৭৫ বছরে এসে বিশ্ব-শান্তি রক্ষায় কতটা প্রয়োজনীয় ন্যাটো জোট?

Politics - NATO Ceremony - Washington D.C

Dean Acheson, United States Secretary of State, puts his name to the North Atlantic Treaty at the ceremony in the auditorium of the State Department in Washington D.C, at which the Foreign Ministers of 12 nations signed the pact. Watching him are President Harry S Truman (second from left), and Vice-President Alben Barkley (left). In the background can be seen Foreign Secretary Ernest Bevin. (Photo by PA Images via Getty Images) Source: SBS / PA Images/PA Images via Getty Images

চলতি সপ্তাহের ৪ এপ্রিলে ন্যাটোর ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হবে। স্নায়ুযুদ্ধের সময় প্রতিরক্ষার উদ্দেশ্যে এর শুরু হলেও, সম্প্রতি রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় নতুন সদস্য ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনকে স্বাগত জানানোর মধ্য দিয়ে এটি নিজেকে একটি গতিশীল শক্তিতে পরিণত করেছে। সম্মিলিত প্রতিরক্ষা ও শান্তির প্রতিশ্রুতি নিয়ে ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত ন্যাটোর সাম্প্রতিক সম্প্রসারণ বহিঃশক্তির বিরুদ্ধে একটি কৌশলগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়, বিশেষ করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে।


এপ্রিল মাসের ৪ তারিখে ন্যাটো জোট গঠনের ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন করবে।

১৯৪৯ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান এবং আরও ১১টি দেশের প্রতিনিধিরা আনুষ্ঠানিকভাবে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করে এই জোট গঠন করেন।

ন্যাটো তার সদস্য দেশগুলির মধ্যে সম্মিলিতভাবে প্রতিরক্ষা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, মূলত তখনকার স্নায়ুযুদ্ধের প্রতিক্রিয়া হিসাবে।

আর সম্প্রতি মূলত ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে, ন্যাটো আরও দুটি দেশকে সদস্য হিসেবে গ্রহণ করেছে। খুব সম্প্রতি ফিনল্যান্ড এবং গত মাসে সুইডেনকে জোটে স্বাগত জানিয়েছে তারা।

১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর পূর্ব ইউরোপ থেকে কিছু সদস্য গ্রহণের পর থেকে এখন পর্যন্ত সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের যোগদানই এই জোটের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সম্প্রসারণ। এর মধ্যে সুইডেন ১৮১৪ সালের পর থেকে কোনো যুদ্ধে জড়ায়নি।

সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের অন্তর্ভুক্তিকে অনেকেই রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য একটি আঘাত হিসাবে দেখছেন, যিনি এই জোটকে আরও শক্তিশালী করার বিরুদ্ধে চেষ্টা করে চলেছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট পুতিনকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন যে রাশিয়ার ইউক্রেনে হামলা ন্যাটোকে আরও শক্তিশালী করবে।

মাত্র গত সপ্তাহেই প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্রদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, পশ্চিমারা যদি ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সরবরাহ করে তাহলে রুশ বাহিনী তাদের গুলি করে ভূপাতিত করবে।

বিশ্লেষকদের মতে ন্যাটোর আরও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ন্যাটো বাহিনীকে যে কোনও রাশিয়ান আক্রমণ থেকে রক্ষা করার দিকে পুনরায় মনোনিবেশ করার জন্য রূপান্তরিত করা। কারন তার আগের কয়েক দশক ধরে ন্যাটো তার সীমানার বাইরের কিছু অঞ্চল যেমন আফগানিস্তান এবং বলকান মিশনে মনোনিবেশ করেছিল।

আর এশিয়ায় ন্যাটো নিজেদের কীভাবে পরিচালিত করবে তা নিয়েও মতপার্থক্য সামলাতে হবে, কারণ একদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনকে মোকাবেলায় আরও বেশি ভূমিকা রাখার জন্য চাপ দিচ্ছে, অন্যদিকে ফ্রান্সের মতো দেশ জোর দিয়ে বলছে যে ন্যাটোকে অবশ্যই উত্তর আটলান্টিক অঞ্চলে মনোযোগ বজায় রাখতে হবে।

রবার্ট বেনসন সেন্টার ফর আমেরিকান প্রগ্রেসের জাতীয় নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক নীতি বিষয়ক জ্যেষ্ঠ নীতি বিশ্লেষক।

তিনি বলেন,
৭৫ বছর ধরে ন্যাটোর টিকে থাকা অনেক ক্ষেত্রেই শান্তি সুনিশ্চিত করেছে।

সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ার বাটনে ক্লিক করুন।
এসবিএস রেডিও সম্প্রচার-সূচী হালনাগাদ করেছে, এখন থেকে প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার, বিকাল ৩টায়, এসবিএস পপদেশীতে আমাদের অনুষ্ঠান শুনুন, লাইভ।

কিংবা, পুরনো সময়সূচীতেও আপনি আমাদের অনুষ্ঠান শোনা চালিয়ে যেতে পারেন। প্রতি সোম ও শনিবার, সন্ধ্যা ৬টায়, এসবিএস-২ তে।

রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: 

আমাদের ফেসবুক পেজে যুক্ত থাকুন: 

Share