জয়ের জন্য ২১০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং সৌম্য সরকারের উড়ন্ত সূচনার পর ৫.৩ ওভারেই গড়ে ৫৯ রানের জুটি। ১৩ বলে ১৮ রান করে আউট হন তামিম ইকবাল।
তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামেন সাব্বির রহমান শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে কোনো রান না করেই ফিরে গেলেন তিনি । চার নম্বরে ব্যাট করতে নামেন মুশফিকুর রহীম।১৪তম ওভারের শেষ বলে এলবির ফাঁদে পড়েন প্যাভিলিয়নে ফেরেন মুশফিকুর রহিম। রেইফারের বলে আউট হওয়ার আগে ২২ বলে দুই চার, দুই ছক্কায় মুশফিক করেন ৩৬ রান। দলীয় ১৩৬ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১৪ বল খেলে একটি চার সহ মোহাম্মদ মিঠুন ব্যাট থেকে আসে ১৭ রান । ২০ বলে ফিফটি করেন মোসাদ্দেক হোসেন। যা বাংলাদেশের তৃতীয় দ্রুততম ফিফটি। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২১ বলে ১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। ২৪ বলে করেন অপরাজিত ৫২, যেখানে চার ছিল দুটি আর ছক্কার মার ছিল ৫টি।এর আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা। তবে ডাবলিনে বৃষ্টির কারণে দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকে ম্যাচটি।
বৃষ্টি কারণে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ২০.১ ওভারে ১৩১ রান তুলে দুই উইন্ডিজ ওপেনার শাই হোপ ও সুনীল অ্যামব্রিস। দু’জনেই পেয়েছেন ফিফটির দেখা।
ইনিংসের ২৩তম ওভারে মিরাজ ফিরিয়ে দেন ওপেনার শাই হোপকে। বাউন্ডারি সীমানায় দারুণ ক্যাচ নেন মোসাদ্দেক হোসেন। তার আগে ক্যারিবীয়ান ওপেনার ৬৪ বলে ৬টি চার আর তিনটি ছক্কায় করেন ৭৪ রান। দলীয় ১৪৪ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় উইন্ডিজরা। আরেক ওপেনার সুনীল অ্যামব্রিস ৭৮ বলে সাতটি চারে ৬৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। তিন নম্বরে নামা ড্যারেন ব্রাভো ৩ রানে অপরাজিত থাকেন।
বৃষ্টিতে দীর্ঘ সময় খেলা বন্ধ থাকায় ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে ২৪ ওভারে। উইন্ডিজের সংগ্রহ ১৫২। বৃষ্টি আইনে (ডাকওয়ার্থ লুইস মেথডে) টাইগারদের টার্গেট ২১০ রান।