বাংলা সাহিত্য সংসদের সেই আয়োজনে নিজের লেখার সাথে পরিচয় করিয়ে দেন সাহিত্যিক শাহীন আখতার। নিজের বইগুলির পেছনের গল্প বলেন, দেখানো হয় তাঁকে নিয়ে তৈরি করা একটি প্রামাণ্যচিত্রের ছোট একটি অংশ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালকের দায়িত্বে ছিলেন জিয়াউন নাহার বীথি। আর বাংলা সাহিত্য সংসদের পক্ষ থেকে লেখককে সহায়তা করেন লুৎফর খান।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই বক্তব্য রাখেন বাংলা সাহিত্য সংসদের সভাপতি প্রতীশ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, প্রায় একুশ বছর ধরে সংগঠনটি বাংলা ভাষার সাহিত্যিকদের নিয়ে এ ধরনের আয়োজন করে আসছে।
বাংলা সাহিত্য সংসদের আয়োজনে উপস্থিত সাহিত্যানুরাগীদের একাংশ। Source: SBS
এই অনুষ্ঠানে আরও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন পাঞ্জেরী প্রকাশনীর প্রকাশক কামরুল হাসান শায়ক। তাঁর মতে শাহীন আখতার সর্বপ্রথম মানুষের কাছে পৌঁছে যান নিজের উপন্যাস ‘তালাশ’ দিয়ে। যেখানে যুদ্ধ শেষে বীরাঙ্গনাদের অসহায়ত্বের কথা বলা হয়েছে।
শুভেচ্ছা বক্তব্যের পরে কথা শুরু করেন আমন্ত্রিত লেখক শাহীন আখতার। নিজের লেখার কথা বলতে গিয়ে জানালেন, আড়াই দশকের সাহিত্যিক জীবনে ছয়টি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে তাঁর, আর বেশ কয়েকটি ছোট গল্পের বই।
তাঁর দ্বিতীয় উপন্যাস ‘তালাশ’ লেখার পেছনের গল্প তিনি বিশদে উপস্থিত দর্শকদের জানান। কীভাবে একটি প্রজেক্টের কাজ করতে গিয়ে তিনি এটি লেখার জন্যে অনুপ্রাণিত হন, সেই গল্প শোনান সবাইকে।
নিজের সর্বশেষ লেখা উপন্যাস ‘এক শ এক রাতের গল্প’। এটি তিনি লিখেছেন ঢাকার হোলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার ঘটনা অবলম্বন করে। তিনি বলেন, বিষয় হিসেবে এটি খুব সহজ ছিল না, কিন্তু তারপরেও এটি তিনি লিখতে চেয়েছেন।
শাহীন আখতার নিজের বক্তব্য শেষে বলেন, “আর্ট ফর আর্ট’স সেক ঘরানার লেখক আমি নই। কিছু একটা বলতে চাই আমার উপন্যাসে যা এই সময়ের মানুষ হিসেবে আমাকে ভাবায়।“
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে দর্শক-শ্রোতাদের কাছে প্রশ্ন আহ্বান করা হয় শাহীন আখতারের জন্যে। সেখানে বুদ্ধিদীপ্ত মতবিনিময় ঘটে লেখকের সাথে পাঠকদের।
অনুষ্ঠানের অডিও সৌজন্যে: বাংলা সাহিত্য সংসদ।
সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারে ক্লিক করুন।
এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত।