অস্ট্রেলিয়ায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা আশঙ্কা করছে যে তারা গৃহহীনতার ঝুঁকিতে রয়েছে

Vikki Qin (SBS)

Source: SBS

Get the SBS Audio app

Other ways to listen


Published 19 April 2020 2:35am
By Abbie O’Brien
Presented by Abu Arefin
Source: SBS

Share this with family and friends


অস্ট্রেলিয়ায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা আশঙ্কা করছে যে তারা গৃহহীনতার ঝুঁকিতে রয়েছে, মহামারীরফলে এখন অনেকে বেকার হলেও দেশে ফিরে যাতে পারছে না ।অস্থায়ী ভিসাধারীরা ফেডারাল সরকারের $ ১৩০ বিলিয়ন ডলারের জব সিকার প্যাকেজের জন্য যোগ্য নন, বা তারা ভাড়া সহায়তা প্রকল্পের আওতাভুক্ত নয়। প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারের লিংকটিতে ক্লিক করুন।


২১ বছর বয়সি ইতালীয় আন্তর্জাতিক ছাত্র আন্ড্রেয়া অ্যান্ড্রেড গত দুই বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছেন।

অনেকের মতো, করোনাভাইরাসের কারণে গৃহীত পদক্ষেপের ফলে তিনি তার চাকরিটি হারিয়েছেন।

এবং কোনও financial safety net ছাড়াই, তিনি আশঙ্কা করছেন যে তাকে বাধ্য হয়ে রাস্তায় নামতে হতে পারে।

অস্ট্রেলিয়ার ৫৬৫,০০০ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর বেশিরভাগ হসপিটালিটি এবং রিটেল শপ কিংবা ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে কাজ করে, যা মহামারীর কারণে প্রায় বিধ্বস্ত হতে চলেছে।

তবে তারা ফেডারাল সরকারের ১৩০ বিলিয়ন ডলার জবকিপার প্যাকেজের আওতাভুক্ত নয়।

গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছিলেন যে, তারা যদি অস্ট্রেলিয়ায় নিজেকে প্রতিপালন করতে না পারে তবে তাদেরকে নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে।


আইনজীবী নিক হানা বলেছেন যে এটি এত সহজ নয়।

আন্তর্জাতিক শিক্ষা অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম রফতানি মুখী শিল্প , প্রতি বছর প্রায় ৩২ বিলিয়ন ডলার অর্থনীতিতে যোগান দেয়।

শিক্ষার্থীরা পাক্ষিক ৪০ ঘন্টা কাজ করার সুযোগ পায়, এবং তারা কর দেয়।

অস্ট্রেলিয়া এই খাতের উপর অনেক বেশি নির্ভরশীল।সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ক্রিস রাইট অভিবাসী কর্মীদের নিয়ে গবেষণা করছেন। তিনি বলেছেন যে, মনে হয় যে, তাদের কাছে আমরা কোনোভাবে ঋণী, এটা দেশটি অনুভব করে না।


ভিকি চিন বলেন যে, তার স্বদেশ চীন থেকে ফিরে যাওয়ার বিমান চলাচল সীমিত এবং ব্যয়বহুলও বটে।

এবং ২২ বছর বয়সের এই অর্থনীতির শিক্ষার্থী আশঙ্কা করছে যে সে যদি দেশে যায় তবে সে তার ডিগ্রি শেষ করতে অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে আসতে পারবেন না।

এক বিবৃতিতে শিক্ষামন্ত্রী ড্যান তেহান বলেছেন যে, তিনি অবগত আছেন “এই ভাইরাস আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের উপর প্রভাব ফেলছে"।

তিনি আরো বলেন "যারা এখানে ১২ মাসেরও বেশি সময় ধরে রয়েছেন তারা তাদের Australian superannuation" এর সহায়তা পেতে সক্ষম হবেন।"

তবে বিশেষজ্ঞরা যুক্তি দেখিয়েছেন যে, migrant exploitation বা অভিবাসীদের উপর অন্যায় সুযোগ নেওয়ার বিষয়টি একটি চলমান ইস্যু। তাদের অনেককে কখনই super এর অর্থ দেয়া হয় নি।

গ্রিনস সিনেটর Dr Mehreen Faruqi বলেন যে, এখন সময় এসেছে সরকারের বিদেশি শিক্ষার্থীদের উপকার ফিরিয়ে দেওয়ার।

মেলবোর্ন সিটি কাউন্সিল এই সপ্তাহে বিদেশী শিক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য একটি motion আনছে।


কিছু বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনৈতিক সহায়তা দেয়ার চিন্তা ভাবনা করছে।সীমিত আবাসন সহায়তা, জীবন-যাপন, অধ্যয়ন-ব্যয়-সহ বিশবিদ্যালয় ফি দেয়ার সময় বর্ধিত করছে।

তবে Universities Australia বলছে যে, আরও সাহায্যের প্রয়োজন রয়েছে এবং এটি অর্জনের জন্য সরকারের সাথে কাজ করার চেষ্টা করছে।

বাংলায় করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) বিষয়ক আমাদের সর্বশেষ আপডেটের জন্য ভিজিট করুন:


Share