আইসিসির সবশেষ র্যাঙ্কিংয়ে ওয়ানডের সেরা অলরাউন্ডারের শীর্ষে উঠে এসেছেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ৩৫৯ পয়েন্ট নিয়ে রশিদ খানকে টপকে শীর্ষে সাকিব। আফগানিস্তানের অলরাউন্ডার ২০ পয়েন্ট পেছনে থেকে দ্বিতীয় স্থানে নেমে গেছেন। রশিদের আফগান সতীর্থ মোহাম্মদ নবি ৩১৯ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয়।
২০০৯ সাল থেকে ওয়ানডের সেরা অলরাউন্ডারের স্থানটি বেশিরভাগ সময়ই ধরে রেখেছিলেন সাকিব আল হাসান। মাঝেমধ্যে যে দু-একবার হাতছাড়া , হলেও অল্প সময়েই শীর্ষ আসন পুনরুদ্ধার করেন । বিশ্বকাপের ঠিক আগে সর্বশেষ ওয়ানডে অলরাউন্ডারের ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত ফর্মে থেকে মুকুট ফিরে পেলেন সাকিব।
আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে দারুণ ফর্মে ছিলেন সাকিব। দুটি হাফসেঞ্চুরি সহ সব মিলিয়ে ১৪০ রান করেন, নেন দুটি উইকেট। বিশ্বকাপের ঠিক আগেই এমন অর্জন সাকিবকে আরও বেশি উৎসাহ যোগাবে। ত্রিদেশীয় সিরিজে ব্যাটিংয়ে-বোলিংয়ে সাকিব ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। সাইড স্ট্রেইনের কারণে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল মিস করেছেন সাকিব।
শীর্ষ দশ আসনের মধ্যে আরো আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। তিনি আছেন অষ্টম স্থানে। শ্রীলঙ্কার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ১০ নম্বরে।বিশ্বকাপের বাইরে থাকা জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজা নবম হয়েছেন ।
সেরা দশে আরো আছেন পাকিস্তানের ইমাদ ওয়াসিম চতুর্থ ও মোহাম্মদ হাফিজ সপ্তম , নিউজিল্যান্ডের মিচেল স্যান্টনার পঞ্চম ও ইংল্যান্ডের ক্রিস ওকস চার ধাপ এগিয়ে ৬ নম্বরে উঠেছেন।
অন্যদিকে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবী ও নিউজিল্যান্ডের পেসার লকি ফার্গুসনের সঙ্গে যুগ্মভাবে ১৯তম সাকিব। ওয়ানডে বোলিং এর রেঙ্কিং শীর্ষ দশে জায়গা পাননি বাংলাদেশের কোনো বোলার। ৬৪৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় ১১তম মোস্তাফিজুর রহমান। অফস্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ও অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ২২ ও ২৪তম। আর ব্যাটসম্যানদের রেঙ্কিংএ বাংলাদেশিদের মধ্যে সবার উপরে মুশফিকুর রহীম- ৬৯৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ২০তম। মুশফিকের পর ৬৭৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ২২তম তামিম ইকবাল।