আফগানদের জন্য হিউম্যানিটেরিয়ান ও ফ্যামিলি ভিসা প্রোগ্রামে ১৫,০০০ স্থান রাখার প্রতিশ্রুতি দিল অস্ট্রেলিয়া

Afghans trying to leave the country following the Taliban takeover.

Afghans trying to leave the country following the Taliban takeover. Source: AUSTRALIAN DEFENCE FORCE/AAP

Get the SBS Audio app

Other ways to listen


Published

Updated

By Tom Stayner, Ellie Mitchell
Presented by Sikder Taher Ahmad
Source: SBS

Share this with family and friends


আফগানিস্তানে অস্ট্রেলিয়ার দুই দশক জুড়ে পরিচালিত মিশন নিয়ে সিনেট তদন্ত কমিটি তাদের রিপোর্ট প্রদান করেছে। গত বছর তালিবানদের ক্ষমতা গ্রহণের পর আফগানিস্তান ছেড়ে চলে আসার ক্ষেত্রে নয় দিন ধরে পরিচালিত এভাকুয়েশন মিশনে অস্ট্রেলিয়ার ব্যর্থতার বিষয়টিতে জোর দেওয়া হয়েছে সে রিপোর্টে। সম্প্রতি ফেডারাল সরকার আফগানদের জন্য হিউম্যানিটেরিয়ান ভিসার সুযোগ বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে।


তালেবানদের কাবুল দখলের পর প্রায় পাঁচ মাস পেরিয়ে গেছে। আফগানিস্তান থেকে অস্ট্রেলিয়ানদেরকে প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে যথাযথ পরিকল্পনা ও যোগাযোগ রক্ষায় ব্যর্থতার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে ফেডারাল পার্লামেন্টের একটি রিপোর্টে।

কাবুল পতনের কারণে আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার হিড়িক দেখা যায় মানুষের মাঝে। তালেবানদের দমনমূলক শাসন, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং অতীত কর্মকাণ্ডের কারণে মানুষ ভীত হয়ে দেশ ছাড়তে থাকে।
সিনেটর এরিক অ্যাবেজ পার্লামেন্টারি কমিটিতে ছিলেন। তিনি বলেন, তালেবানরা নিষ্ঠুর।

গত বছরের আগস্ট মাসে এভাকুয়েশন মিশন পরিচালিত হওয়ার সময়টিতে যথাযথভাবে যোগাযোগ রক্ষা করা হয় নি বলে সমালোচনা করা হয়েছে রিপোর্টটিতে। তখন ৪,১৬৮ জন অস্ট্রেলিয়ান, আফগান ভিসাধারী এবং অন্যান্য বিদেশী নাগরিককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয় অস্ট্রেলিয়ান বাহিনী।

সামরিক আইনজীবি গ্লেন কোলোমেজ বলেন, যাদের খুবই প্রয়োজন ছিল তাদেরকে সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা সাফল্য থাকলেও সেখানে এখনও অনেকেই আছে অনিশ্চয়তার মাঝে।

২০২১ সালের মে মাসে কাবুলে অস্ট্রেলিয়ান দূতাবাস বন্ধ করা হয়। এছাড়া, অসহায় লোকদেরকে পেছনে ফেলে আসার কারণ হিসেবে ভিসা প্রক্রিয়াকরণ এবং কর্মীদেরকে সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে বিলম্ব করার মতো বিষয়গুলোকে ব্যর্থতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

এতে আরও বলা হয়েছে যে, ভিসা আবেদনগুলো প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া সরকারকে অবশ্যই “সব ধরনের প্রচেষ্টা” চালাতে হবে। বিশেষত, সেসব আফগানের জন্য, যারা অস্ট্রেলিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে কাজ করেছে।

রিফিউজি অ্যাডভাইস অ্যান্ড কেসওয়ার্ক সার্ভিস বা RACS-এর একজন মুখপাত্র বলেন, তালেবানদের টার্গেট বা লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হতে পারে, এ রকম ভিন্ন ভিন্ন বহু জনগোষ্ঠী এই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।

ফেডারাল সরকার ঘোষণা করেছে যে, আফগান নাগরিকদের প্রতি তারা তাদের কমিটমেন্ট বা অঙ্গীকার আরও বাড়াবে এবং তাদেরকে অস্ট্রেলিয়ায় আসার জন্য সুযোগ বাড়িয়ে দিবে।

অস্ট্রেলিয়ার বিদ্যমান হিউম্যানিটেরিয়ান প্রোগ্রামে তাদের জন্য ১০,০০০ ভিসা এবং ফ্যামিলি স্ট্রিমে অন্তত ৫,০০০ ভিসা বরাদ্দ রাখা হবে।

আগামী চার বছর ধরে এই প্রোগ্রাম পরিচালিত হবে। তবে, গ্রিনস দলের ইমিগ্রেশন ও সিটিজেনশিপ বিষয়ক মুখপাত্র সিনেটর নিক ম্যাককিম বলেন, এটা যথেষ্ট নয়। আর, আফগানিস্তানের পরিস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়ারও ভূমিকা থাকার কারণে, তাদের জন্য আরও বেশি ভিসা বরাদ্দ রাখার নৈতিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার।

একসময় দোভাষী হিসেবে কাজ করতেন নাভীদ। পুরো নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই ব্যক্তি ইভাকুয়েশনের সময়ে অস্ট্রেলিয়ায় আসতে পারেন নি। আর, এখন পর্যন্ত যত দূর জানা যায়, তার ভিসা-আবেদনও মঞ্জুর হয় নি।

অদূর ভবিষ্যতেও কোনো সাহায্য পাওয়ার আশা নেই বলেন নাভীদ।

পুরো প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।

Follow SBS Bangla on .


এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: 

আমাদেরকে অনুসরণ করুন 

Share