সুনীল ফেসবুক মার্কেটপ্লেস থেকে একটি গাড়ি কিনেছিলেন, কিন্তু গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার পর সেটি থেকে অদ্ভুত শব্দ হতে থাকে।
তিনি গাড়ির মালিককে বিষয়টি জানান, কিন্তু মালিক চান সুনীল তবুও গাড়িটি কিনুক। শেষ পর্যন্ত সুনীল সিদ্ধান্ত নেন গাড়িটি নিজেই সারাই করাবেন এবং মালিককে মেরামতের খরচ বাদে বাকি টাকা দেবেন।
“মালিক আমাকে হুমকি দিতে শুরু করে এবং বলে তার আইনজীবী আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং আদালতে দেখা হবে,”—এসবিএস এক্সামিনস-কে জানান সুনীল।
“কিন্তু আমি ভিসা নিয়ে এদেশে অবস্থান করছি, ও আদালতে যাওয়া নিয়ে আমি ভিসায় সমস্যা হতে পারে ভেবে উদ্বিগ্ন ছিলাম। সে ভয়েই আমি নিজেই অতিরিক্ত খরচ দিয়ে গাড়িটি ঠিক করিয়ে নিই।”
সুনীল বলেন, এমন ধরনের ভাবনা অনেক ভিসাধারীর মধ্যেই দেখা যায়।
“আমার কমিউনিটিতে একটা বড় ভয় হলো—যদি কোথাও জরিমানা হয়, সেটার কারনেই ভিসা বাতিল হয়ে যাবে। যদিও তারা জানেন যে, অনেক ক্ষেত্রেই তারা হয়ত দোষী নন বা ভুল করে জরিমানা হয়েছে, তবু তারা সেটা পরিশোধ করে ফেলেন, শুধু ভিসা নিয়ে ঝামেলা এড়ানোর জন্য,”—তিনি বলেন।
LISTEN TO

SBS Examines: অস্ট্রেলিয়ায় গণতন্ত্র কী নিম্নগামী?
SBS Bangla
07:24
ইমিগ্রেশন অ্যাডভাইস অ্যান্ড রাইটস সেন্টারের প্রধান আইনজীবী অ্যান ইমানুয়েল বলেন, এই ভয় এবং ভুল ধারণার বড় অংশটাই তৈরি হয়েছে অভিবাসন ব্যবস্থার জটিলতা থেকে।
“আমাদের ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে প্রায়ই শুনি যে তাদের বলা হয়েছে ভিসা বাতিল হয়ে যাবে বা তারা দেশে ফেরত পাঠানো হবে... এর পেছনে একটা বড় কারণ হলো—অভিবাসন ব্যবস্থা খুব জটিল একটা প্রক্রিয়া; এটি সরল বা সহজভাবে বোঝা যায় না,”—বলেছেন তিনি।
অ্যান ইমানুয়েল জানান, ভিসা-নির্ভর নির্যাতন সবচেয়ে বেশি দেখা যায় কর্মক্ষেত্র এবং পারিবারিক সহিংসতার মাধ্যমে।
“যদি তারা অভিযোগ করেন বা সেই জায়গা ছেড়ে যেতে চান, তাহলে পরিণতি কী হবে—এই নিয়ে অনেক বড় ভয় কাজ করে,”—তিনি বলেন।
সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।