অভিবাসী কর্মীদের প্রতি নির্ভরতা বেড়েছে অস্ট্রেলিয়ায়

Patient being rushed through hospital corridor

Australia's health service relies on staff who were born overseas. Source: Getty / Reza Estakhrian

দক্ষ কর্মীর অভাব পূরণের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া ক্রমবর্ধিত হারে নির্ভর করে থাকে অভিবাসীদের ওপরে। বিশেষত, তথ্যপ্রযুক্তি এবং নার্সিং খাতে। সাম্প্রতিক আদমশুমারিতে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অস্ট্রেলিয়ান ওয়ার্কফোর্সে কিছু বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে দেখা গেছে। আর এই দেশটি অন্য যে-কোনো সময়ের তুলনায় এখন দক্ষ অভিবাসনের ওপরে বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।


এক দশক আগে ফিলিপিন্স থেকে অস্ট্রেলিয়ায় এসেছেন নার্স মলি কিয়াবিয়াব। তিনি বলেন, তার ফিলিপিনো সহকর্মীদের কাছে অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসনের বিষয়টি অনেক জনপ্রিয়।

অস্ট্রেলিয়ার হেলথকেয়ার সিস্টেমকে বাঁচিয়ে রেখেছে দক্ষ অভিবাসী কর্মীরা। মলি কিয়াবিয়াব তাদেরই একজন। সাম্প্রতিক সেনসাস রিপোর্টে দেখা গেছে, অস্ট্রেলিয়ার ৪০ শতাংশ নার্স এবং কেয়ারারের জন্ম হয়েছে দেশটির বাইরে।

ওয়েস্টার্ন হেলথ নার্স ইউনিট ম্যানেজার মিরা রোবলস বলেন, হেলথকেয়ার ইন্ডাস্ট্রিকে টিকিয়ে রাখার জন্য অভিবাসী কর্মীদেরকে এই খাতে কাজে আগ্রহী করার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
২০১৬ সালের তুলনায় এখন ২০ শতাংশ বেশি রেজিস্টার্ড নার্স রয়েছে। তবে, এক্ষেত্রে জেন্ডার ডাইভার্সিটিতে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে।

অস্ট্রেলিয়ান ব্যুরো অফ স্টাটিস্টিক্স-এর থেরেসা ডিকেনসন বলেন, এই খাতটিতে নারীদের আধিপত্য এখনও বজায় আছে।

সেনসাসে প্রাপ্ত তথ্যে আরও দেখা যায়, মানসিক স্বাস্থ্য কর্মীর সংখ্যা ৪০ শতাংশ বেড়েছে।

অরিজেন ইয়ুথ মেন্টাল হেলথ-এর একজিকিউটিভ ডাইরেক্টর, প্রফেসর প্যাট ম্যাকগোরি বলেন, এই খাতটি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে সংগ্রামে লিপ্ত।

প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে দেখা যায়, প্রতি সাত জনে এক জন হেলথকেয়ার এবং সোশাল অ্যাসিস্ট্যান্স খাতে কাজ করেন। আর, পড়াশোনার বিষয় হিসেবে অন্যতম জনপ্রিয় একটি বিষয় হলো নার্সিং।

ওয়ার্কফোর্সের ৪০ শতাংশ জুড়েই রয়েছে চারটি বড় বড় ইন্ডাস্ট্রি। এগুলো হলো, হেলথ কেয়ার, রিটেইল, কনস্ট্রাকশন এবং এডুকেশন। আর, অস্ট্রেলিয়ানদের মধ্যে অর্ধেকেরই বেশির একটি ভোকেশনাল কিংবা টার্শিয়ারি কোয়ালিফিকেশন আছে।
হেলথকেয়ার পেশা খুব দ্রুতই বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষত, বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধী সেবার ক্ষেত্রে কর্মী-সংখ্যা বেড়েছে ৭২ শতাংশ। এছাড়া, তথ্য-প্রযুক্তি খাতেও কর্মী-সংখ্যা অনেক বেড়েছে।

আই-টি সাপোর্ট ওয়ার্কার, প্রোগ্রামার এবং সিস্টেম এনালিস্টের সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ডেমোগ্রাফার ড. লিজ অ্যালেন বলেন, উচ্চ পর্যায়ের প্রশিক্ষণ এবং যোগ্যতার প্রয়োজন। সেজন্য, তরুণ প্রজন্মের জন্য কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করাটা অনেক চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়ে।

প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।
এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: 

আমাদেরকে অনুসরণ করুন 

Share