গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো
- গ্রুপ পর্যায়ের দ্বিতীয় খেলায় তিউনিশিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
- ২০১০ সালের পর ১২ বছর পর আবারও বিশ্বকাপ ম্যাচে জয়ী হলো সকারুরা।
কাতারে ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল ২০২২ এর গ্রুপ পর্যায়ে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্যান্সের কাছে ৪-১ গোলে পরাজিত হওয়ার পর, গত শনিবারে দ্বিতীয় ম্যাচটিতে জেতাটা খুবই দরকারি ছিল সকারুদের জন্য। তিউনিশিয়াকে ১-০ গোলে হারানোয় তাই সকারু-সমর্থকেরা এখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে।
ম্যাচের প্রথমার্ধ্ব শেষে এক গোলে এগিয়ে ছিল অস্ট্রেলিয়া এবং শেষ পর্যন্ত এই এক গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে তারা।
শুরু থেকেই সমান তালে আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণ শানাচ্ছিল উভয় দলই। ম্যাচের ২৩ মিনিটে অতি কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় সকারুরা। পাল্টা-আক্রমণ থেকে বাম দিক থেকে ক্রেরিগ গুডউইনের বাড়ানো বলে হেড করে তিউনিশিয়ার জালে বল জড়ান অস্ট্রেলিয়ার মিচেল ডিউক।
কাতারে, অস্ট্রেলিয়া দলের একজন সমর্থক রয়টার্সকে বলেন, তিনি মনে করেন, উভয় দলই ভাল খেলেছে।
তিনি বলেন, “আমার দেখা সেরা একটি ফুটবল ম্যাচ এটি। আমরা আন্ডারডগ ছিলাম; কিন্তু, আমরা আমাদের ভাগ্য-নিয়ন্তা হয়েছি এবং নিজেদের সুযোগ কাজে লাগিয়েছি ... তিউনিশিয়াও অনেক ভাল খেলেছে। তবে, তারা শুধু গোল করতে পারে নি। এটা অনেক চমৎকার একটি খেলা ছিল।”
“আর, এ কারণেই আপনি ফুটবল খেলা দেখেন, এ রকম গেমের জন্য।”
এদিকে, শেষ ষোলতে যেতে হলে তিউনিশিয়াকে গ্রুপ পর্যায়ে তাদের শেষ খেলায় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে হারাতে হবে।
স্টেডিয়ামের বাইরে, তিউনিশিয়ার পারফর্মেন্সে হতাশা প্রকাশ করেন দেশটির একজন সমর্থক ডৌরিড আল মৌসাভি।
তিনি বলেন,
“সত্যিই, তারা দুর্বল ছিল, তারা সঠিক সময়ে (খেলোয়াড়) বদল করে নি। আমরা সত্যিই তাদের সেরাটা দেখি নি। তাদের পারফর্মেন্স দুর্বল ছিল।”

Zouheira Yazidi was excited to see her two countries play in the World Cup, and opted to support Tunisia.
খেলার আগে, জোহেরা ইয়াজিদি বলেন, এই দু’টি দেশই তার নিজের দেশ। তাই কোনটিকে সমর্থন করবেন সেটা নির্ধারণ করাটা খুব কঠিনই ছিল তার জন্য।
এসবিএস নিউজকে তিনি বলেন,
“আমি আসলে আশা করি উভয় দেশই জিতুক।”
“আমি অস্ট্রেলিয়ায় জন্মেছি, তবে তিউনিশিয়া খেলায় অংশ নেওয়াতে আমি খুবই খুশি। তাই, আমি চাই, তারা জিতুক।”
সকারুরা এর আগে প্রথম ম্যাচে ফ্রান্সের কাছে ৪-১ গোলে হেরেছে। এখন তিউনিশিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে তারা ৩ পয়েন্ট পেল এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে যাওয়ার আশা টিকিয়ে রাখলো।
অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন মিচেল ডিউক। খেলা শেষে এসবিএস-কে তিনি বলেন,
“আমার বলার কোনো ভাষা নেই। এটা অনেক বড় একটি মুহূর্ত। আমার কান্না পাচ্ছে।”
“আমি এখন খুব বেশি আবেগ তাড়িত হতে চাচ্ছি না। আমাদেরকে আরও একটি বড় কাজ সম্পাদন করতে হবে (ডেনমার্কের বিরুদ্ধে)। আর, অস্ট্রেলিয়ার জন্য আরও ইতিহাস গড়ার এটাই সময়।”
২০১০ সালের আসরে সার্বিয়াকে হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। এর ১২ বছর পর এবার তিউনিশিয়াকে হারালো সকারুরা। তাছাড়া, ২০০৬ সালে জাপানকেও ৩-১ গোলে পরাস্ত করেছিল তারা।
আর, বিশ্বকাপের আসরে গোল করা অষ্টম অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড় হলেন ডিউক।
মেলবোর্নের ফেডারেশন স্কোয়ারে গান-বাজনার সঙ্গে আনন্দ-উৎসবে মেতে উঠে সমর্থকেরা।
এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: