"করোনাভাইরাস জনগণের এক নম্বর দুশমন": ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের হুঁশিয়ারি

Coronavirus

Tedros Adhanom Ghebreyesus, Director General of the WHO informs the media about the covid-19 virus Source: AAP

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন ঘাতক করোনাভাইরাস নিয়ে সর্বোচ্চ হুঁশিয়ারি জারি করেছে। এই রোগের প্রাদুর্ভাবের মোকাবেলায় একটি উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে ইউএন হেলথ এজেন্সি বলেছে যে এটি সন্ত্রাসবাদের চেয়েও বিশ্বে বড় হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে।


'জনতার এক নম্বর শত্রু' -ঠিক এই ভাষাতেই ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের প্রধান মারাত্মক নভেল করোনা ভাইরাস নিয়ে মন্তব্য করলেন। 

সংস্থাটির ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রস গেবরি আয়সস জোর দিয়ে বলেছেন যে  এই প্রাদুর্ভাব চীনের জন্য ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে ঠিকই, তবে এটা সারা বিশ্বের জন্যই বড় ধরণের হুমকি।

ইউএন হেলথ এজেন্সির কাছ থেকে এই উদ্বেগজনক সতর্কতাটি এসেছে যখন সংস্থাটি এর প্রাদুর্ভাব নিয়ে সুইটজারল্যান্ডের জেনিভাতে তাদের প্রথম বড় সম্মেলনটি করেছে। 

সারা বিশ্ব থেকে প্রায় ৪০০ বিজ্ঞানী দুইদিনের এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন , এখানে তারা পর্যালোচনা করেছেন কিভাবে ভাইরাস টি ছড়াচ্ছে এবং এর সম্ভাব্য ভ্যাকসিন কি হতে পারে।  রোগটির অফিসিয়াল নাম দেয়া হয়েছে covid - ১৯। 

ডঃ টেড্রস সম্মেলনে এর ঘোষণা দিয়েছেন। 

গত ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম চিহ্নিত করা এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১৫ শতেরও বেশি মানুষ মারা গেছে এবং ২৫টির মতো দেশে  প্রায় ৬৬ হাজার লোক আক্রান্ত হয়েছে। 

যতগুলো সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে তার ৯৯ ভাগই চীনের, সেখানে এই সপ্তাহে হু-এর একটি উচ্চ পর্যায়ের আন্তর্জাতিক টিম এই প্রাদুর্ভাবতী নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে। 

চীনের প্রধান মেডিকেল এডভাইজর অবশ্য এই প্রাদুর্ভাবের তীব্রতা বড় করে দেখছেন না, তিনি বলছেন এটি এপ্রিলের শুরুতেই শেষ হয়ে যাবে। 

কিন্তু ঝং নানসান শিকার করেছেন যে উহানে পরিস্থিতি এখনো সংকটপূর্ণ। 

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল বলেছে দুই শতাংশ মৃত্যুর হারের কারণে ভাইরাসটি সার্সের চেয়ে কম ভয়ংকর যেখানে ওই ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুহার ছিল ১০ শতাংশ। 

কিন্তু সংস্থাটির প্রিন্সিপাল ডেপুটি ডিরেক্টর ডঃ অ্যান সুচাত বলেন, যেহারে Covid - ১৯ ছড়াচ্ছে তা ভীতিকর। 

সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা এই ভাইরাস প্রতিরোধে একটি ভ্যাকসিন পেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন - এই প্রক্রিয়া শেষ হতে প্রায় কয়েক বছর লেগে যায়। 

যুক্তরাজ্যের একটি গবেষক দল মনে করছেন তারাই এর চিকিৎসার জন্য প্রথম এনিম্যাল টেস্ট করছেন।  

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের একজন শীর্ষ সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ এন্থনি ফাউসি বলেন যে এর জন্য একটি ভ্যাকসিন মানুষের চিকিৎসার জন্য পেতে অন্তত ১২ মাস অপেক্ষা করতে হবে। 

শেষ পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা এমন অবস্থায় হয়তো পৌঁছাবেন যখন আর এর জন্য ভ্যাকসিন দরকার হবে না , যেমনটি ২০০২ সালের সার্স প্রাদুর্ভাবের সময় হয়েছিল, ভ্যাকসিন পুরোপুরি আবিষ্কারের আগেই তার বিনাশ ঘটে। 

পুরো প্রতিবেদনটি শুনতে ওপরের লিংকে ক্লিক করুন

আরো পড়ুন:



Share