গেকো মিউজিকের কার্লস ভিলানুয়েভা ফেডারেল গ্র্যান্ট ব্যবহার করে অনলাইনে মিউজিক লেসন কিভাবে পরিচালনা করতে হয় তা শিখেছেন, এতে তার ব্যবসার চাহিদা বেড়ে গেছে।
তিনি বলেন, "আমাদের আরো টিউটর নিয়োগ দিতে হয়েছিল, কারণ হঠাৎ করেই আমরা প্রায় একশোর ওপরে শিশু শিক্ষার্থী পেয়েছিলাম।"
এখন তার মিউজিক লেসনের চাহিদা ৫০ শতাংশ বেড়েছে, সেইসাথে অনলাইন টেকনোলজির কারণে তার উদ্যোগ এখন বৈশ্বিক হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, "এর আগে আমাদের মার্কেটিং ছিল ফেস টু ফেস, শুধুমাত্র স্থানীয়দের মধ্যে সীমাবদ্ধ, এখন আমরা অনলাইনে আসার কারণে এর কোন সীমা নেই, আমরা কানাডা, সাউথ আমেরিকা থেকেও শিক্ষার্থী পাচ্ছি।"
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলো তাদের ব্যবসাকে অনলাইনে নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকারের ১২ মিলিয়ন ডলারের বাজেট বরাদ্দ থেকে সহায়তা পেতে পারে। স্মল বিজনেস কাউন্সিলের পিটার স্ট্রং এই বিনিয়োগের উচ্চ প্রশংসা করেছেন।
তিনি বলেন, "আমরা এটিকে ডিস্টিংকশন দেব, এই বাজেটকে আমরা ৭৫% নাম্বার দিয়েছি, এবং এজন্য সরকারের গর্ব করা উচিত। আমরা সোল ট্রেডারদের বিষয়ে ফোকাস করার কথা ভাবতাম।
এর বাইরে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা হচ্ছে ২০২৩ সাল পর্যন্ত এসেট রাইট অফের সুযোগ বাড়ানো, অর্থাৎ ব্যবসাগুলো তাদের সম্পদের অবচয়ের আগেই খরচ ছাড়ের বিষয়গুলো দাবি করতে পারবে।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসাগুলো ২০১৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ১৬ বিলিয়ন কর ছাড় থেকেও উপকৃত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এছাড়া আগামী জুলাই ১ তারিখ থেকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প বা ব্যবসাগুলোর জন্য ২৭.৫% থেকে ২৫% পর্যন্ত কমিয়ে আনা হয়েছে।
মিঃ স্ট্রং বলেন, কোন কোন ব্যবসার জন্য এটি ভালো নয়, কিন্তু কারো জন্য এটা ভালো দিক। ২.৫ শতাংশ ট্যাক্স কমালে অনেকেই সেটি সাশ্রয় করতে পারবে ভবিষ্যতে বিনিয়োগের জন্য।
এদিকে বৃহত্তর বিজনেস রিলিফ প্যাকেজের আওতায় যে প্রবৃদ্ধি এবং বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগের কথা ভাবা হচ্ছে তাতে প্রত্যাশা করা হচ্ছে আগামী ২০২২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ৬০,০০০ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
এএমপি ক্যাপিটালের শেইন অলিভার বলেন, "এই বাজেটের সবচেয়ে বড় বিস্ময়কর দিক হচ্ছে সরকার যে অতিরিক্ত ৯৪ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ করছে আগামী চার বা পাঁচ বছরে, তার ফলস্বরূপ আমরা একটি শক্তিশালী অর্থনীতি পাবো।"
তবে মি: অলিভার সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন যে করোনাভাইরাসের জন্য অর্থনীতি এখনো অনিশ্চিত, তাই যে কোন প্রণোদনাই অর্থনীতির জন্য সহায়ক।
তিনি বলেন, "এই বাজেটে ক্ষুদ্র ব্যবসাগুলো লাভবান হয়েছে এবং তারা এজন্য ন্যায্য ভাবেই এটির মূল্যায়ন করবে। তবে আমি মনে করি সরকার বুঝতে পেরেছে তাদের আরো অনেক কিছু করার আছে।"
এসবিএস বাংলার রেডিও অনুষ্ঠান শুনুন প্রতি সোমবার এবং শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় এবং আরও খবরের জন্য আমাদের ফেইসবুক পেইজটি ভিজিট করুন।
আরো দেখুন: