মূল বিষয়
- অনলাইনে বা সশরীরে ব্যাংকে গিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলা যায়
- অনলাইন অ্যাকাউন্টে কম কাস্টমার সার্ভিস পেলেও উচ্চ-হারে সুদ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি
- অ্যাকাউন্ট ফি এড়াতে নিয়মিত বিভিন্ন ব্যাংকের সার্ভিস তুলনা করে দেখতে পারেন কারা বিনা ফি-তে অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করতে দিচ্ছে
- অস্ট্রেলিয়ান সরকার আড়াই লক্ষ ডলার পর্যন্ত গ্রাহকদের সুরক্ষা দিয়ে থাকে
অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় একশ’টির বেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাই আপনার জন্যে কোন অ্যাকাউন্টটি সবচেয়ে কার্যকরী হবে, সে-সম্পর্কে ভালোমত জেনে তবে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।
সারাহ মেগিনসন অর্থ বিষয়ক পরিষেবা তুলনা করার ওয়েবসাইট ফাইন্ডারে একজন পার্সোনাল ফাইন্যান্স এক্সপার্ট হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি বলেন, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার জন্যে আপনাকে অবশ্যই একজন অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক বা এ-দেশের বাসিন্দা হতে হবে।
ব্যাংকে হিসাব খোলার ক্ষেত্রে বয়সের কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। তবে ১৮-বছরের কমবয়সীদের ক্ষেত্রে অ্যাকাউন্ট খোলার সময় বাবা-মা অথবা অন্য কোনো অভিভাবকের স্বাক্ষরের প্রয়োজন হয়।
যদিও অ্যাকাউন্ট বলতে আমরা সাধারণত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বুঝি, তবে ব্যাংক ছাড়া আরও রয়েছে বিভিন্ন ক্রেডিট ইউনিয়ন এবং বিল্ডিং সোসাইটি। ব্যাংকের সাথে পার্থক্য হচ্ছে, ক্রেডিট ইউনিয়ন ও বিল্ডিং সোসাইটি তাদের গ্রাহকদের মালিকানাধীন হয়ে থাকে।
অস্ট্রেলিয়ান সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস কমিশন পরিচালিত মানিস্মার্ট ওয়েবসাইটটি ভোক্তাদের আর্থিক সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্যে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সহায়তা করে। এর প্রতিনিধি অ্যান্ড্রু ড্যাডসওয়েল বলেন,
দেশে আর্থিক প্রতিষ্ঠান অনেক হলেও মূলত চারটি বড় ব্যাংক এই সেক্টরে বেশি প্রভাব রাখে। তাদেরকে এক সাথে ‘বিগ ফোর’ ব্যাংকও বলা হয়।
The 'big four' banks Source: AFP / PETER PARKS/AFP via Getty Images
মিজ মেগিনসন বলেন, বেশিরভাগ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাধারণত দুই ধরনের অ্যাকাউন্ট রয়েছে। একটি হচ্ছে ট্রানজেকশনাল অ্যাকাউন্ট, অন্যটি সেভিংস অ্যাকাউন্ট।
ট্রানজেকশন অ্যাকাউন্টের লেনদেনে সাধারণত কোনো ইন্টারেস্ট বা সুদ জমা হয় না, তবে এটিকে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের সাথে লিংক বা যুক্ত করে দেয়া যায়।
অন্যদিকে সেভিংস বা সঞ্চয়ী অ্যাকাউন্টে উচ্চ হারে সুদ পাওয়ার সুযোগ থাকতে পারে। এ কারণে টানজেকশনাল অ্যাকাউন্টে অল্প কিছু অর্থ রেখে বাকিটা উচ্চ-হারের সুদ দেয় এরকম সেভিংস অ্যাকাউন্টে রাখা ভাল সিদ্ধান্ত হতে পারে।
এ-বিষয়ে মনে রাখতে হবে যে জমা হওয়া সুদ আপনার মোট আয়ের একটা অংশ এবং ট্যাক্স রিটার্নের সময় এই সুদের কথা অবশ্যই ঘোষণা করতে হবে।
কোন ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলবেন, তা নির্ভর করবে আপনার প্রয়োজন ও পছন্দের ওপরে।
যদি আপনি সশরীরে ব্যাংকে গিয়ে লেনদেন করা পছন্দ করেন, তাহলে বিগ ফোর অথবা অন্য কোনো সুপরিচিত ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলা আপনার জন্যে সঠিক হতে পারে।
মিজ মেগিনসন বলেন,
এখন অনেকেই অনলাইনে আর্থিক লেনদেন করতে বেশি পছন্দ করেন।
Your bank account will link to your credit or debit card. Credit: davidf/Getty Images
তবে যারা অস্ট্রেলিয়ায় নতুন এসেছেন, তাদের ক্ষেত্রে ভিন্ন ধরনের পরিচয়পত্র প্রয়োজন হবে।
ম্যারিয়েঞ্জেলা স্ট্যাগনিটি বিগত কয়েক দশক ধরে ব্যাংকিং বিষয়ে অভিবাসীদের সহায়তা করে আসছেন।
তিনি বলেন,
নতুন অভিবাসীরা পরিচয়পত্র হিসেবে নিজেদের পাসপোর্ট ব্যবহার করতে পারবেন।
তবে কেউ যদি অস্ট্রেলিয়ায় কেবল ঘুরতে বা ছুটি কাটাতে এসে থাকেন, তাহলে তারা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন না।
নতুন আসা অভিবাসীদের অস্ট্রেলিয়ান ট্যাক্সেশন অফিসের মাধ্যমে একটি ট্যাক্স ফাইল নাম্বারের জন্যে নিবন্ধন করাতে হয়, এবং অ্যাকাউন্ট খোলার ৩০ দিনের মধ্যেই তা ব্যাংককে জানাতে হয়। তা না হলে নন-রেসিডেন্ট উইথহোল্ডিং ট্যাক্স দিতে হতে পারে।
মিজ মেগিনসন বলেন, অস্ট্রেলিয়ান ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা জমা দেয়ার আগে বিভিন্ন জায়গায় মুদ্রা বিনিময় হার বা এক্সচেঞ্জ রেট যাচাই করে দেখুন।
How important is smartphone functionality to you? Credit: andresr/Getty Images
কোনো কোনো ব্যাংক রয়েছে যারা অস্ট্রেলিয়ায় আসার আগেই আপনাকে অ্যাকাউন্ট খোলার অনুমতি দেয়, এবং এখানে পৌঁছানোর পরে তাদের যে-কোনো শাখায় গিয়ে আপনার পরিচয় যাচাই করে নিতে হয়।
অস্ট্রেলিয়ান সরকার প্রত্যেক গ্রাহককে আড়াই লক্ষ ডলার পর্যন্ত গ্যারান্টি সুবিধা দিয়ে থাকে। অর্থাৎ কোনো কারণে আপনার আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিপর্যয়ের মুখে পড়লেও আপনার অর্থ সুরক্ষিত থাকবে।
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার এটিও আরেকটি বড় সুবিধা।
Subscribe to or follow the Australia Explained podcast for more valuable information and tips about settling into your new life in Australia.
Do you have any questions or topic ideas? Send us an email to [email protected]