ভারতীয় বাংলা খবরে বলা হয়, বুধবার ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস (এফআরআরও) থেকে এই নির্দেশ আসে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আফসারা আনিকা মিম বিশ্বভারতীর কলাভবনের অধীন ব্যাচেলর অব ডিজাইন বিষয়ে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম 'কে আনিকা বলেন, সম্প্রতি তিনি সিএএ-বিরোধী (নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন) কিছু ছবি কৌতুহলবশত ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে ব্যঙ্গ করা হয়।
মিম বলেন, ‘যখন আমি বুঝতে পারি যে, এ নিয়ে কিছু মানুষ আমাকে নিয়ে ব্যঙ্গ করছে, তখনই আমি আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট অচল করে দেই। আমি সত্যিই নির্দোষ।’
এদিকে বিশ্বভারতীয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ধারণা, আফসারা আনিকা মিমের বিরুদ্ধে কেউ একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেছিল। এরপরই এমন সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তবে আফসার মিমের ভারত ছাড়ার নির্দেশে বিশ্বভারতীর শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তাঁর বন্ধুদের বক্তব্য, এরকম একটি বিক্ষোভের সময় আফসারা কিছুটা দূরে বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলছিলেন।
খবরে বলা হয়, বিশ্বভারতীর শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ওই ছাত্রীকে আইনি সহায়তার পাশাপাশি নৈতিক সমর্থন দিচ্ছেন। তার শিক্ষকদের একাংশ কলকাতার সিনিয়র আইনজীবীদের সাথে যোগাযোগ করে এই নির্দেশের বিরুদ্ধে কি আইনি পদক্ষেপ নেয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
হাই কোর্টের আইনজীবী শামীম আহমেদের বলেছেন, "মেয়েটি সোশ্যাল মিডিয়াতে কিছু ছবি পোস্ট করেছিল, সে ভিত্তিতে তাকে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়। "
তিনি বলেন, আফসারার ভারত ত্যাগের নির্দেশ আইনগতভাবে মোকাবেলা করা যাবে, কারণ সে কোন 'সরকারবিরোধী কর্মকান্ডে' যুক্ত ছিল এমন কোন প্রমান নেই।
"আমি তাকে আইনি সহায়তা দেব।"
বাংলাদেশী ছাত্রী আফসারা আনিকা মিম বাংলাদেশের কুষ্টিয়া থেকে ২০১৮ সালে ভারতে পড়তে যান। তিনি বিশ্বভারতীর ফাইন আর্টস বিভাগে ব্যাচেলর অফ ডিজাইন কোর্স করছেন।
আরো পড়ুন: