ভারতের কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রকের মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি বলেছেন, ঠিক হয়েছে এবছরে সৌদিতে হজ্জ্ব পালনের জন্য ভারত থেকে কাউকে পাঠানো হবে না। ২ লক্ষ ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ হজ্জ্ব পালনের জন্য আবেদনের সময় টাকাও জমা দিয়েছিলেন। তাদের সেই টাকার পুরোটাই ডাইরেক্ট ট্রান্সফারের মাধ্যমে ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য,সৌদি সরকারের ঘোষণার পর বিভিন্ন দেশের যেসব মানুষ সৌদিতে থাকেন তারা অবশ্য হজ্জ্ব পালন করতে পারবেন। তবে সরকার স্পষ্ট করে জানায়নি, ঠিক কতজনকে এবার হজ্জ্ব পালনের অনুমতি দেওয়া হবে।সৌদি সরকারের তরফে আরও বলা হয়েছে, করোনা সংক্রমণের আশঙ্কার মধ্যে হজ্জ্ব যাতে নিরাপদে সম্পন্ন হয় তার জন্য ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে সোশ্যাল ডিস্টানসিং বজায় থাকবে। মানুষের জীবনও সুরক্ষিত থাকবে।
এর আগে করোনা মহামারির সংক্রমণের কারণে এবার হজ্জ্বযাত্রা নিয়ে টানাপোড়েন চলছিল। শেষ পর্যন্ত হজ্জ্ব আয়োজনের বিষয়ে ছাড়পত্র দিলেও বিদেশ থেকে কাউকে যোগ দিতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। সৌদির হজ্জ্ব ও উমরাহ বিষয়ক মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, অনাড়ম্ব ভাবে এবারে হজ্জ্ব আয়োজন করা হচ্ছে।এতে খুব কম সংখ্যক মানুষই অংশ নিতে পারবেন।
সৌদির তরফে এই ঘোষণার পরেই হজ্জ্ব যাত্রার জন্য নথিভুক্তকারী ভারতীয়দের টাকা ফেরানোর কথা জানিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভি। মঙ্গলবার এপ্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, এবার হজ্জ্ব যাত্রীদের আমরা সৌদি আরবে না পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ডায়রেক্ট ট্রান্সফারের মাধ্যমে নথিভুক্তকারী ২ লক্ষ ৩০ হাজারের বেশি মানুষকে তাঁদের পুরো টাকাই ফিরিয়ে দেওয়া হবে।