পানিতে ডুবে যাওয়া থেকে বাঁচার উপায়

AAP

Source: AAP

Get the SBS Audio app

Other ways to listen


Published

By Wolfgang Mueller
Presented by Abu Arefin
Source: SBS


Share this with family and friends


অস্ট্রেলিয়ায় গ্রীষ্মকাল আসছে। সাঁতারুদেরকে সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। কারণ, গত বছরের তুলনায় পানিতে ডুবে যাওয়ার ঘটনা দশ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।


মনোরম সমুদ্র-সৈকতের জন্য অস্ট্রেলিয়া বিশ্ব-বিখ্যাত। তবে, দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই সমুদ্রসৈকতগুলোতে মর্মান্তিক ঘটনাও ঘটে থাকে।

র‌য়্যাল লাইফ সেভিং সোসাইটি অস্ট্রেলিয়ার প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যায়, গত ১২ মাসে অস্ট্রেলিয়ায় ২৭৬ ব্যক্তির ভয়ানকভাবে ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

এই সংখ্যা গত বছরের চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি।

রয়্যাল সেভিং সোসাইটি অস্ট্রেলিয়ার Stacey Pidgeon বলেন, এসব মর্মান্তিক দুর্ঘটনার উচ্চ হারের পেছনে যে-সব কারণ রয়েছে সেগুলো হলো সমুদ্র-সৈকতের বিভিন্ন ঝুঁকি সম্পর্কে অনভিজ্ঞতা এবং সাঁতারে অদক্ষতা।

তবে, ডুবে যাওয়ার ক্ষেত্রে আরও একটি বড় কারণ রয়েছে। সেটা হলো অ্যালকোহল।

নর্দার্ন বিচেস কাউন্সিলের অধীনে রয়েছে বিখ্যাত ম্যানলি সার্ফ বিচ। এই নর্দার্ন বিচেস কাউন্সিলের বিচেস সার্ভিসেস ম্যানেজার ক্লিনটন রোজ বলেন, নিরাপদে সাঁতার কাটার জন্য পরিষ্কারভাবে নির্দেশিকা দেওয়া আছে। যারাই সাঁতার কাটতে আসেন তাদেরকে অবশ্যই তা মেনে চলতে হবে।

ক্লিনটনে রোজ বলেন, আপনি যদি সংশয়ে পড়েন যে, পানিতে নামাটা নিরাপদ হবে কিনা, তাহলে সমুদ্র-সৈকতের গার্ডের সঙ্গে কথা বলুন।

তিনি আরও বলেন, ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটে খুব দ্রুত। এক মিনিটের মধ্যেই একজন পরিণত বয়সী মানুষ চেতনা হারাতে পারেন। সেজন্য অতি দ্রুত সাহায্য চাওয়ার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।

অস্ট্রেলিয়ান ইনডিয়ান স্পোর্টস, এডুকেশন অ্যান্ড কালচারাল সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেছেন গুরনাম সিং। অস্ট্রেলিয়ার বিদেশী শিক্ষার্থীদেরকে নানাভাবে সহায়তা করে এই অলাভজনক সংগঠনটি। গুরনাম সিং বলেন, নবাগতদেরকে অস্ট্রেলিয়ার বিচ-কালচার এবং সৈকতগুলোর বিভিন্ন বিপদ-আপদ সম্পর্কে সচেতন করে এই সংগঠনটি।

তবে, অজ্ঞতার কারণে তারা তাদের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলে, বলেন তিনি।

অস্ট্রেলিয়ায় সবচেয়ে বিপদজনক খেলা হিসেবে গণ্য করা হয় এই রক ফিশিংকে।

প্রতিবছর জোয়ারের সময়ে, উঁচু ঢেউয়ের কারণে এবং পিছলে পড়ে অনভিজ্ঞরা দুর্ঘটনায় নিপতিত হয় এবং জীবন হারায়।

Stacey Pidgeon বলেন, ডুবে যাওয়ার ঝুঁকি কমানোটা জরুরি।

স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে লাইফ গার্ডের কাজ করাটা স্বপ্নের মতো। বিশ্বের বিভিন্ন মনোরম সমুদ্র-সৈকতে কাজ করার সুযোগ মেলে এতে। এছাড়া, মানুষের জীবন-রক্ষায়ও অবদান রাখা যায়।

এ কাজের জন্য অনেক প্রশিক্ষণের দরকার হয়। তবে, ক্নিনটন রোজ বলেন, সব পটভূমির লোকের জন্যই এক্ষেত্রে কাজের সুযোগ রয়েছে।

প্রতিবেদনটি বাংলায় শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।

Follow SBS Bangla on .


Share