সিডনির কয়েকটি রেস্টুরেন্ট-এর গ্রাহক সাইন ইন করতে ব্যর্থ হয়েছে - যার ফলে করোনাভাইরাস পজিটিভ রোগীর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে বেগ পেতে হয়েছে কর্তৃপক্ষের, এর প্রেক্ষিতে নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন।
তিনি বলেন, যারা কভিড বিধি মানবে না তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবেন।
"আমি জনগণকে বলবো যেসব ভেন্যুগুলো কভিড নিরাপদ তাদের সাহায্য করুন, যারা কভিড নিরাপদ নয় অনুগ্রহ করে তাদের সার্ভিস গ্রহণ করবেন না।"
অন্তত ১২ দিন স্থানীয় উৎস থেকে সংক্রমণ বন্ধ থাকার পর নিউ সাউথ ওয়েলসে গতকাল থেকে আবার করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। ভাইরাসে মোট নতুন শনাক্ত ৮ জন, এছাড়া হোটেল কোয়ারিন্টিনে থাকা অস্ট্রেলিয়ার বাইরে থেকে আসা আরও চারজন নতুন শনাক্ত হয়েছে।
রাজ্যের প্রিমিয়ার গ্ল্যাডিস বেরেজিকলিয়ান ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন তাদের কর্মক্ষেত্রে যাতে পর্যাপ্ত সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা থাকে।
এদিকে ভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য ভিক্টোরিয়ায় নতুন ১১ জন শনাক্ত হয়েছে যাদের ৬ জন জ্ঞাত উৎস থেকে সংক্রমিত। এছাড়া নতুন কোন মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
১৪ দিনের শনাক্ত সংখ্যার ভিত্তিতে মেলবোর্নের দৈনিক গড় সংক্রমণ এখন ৯.৭, রেস্ট্রিকশন শিথিল করতে মেলবোর্নের এই গড় হতে হবে ৫ বা তার কম। আগামী ১৯ অক্টোবর থেকে সেখানে রেস্ট্রিকশন শিথিলের কথা রয়েছে।
তবে ভিক্টোরিয়ার প্রিমিয়ার ড্যানিয়েল এন্ড্রুজ বলেছেন, যদিও জনগণ কবে নিয়ম শিথিল হবে এই নিশ্চয়তা চায়, তবে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে।
এদিকে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়াতে নতুন ২ জন ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে, হোটেল কোয়ারেন্টিনে থাকা ওই দুব্যক্তি অস্ট্রেলিয়ার বাইরে থেকে আসা ফিরতি যাত্রী।
এদিকে কুইন্সল্যান্ডের প্রিমিয়ার আনাস্তাসিয়া পালুশেই বলেছেন, তার স্টেট নিউ সাউথ ওয়েলসের সাথে বর্ডার উন্মুক্ত করতে আরো সময় নিতে পারে যদি নিউ সাউথ ওয়েলসের হেলথ কর্মকর্তারা সিডনির তিনটি কভিড কেসের উৎস শনাক্ত করতে না পারে।
কুইন্সল্যান্ড এবং নিউ সাউথ ওয়েলসের বর্ডার ১ নভেম্বরে পুনরায় উন্মুক্ত হবার কথা রয়েছে।
মিজ পালুশেই বলেন, "আমার কাজ হচ্ছে কুইন্সল্যান্ডবাসীদের নিরাপদ রাখা, আমরা এখন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করব আগামী দুসপ্তাহ।"
কুইন্সল্যান্ডে পর পর ৬ দিন ধরে কোন নতুন ভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়নি।
পুরো অস্ট্রেলিয়ায় গত ২৪ ঘন্টায় ২৫ জন নতুন করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে, বর্তমানে সারাদেশে সক্রিয় আছে ২৫১টি কেস, এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি আছে ৩১ জন। ভাইরাসে গত ২৪ ঘন্টায় কেউ মারা না গেলেও এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ৮৯৭ জন।
অস্ট্রেলিয়ায় প্রত্যেককে একে অপর থেকে ১.৫ মিটার দূরত্বে অবস্থান করতে হবে। আপনার রাজ্যের বিধিনিষেধগুলো দেখুন। আপনি যদি ঠাণ্ডা বা ফ্লুয়ের মত উপসর্গ অনুভব করেন তাহলে চিকিৎসককে ফোন দিন অথবা করোনা ভাইরাস হেলথ ইনফর্মেশন হট লাইন ১৮০০০২০০৮০ এই নাম্বারে ফোন দিন। এ সংক্রান্ত আরও খবর ও তথ্য আপনার ভাষায় জানতে ভিজিট করুনঃ
আরও পড়ুনঃ