করোনা ভাইরাসের প্রকোপে ছন্দপতন স্বাভাবিক জীবনে, যেমন আছেন পার্থের বাংলাদেশিরা

WA eases coronavirus restriction from 18 May, 2020

Source: Supplied

Get the SBS Audio app

Other ways to listen


Published 18 May 2020 11:44pm
By Shahan Alam
Presented by Shahan Alam
Source: SBS

Share this with family and friends


ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া সরকার COVID-19-এর রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে যেখানে ১৮মে সোমবার থেকে কিছু কিছু বিধি নিষেধ শিথিল করা হবে। সেখানকার বাংলাভাষী কমিউনিটি এই পরিস্থিতি নিয়ে কি ভাবছেন, এই নিয়ে এসবিএস বাংলার সাথে পার্থ থেকে কথা বলেছেন গণমাধ্যমকর্মী নির্জন মোশাররফ।


করোনাভাইরাস বদলে দিয়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবন, আর এই প্রেক্ষিতে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া সরকার ১৮মে সোমবার থেকে কিছু কিছু বিধি নিষেধ শিথিল করে দিচ্ছে, পার্থের বাংলাদেশিরা এই লকডাউনের সময় কেমন ছিলেন, নতুন করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে কি অনুভূতি কাজ করছে? প্রশ্ন করেছিলাম গণমাধ্যমকর্মী নির্জন মোশাররফকে।

মিঃ মোশাররফ বলেন, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়াতে এখন সর্বোচ্চ ২০ জনের সমাবেশ হতে পারবে, এই জনসমাগম রেস্তোরাঁ, পাব এবং পাবলিক প্লেসগুলোতে। সেখানে COVID সেফটি প্ল্যান অনুযায়ী কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, এছাড়া স্কুলে বাচ্চারা ফিরছে, সেক্ষেত্রে কোন গাফিলতি হলে সরকার অভিভাবকদের জরিমানা করতে পারে।

তিনি বলেন, "ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার ৫৫৪ জন আক্রান্ত করোনা রোগীর মধ্যে ৫৩৮ জনই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফায়ার গেছেন, আর মৃতের সংখ্যা ৯, সেই হিসেবে অনুপাতটা যথেষ্ট ভালো।"
Nirjon Mosarrof
Nirjon Mosarrof Source: Supplied
মিঃ মোশাররফ বলেন, পার্থের বাংলাদেশী কমিউনিটি সরকারের নিয়ম মেনে যার যার গৃহে অবস্থান করছিলো, অনেকের বাড়িতে থাকার অভ্যস্ততা তৈরী হয়েছে। অনেকে পরিবারকে যেমন সময় দিয়েছে, তেমনি বাসা থেকে কাজও করেছে। অনেকে অনলাইনে বৈশাখ পালন করেছে, যেহেতু বাইরে সমাবেশের কোন সুযোগ ছিলোনা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশী কমুনিটির সদস্যদের দ্বারা পরিচালিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ছিল বেশ সক্রিয়, প্যানিক বায়িংয়ের কারণে তাদের পণ্য সরবরাহ কাজে বেশ ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। তারা বলছিলেন তাদের স্টক ফুরিয়ে যাচ্ছে।

"তবে কিছু কিছু পণ্যের দাম বাড়লেও সার্বিক পরিস্থিতি ছিল ভালো।"

নির্জন মোশাররফ জানান, আর্থিক সমস্যায় থাকা পার্থের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সহায়তায় অনেকে এগিয়ে এসেছেন, অনেকে নগদ অর্থ দিয়ে তাদের সাহায্য করেছেন এমন তথ্যও তিনি পেয়েছেন।

তিনি মনে করেন, অন্যান্য বারের মতো এবার রমজান এবং ঈদের উৎসবে বাংলাভাষীসহ মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি ছন্দপতন ঘটেছে। কারণ বরাবরের মত এবার নামাজের বড়ো জামাত করা সম্ভব হবে না।

পুরো প্রতিবেদনটি বাংলায় শুনতে ওপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন
আরো পড়ুন:

Share