কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ প্রতিরোধে অস্ট্রেলিয়ায় গত মাস থেকে লকডাউন করা হয়। মূল আশঙ্কা ছিল যে, হাসপাতালগুলোতে রোগীদের চাপ বাড়বে এবং ফ্রন্টলাইনে কর্মরত স্বাস্থ্য-করমঈদের জন্য পর্যাপ্ত PPE বা পার্সনাল প্রটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট-এর ব্যবস্থা করা যাবে না।
এ রকম পরিস্থিতিতে ইলেক্টিভ সার্জারি এবং অপরিহার্য নয় এ রকম প্রসিজারগুলো, যেমন, ভিট্রো-ফার্টিলাইজেশন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়।
হেলথ মিনিস্টার গ্রেগ হান্ট বলেন, অস্ট্রেলিয়ানদের শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। অস্ট্রেলিয়া অতিরিক্ত ৬০ মিলিয়ন ফেস মাস্ক সংগ্রহ করছে। এগুলোর মধ্যে ২২ মিলিয়ন ইতোমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
ন্যাশনাল কেবিনেট মঙ্গলবার মিটিংয়ে বসবে। মিস্টার হান্ট বলেন, ইলেক্টিভ সার্জারি এবং I-V-F পুনরায় চালু করা নিয়ে তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
প্রতিষেধক উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত তিন মিলিয়ন ফ্লু শট সংগ্রহ করা হচ্ছে। এর ফলে, হেলথ মিনিস্টার মনে করছেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর থেকে চাপ আরও কমে যাবে।
ফার্মেসি গিল্ড অফ অস্ট্রেলিয়ার প্রধান জর্জ টামবাসিস এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।
কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে ফ্লু শট কোনো কাজে আসে না। তবে, এটি গ্রহণ করা হলে ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা কমে যাবে ফলে রোগীদের ও স্বাস্থ্য-কর্মীদেরকে একই সঙ্গে দু’টি রোগের মোকাবেলা করতে হবে না।
সিডনির নর্দার্ন বিচেস-এর ফার্মাসিস্ট পিটার মিখাইল বলেন, শীতের আগমনের এই সময়টিতে গণস্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ।
তবে, ফার্মেসিগুলোতে পাইকারিভাবে প্রতিষেধক বিক্রি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ডাক্তাররা। রয়েল অস্ট্রেলিয়ান কলেজ অফ জেনারেল প্র্যাক্টিশনার্স এর প্রেসিডেন্ট ড. হ্যারি নেসপোলেন বলেন, অসহায় রোগীদের নিয়ে তিনি খুবই চিন্তিত।
মার্চ মাস থেকে এ পর্যন্ত ২.১ মিলিয়নেরও বেশি অস্ট্রেলিয়ান ফ্লুর প্রতিষেধক গ্রহণ করেছেন। গত বছর এ সময়ের তুলনায় এই সংখ্যা তিন গুণেরও বেশি।
আপনার ভাষায় করোনাভাইরাসের আপডেট পেতে sbs.com.au/coronavirus ভিজিট করুন।