেন।
তিনি বলেন, “২০১৫ সাল থেকে আমরা বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি যেন এই কর্মসূচি ভালভাবে চলে এবং ভাল লোকেরা যেন নাগরিকত্ব লাভ করে।”
“একইসঙ্গে, বৈধ আবেদনকারীদের জন্য নাগরিকত্ব প্রক্রিয়াকরণ-ব্যবস্থা কার্যকর ও প্রয়োগিক করার জন্য কাজ করছে সরকার। আর এসব প্রচেষ্টা ভাল ফল দিচ্ছে”, বলেন মিস্টার কোলম্যান।
জটিল সিটিজেনশিপ কেসগুলোর প্রতি নজর দেওয়ার জন্য ডিপার্টমেন্ট অফ হোম অ্যাফেয়ার্স একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে। দক্ষভাবে নাগরিকত্বের আবেদনগুলো নিয়ে কাজ করার জন্য অতিরিক্ত কর্মীদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে নয় মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করা হচ্ছে।
“এই চাহিদা পূরণের জন্য আমরা বড় ধরনের বিনিয়োগ করছি। এর মধ্য দিয়ে এই ব্যবস্থার নিরাপত্তাবিধানও করা হবে যেন শুধুমাত্র বৈধ আবেদনগুলোই অনুমোদন করা যায়।”
“অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকত্ব একটি বিশেষাধিকার এবং এটি তাদেরকেই প্রদান করা উচিত যারা আমাদের মূল্যবোধগুলোর সমর্থন করেন, আমাদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং যারা আরও ভাল অস্ট্রেলিয়ার জন্য অবদান রাখতে চান।”
Former Prime Minister Malcolm Turnbull with new Australian citizens at in Canberra, Thursday, Jan 26, 2017. Source: AAP
দুই লাখেরও বেশি নাগরিকত্বের আবেদন বিবেচনাধীন রয়েছে
অক্টোবর ২০১৮ পর্যন্ত নাগরিকত্বের আবেদন চূড়ান্তকরণের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও নাগরিকত্বের অনুমোদন লাভের ক্ষেত্রে অপেক্ষাকাল বৃদ্ধি পেয়েছে আরও কয়েক মাস। অপেক্ষার সময় এখন ১৪ মাস থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১৮ মাসে এসে দাঁড়িয়েছে।
ডিপার্টমেন্ট অফ হোম অ্যাফেয়ার্স এসবিএস-কে নিশ্চিত করেছে যে, ৩০ জুন ২০১৮ পর্যন্ত ২৪৪,৭৬৫ টি নাগরিকত্বের আবেদন প্রক্রিয়াকরণের জন্য অপেক্ষমান রয়েছে।
ডিপার্টমেন্ট অফ হোম অ্যাফেয়ার্স থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, নভেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে, নাগরিকত্বের আবেদন জমা দেওয়ার পর থেকে শপথ গ্রহণ পর্যন্ত প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে অপেক্ষাকাল ১৮ মাস। ৭৫ শতাংশ আবেদন প্রক্রিয়াকরণ করা হয় ১৮ মাসের মধ্যে। আর ৯০ শতাংশ আবেদন প্রক্রিয়াকরণে সময় লাগে ২০ মাস।You can read the full article in English .
Source: Department of Home Affairs