এমা এবং জুলিও ভেগার মেয়ে ভ্যালেরিয়া অস্ট্রেলিয়ায় বাস করেন। সম্প্রতি তার সন্তান হয়েছে। সে হিসেবে এই প্রথম বারের মতো নানা-নানী হলেন তারা। ভ্যালেরিয়ার সন্তানকে দেখা-শোনা করার জন্য পেরু থেকে মার্চ মাসে তারা অস্ট্রেলিয়ায় আসার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু, সীমান্ত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের এ উদ্যোগ ভেস্তে যায়।
কোভিড-১৯ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার অধীনে, অস্ট্রেলিয়ার কোনো নাগরিক বা স্থায়ী অভিবাসীর শুধুমাত্র পরিবারের নিকট-সদস্যদের এ দেশে প্রবেশের অনুমতি রয়েছে।
প্যারেন্ট বা বাবা-মাকে এক্ষেত্রে ইমিডিয়েট ফ্যামিলি বা পরিবারের নিকট-সদস্য হিসেবে গণ্য করা হয় নি।
এর ফলে ব্রিসবেনে বসবাসরত ভ্যালেরিয়া গ্রিনফিল্ড এবং তার মতো হাজার হাজার পরিবারের সদস্যরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন।
এ রকম সিদ্ধান্তের কথা শুনে সাইমন হোমসও ভেঙে পড়েন। তার বিধবা মাকে সুইজারল্যান্ড থেকে অস্ট্রেলিয়ায় নিয়ে আসার জন্য তিনি সারা বছর ধরে চেষ্টা করেছেন।
সাইমনের পরিবার বলেছে, তাদের বাবা-মায়ের ভ্রমণ এবং অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান সংক্রান্ত যাবতীয় খরচ, যেমন, ভিসার খরচ, কোয়ারেন্টিন ও স্বাস্থ্য-বিষয়ক খরচ, এগুলো সব তারা মেটাবেন।
এর ফলে ভ্যালেরিয়ার মতো ব্যক্তিরাও অচিরেই পূর্ণকালীন কাজে ফিরে যেতে পারবেন।
তারা সহ, ১১,০০০ লোক একটি পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন। এটি সম্প্রতি ফেডারাল পার্লামেন্টে পেশ করা হয়েছে। এটি উত্থাপন করেছেন লিবারাল এমপি সিলিয়া হ্যামন্ড।
করোনাভাইরাসের এই বৈশ্বিক মহামারীর সময়ে অন্যান্য দেশ, যেমন, কানাডা, তাদের নাগরিকদের বাবা-মা’কে দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে। এক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া ব্যতিক্রম।
এখন, সরকারি দলের একজন এমপি পরিবর্তন আনার আহ্বান জানানোয়, বলা যায়, সরকারের প্রতি চাপ বাড়ছে।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে এসবিএস এর পক্ষ থেকে অ্যাক্টিং ইমিগ্রেশন মিনিস্টার অ্যালান টাজ এবং হোম অ্যাফেয়ার্স মিনিস্টার পিটার ডাটন-এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা এর কোনো জবাব দেন নি।
মিস্টার ডাটনকে ৯০ দিনের মধ্যে এই পিটিশনের জবাব দিতে হবে।