প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুলের সময়টা সম্প্রতি ভাল যাচ্ছিল না। বিভিন্ন ইস্যুতে নিজের দলের মধ্যেই তিনি বিরোধিতার সম্মুখিন হচ্ছিলেন। জ্বালানি নীতিমালা, ট্যাক্স কাট ইত্যাদি ইস্যুতে তিনি সহকর্মীদের সমর্থন পাচ্ছিলেন না।
এ রকম পরিস্থিতিতে তারই কেবিনেট মেম্বার, হোম অ্যাফেয়ার্স মিনিস্টার পিটার ডাটন পার্টি রুম মিটিং-এ, অর্থাৎ, নিজেদের দলের অভ্যন্তরীণ বৈঠকে তার করেন। মঙ্গলবার, ২১ আগস্ট সকালে মাত্র ১৩ ভোটের ব্যবধানে নিজের নেতৃত্ব ধরে রাখতে সমর্থ হন ম্যালকম টার্নবুল। মিস্টার টার্নবুল পান ৪৮ ভোট এবং মিস্টার ডাটন পান ৩৫ ভোট।
নেতৃত্ব লাভে ব্যর্থ হওয়ায়, ৪৭ বছর বয়সী এখন তার মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ম্যালকম টার্নবুল অবশ্য তাকে বলেছেন মন্ত্রী হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে। কিন্তু, তিনি তার সিদ্ধান্তে অটল।
ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে এখন ট্রেজারার স্কট মরিসন ডিপার্টমেন্ট অফ হোম অ্যাফেয়ার্স-এর দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
লিডারশিপ স্পিলের আগে জ্বালানি নীতিমালায় ম্যালকম টার্নবুলকে কেবিনেট মেম্বার হিসেবে সমর্থন করার কথা ব্যক্ত করেছিলেন পিটার ডাটন। এখন যদি তিনি আর মন্ত্রী না থাকেন, তাহলে ব্যাকবেঞ্চার হিসেবে তার উপর আর সেই প্রতিশ্রুতির বাধ্যবাধকতা থাকছে না। এখন তিনি নানা বিষয়েই দ্বিমত পোষণ করতে পারবেন এবং মুখ খুলতে পারবেন।
২০১৪ সালে ইমিগ্রেশন মিনিস্টার হওয়ার আগে পিটার ডাটন হেলথ মিনিস্টার ছিলেন। এরপর যখন ডিপার্টমেন্ট অফ হোম অ্যাফেয়ার্স গঠন করা হলো তখন তিনি দাপটের সঙ্গেই এটি চালিয়েছেন। হোম অ্যাফেয়ার্সের অধীনে রয়েছে ইমিগ্রেশন, ফেডারাল পুলিশ এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
অস্ট্রেলিয়ায় নৌকাযোগে আসা আশ্রয়প্রার্থী শরণার্থী ‘বোট পিপল’-দেরকে ফিরিয়ে দেওয়া ও কঠোর অভিবাসন নীতির জন্য সমালোচিত হলেও তার সমর্থনকারী গোষ্ঠীও কম নয়।
অস্ট্রেলিয়ায় লিডারশিপ স্পিল এটাই প্রথম নয়।
লিবারাল দলে এর আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবোটকে পার্টি রুমে ভোটে পরাস্ত করে নেতৃত্ব গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল। তখন অবশ্য টনি অ্যাবোটের পক্ষেই ভোট দিয়েছিলেন পিটার ডাটন।
লেবার পার্টির সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেভিন রাড নেতৃত্ব হারান জুলি বিশপের কাছে।
আবারও টার্নবুলের নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করার সম্ভাবনা নাকচ করেন নি পিটার ডাটন। তবে, ম্যালকম টার্নবুলকে এবং নিজের দলকে সমর্থন করে যাবেন, বলেছেন তিনি।