শুরুটা হয়েছিল এক দাওয়াতে বসে নাফিসা আজাদ আর নুসরাত খান মজলিশের ভাবনা থেকে। সেখান থেকে শুরু করে একে একে গ্রুপে যোগ দেয় রুমানা নূসরাৎ আজাদ, তমা আফরীন, রোজানা সাবরীন, সালমা মেহের ঐশী এবং রোজানা আজাদ।
ফুল টাইম জব আর সংসারের কাজের ব্যস্ততার ফাঁকে শুরু হয় প্লানিং। তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল নিউ সাউথ ওয়েলস আর আশেপাশের স্টেটের হলিক্রসের ছাত্রীদের একত্রিত করা, সবাই মিলে একসাথে ফিরে যাওয়া নিজেদের শিকড়ের কাছে, একসাথে আনন্দে মেতে উঠা আর নিজেদের হলিক্রসের পরিচয়কে একসাথে সেলিব্রেট করা।
পাঁচ মাস নানা পরিকল্পনা আর আয়োজনের পর অবশেষে আসলো বহু আকাঙ্ক্ষিত শীতের সেই মিষ্টি সকাল! শ্বেতশুভ্র শাড়ি, কামিজ অথবা ওয়েস্টার্ন পোশাক পরে আর হৃদয়ে প্রিয় স্কুল-কলেজের জন্য একরাশ ভালবাসা আর শ্রদ্ধা নিয়ে ক্রসিয়ান-ক্রসেমাররা একত্রিত হলো সিডনির মার্শফিল্ডে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী কার্জনহলে।
গত ১২ আগস্ট, ২০২৩ তারিখে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি প্রবাসী ক’জন ছাত্রীর উদ্যোগে সিডনির মার্শফিল্ডে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বাংলাদেশের হলিক্রস স্কুল এবং কলেজের ইন্টারস্টেট রিইউনিয়ন প্রোগ্রাম। পুরো প্রোগ্রামের বিশেষ আকর্ষণ ছিল প্রিয় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তরফ থেকে অডিও এবং ভিডিও বার্তা এবং ই-ম্যাগাজিনের জন্য দেওয়া লেখা। Source: Supplied / Tumon Ahsan
সিনিয়র-জুনিয়র সব ছাত্রীরা একসাথে গলা মিলিয়ে গেয়ে উঠেন আখতার জাহানের সাথে “পুরানো সেই দিনের কথা” গানটির সাথে। আজাদ রহমানের তিন কন্যা নাফিসা, রোজানা আর রোমানার সাথে তাল মিলিয়ে অনুষ্ঠানের থিম সঙ “Yesterday Once More” থেকে শুরু করে বহু গান সবাই অসম্ভব উপভোগ করেন এবং অংশ নেন।
এই অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেছেন কলেজের প্রাক্তন ছাত্রী মৌমিতা চৌধুরী, আনিলা পারভিন ও হাসনাত জাহান।
স্কুল-কলেজ নিয়ে কুইজ আর টুকটাক গেইমে কিছু ছাত্রী জিতে নেন স্পন্সরদের তরফ থেকে দেওয়া দারুন সব উপহার।
রিইউনিয়ন উপলক্ষে অর্গানাইজাররা তাদের স্কুল-কলেজের বার্ষিক ম্যাগাজিনের মত করে একটি ই-ম্যাগাজিন পাবলিশ করেছেন। সেখানে ছাত্রীরা তাদের স্কুল-কলেজের জীবন নিয়ে স্মৃতিচারণের পাশাপাশি গল্প-কবিতা দিয়েছেন, তাদের সাকসেস স্টোরিজ দিয়েছেন, তাদের স্মৃতির এলবাম থেকে ছবি দিয়েছেন।
পুরো প্রোগ্রামের বিশেষ আকর্ষণ ছিল প্রিয় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তরফ থেকে অডিও এবং ভিডিও বার্তা এবং ই-ম্যাগাজিনের জন্য দেওয়া লেখা। অনুষ্ঠানের জন্য বানানো স্কুল-কলেজের ছবিসহ ভিডিও আর শিক্ষিকাদের দেওয়া বার্তা শুনতে গিয়ে ছাত্রীরা সবাই নস্টালজিয়ায় হারিয়ে যান।
এসবের ফাঁকে ফাঁকে চলতে থাকে খাওয়া পরিবেশন এবং ছবি তোলা। পালা করে বান্ধবীরা ছবি তোলায় মেতে উঠেন। এরপর কেক কাটা আর সব ছাত্রীরা কার্জনহলের মাঠে একসাথে গ্রুপ ছবি তোলার পর বিকেল ৪ টার দিয়ে শেষ হয় এই আনন্দপূর্ণ উৎসব।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি