মেলবোর্নে শিশুদের জন্য অনলাইনে পাঠদানের এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন মহম্মদ হাসান রণ। রণ’র স্কুল নামে পরিচিত এই কর্মসূচীতে ‘পড়ে শিখে বেড়ে উঠো’ সেশনগুলো ৩ থেকে ৬ বছর বয়সের বাচ্চাদের সাহায্য করবার জন্য সাজানো হয়েছে। RMIT ইউনিভার্সিটির School of Vocational Engineering Health and Sciences-এর সিনিয়র এডুকেটর মোহাম্মাদ হাসান এসবিএস বাংলাকে জানিয়েছেন তার স্কুলের কার্যক্রম সম্পর্কে।
Mohammad Hassan Rono, Senior Educator, RMIT Source: Mohammad Hassan Rono
মিঃ রণ জানান তিনি সপ্তাহে দু’টি, ৩০ মিনিট করে এই সেশনগুলো পরিচালনা করবেন। বাংলা বা ইংরেজি পড়তে না পারা বাচ্চাদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য প্রস্তুত করার জন্য এই উদ্যোগ বেশ কাজে লাগবে বলে তার প্রত্যাশা।
তিনি বলেন, 'এই প্রোগ্রামটি ধারাবাহিক, খেলাভিত্তিক। ছোট্ট শিশুদের মানসিক বৃদ্ধির সাথে সামঞ্জস্য রেখে এর পাঠদান পদ্ধতি তৈরি করা হয়েছে। সবকিছু মজাদার এবং আকর্ষক উপায়ে শেখানো হয়।'
মিঃ রণ বলেন যে কোনও শিশু যদি শক্তিশালী ভিত্তি ও দক্ষতা নিয়ে স্কুল শুরু করে, তবে তারা আত্মবিশ্বাসী শিক্ষার্থী হিসাবে প্রাথমিক বিদ্যালয়টি শুরু করতে পারবে।
'যে বাচ্চাগুলো বিদ্যালয়ে যাওয়ার আগে রণর স্কুলে পড়াশুনা করবে তাদের জন্য নতুন স্কুলের রুটিন এবং প্রত্যাশাগুলি সহজসাধ্য হবে।'
এই উদ্যোগটি সম্পর্কে তিনি বলেন, 'কভিডের এই সময়টা যেমন যাচ্ছে, সব কিছু অনলাইন কেন্দ্রিক। উদ্যোগটি ব্যতিক্রমী এই অর্থে অস্ট্রেলিয়ার স্ট্যান্ডার্ড ফলো করে বাংলভাষাভাষীদের জন্য ছোটদের জন্য অনলাইন পাঠদানের কোন উদ্যোগ আমার জানামতে নেই।'
'তবে শুধু কভিডের জন্য এই উদ্যোগ তা নয়, অনেকদিন ধরেই আমি এটি নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছিলাম'।
মহম্মদ হাসান রণ'র পুরো সাক্ষাৎকারটি শুনতে ওপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।
আরও দেখুনঃ