‘নিজের দেশে ফেরত যাও’, শুনতে কেমন লাগবে?
রিফিউজি ব্যাকগ্রাউন্ডের তিন জন অস্ট্রেলিয়ান নারী বর্ণবাদ নিয়ে তাদের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন।
শাকায়েকের পরিবার এসেছে আফগানিস্তান থেকে।
শাকায়েক বলেন, স্কুলের আর্ট ক্লাসে একবার তাকে একজন বলেছিল, যেখান থেকে এসেছো সেখানেই ফেরত যাও।
“সেই ছেলেটি আমার কাছে আসে এবং বলে, ‘যেখান থেকে এসেছো সেখানে ফেরত যাও। তুমি এখানে কেন?’।”
এসবিএস-কে তিনি বলেন,
“সেই মুহূর্তে আমি খুব অসহায় বোধ করছিলাম। হাইস্কুলের পরিবেশ নিয়ে আমি এমনিতেই খুব শঙ্কিত ছিলাম। সবকিছুই অন্যরকম লাগছিল।”
সেই ঘটনার কয়েক বছর পর শাকায়েক বুঝতে পারেন, এক্ষেত্রে তার দোষ ছিল না।
“পাঁচ বছর পর আমি বুজতে পারলাম, এটা সেই ছেলেটিরই সমস্যা ছিল। এটি আমার দেশ। আমি অন্য কোথাও ফেরত যেতে পারি না।”
আপাজোকের পরিবার এসেছে দক্ষিণ সুদান থেকে।
একবার ট্রেনের জন্য তিনি অপেক্ষা করছিলেন, তখন প্লাটফর্মে এক লোক তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। “সেই লোকটি তার দিকে এগিয়ে আসে এবং বলে, ‘যেখান থেকে এসেছো সেখানেই ফিরে যাও’। সে আরও কিছু কঠোর শব্দও ব্যবহার করে,” বলেন আপাজোক।
“এতে আমি অনেক হতাশ হয়ে যাই। আমি কিছুটা হতবুদ্ধিও হয়ে পড়ি। কারণ, আমি আমার পুরো জীবন অস্ট্রেলিয়াতেই কাটাচ্ছি, আমি এখানকারই একজন।”
“আমি তাকে উপেক্ষা করলাম এবং পাত্তা দিচ্ছিলাম না। তখন সে এগিয়ে এসে আমার উপর থুতু ফেলে এবং চলে যায়।”
হোলার পরিবার এসেছে উগান্ডা থেকে। তার বয়স যখন ১৪ বছর তখন একদিন ট্রেনে উঠার সময়ে এক লোক তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে।
“সে আমাকে এন-ওয়ার্ড (নিগার) বলে এবং আরও বলে, ‘যেখান থেকে এসেছো সেখানেই ফেরত যাও’। আমি এতে হতবুদ্ধি হয়ে পড়ি। একটি শিশু কিংবা একজন টিনেজার হিসেবে এ রকম আচরণ কেউ আশা করে না।”
airs over three consecutive nights, October 2 – 4, 8.30pm, LIVE on SBS Australia and streaming live at SBS On Demand.