আন্তর্জাতিক সাময়িকী 'সাসটেইনেবল সিটিজ এন্ড সোসাইটি'তে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে যেখানে বলা হয়েছে যে বাংলাদেশের বড় শহরগুলোতে তাপমাত্রা বেড়ে চলেছে।
অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে পরিচালিত এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন পরিবেশ বিজ্ঞানী এবং স্কুল অব আর্থ এন্ড প্ল্যানেটারি সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক ড. আশরাফ দেওয়ান, এতে যুক্ত ছিলেন কানাডার ক্যালগারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশের গবেষকরাও।
এসবিএস বাংলাকে ড. আশরাফ দেওয়ান জানিয়েছেন তাপমাত্রা বাড়ার ক্ষেত্রে তাদের গবেষণার জন্য তারা বাংলাদেশের পাঁচটি বড় শহর ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা এবং সিলেটের দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য তারা পৰ্যবেক্ষন করেছেন।
এজন্য তারা ২০০০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ডাটা পরীক্ষা করেছেন।
তিনি বলেন, "স্যাটেলাইট ইমেজসহ বিভিন্ন পরীক্ষায় তারা দেখেছেন গ্রামের তুলনায় শহরের তাপমাত্রা অনেকটাই বেশি, যেমন ঢাকায় গড়ে ২.৭৮ ডিগ্রী, চট্টগ্রামে ১.৯২ ডিগ্রী, খুলনায় ১.২৭ ডিগ্রী, সিলেটে ১.১০ ডিগ্রী, এবং রাজশাহীতে ০.৭৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস বেশি।"ড. আশরাফ দেওয়ান বলেন, অস্বাভাবিক জনঘনত্ব তাপমাত্রা বাড়ার অন্যতম প্রধান কারণ। এছাড়া কংক্রিটের বাড়িঘর এবং ঘনত্ব, এয়ার কন্ডিশনিং, কলকারখানার আধিক্য, পরিবহন ইত্যাদি। বাড়িঘরের ঘনত্ব বেশি হওয়ায় তাপ শোষিত হতে না পেরে উদ্বৃত্ত থেকে যায় যা তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে অবদান রাখে।
Dr Ashraf Dewan is an environmental scientist and teacher at the School of Earth and Planetary Sciences, Curtin University, Australia. Source: Dr Ashraf Dewan
তিনি বলেন, "নগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি ঠেকাতে বাড়িঘর তৈরী করতে হবে পারফোরেটেড বা ছিদ্রযুক্ত ইট দিয়ে। আমাদের দেশে সলিড ইট ব্যবহার করা হয় যা তাপমাত্রা ধরে রাখে। তাই ভবনগুলো এমনভাবে নির্মাণ করতে হবে যাতে এগুলো জলবায়ু সংবেদনশীল হয়।"
নগর উষ্ণায়ন নাগরিক জীবনে বিরাট প্রভাব ফেলছে। বিষয়টি আরো ব্যাখ্যা করে ড. আশরাফ দেওয়ান বলেন, অতিরিক্ত গরমে মানুষ অস্বস্তিতে ভোগে, এতে মানসিক এবং শারীরিক সমস্যা হয়, ডেঙ্গুসহ নানা রোগ বালাই বাড়ছে।
ড. আশরাফ দেওয়ানের পুরো সাক্ষাৎকারটি শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারে ক্লিক করুন।
এসবিএস বাংলার রেডিও অনুষ্ঠান শুনুন প্রতি সোমবার এবং শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় এবং আরও খবরের জন্য আমাদের ফেইসবুক পেইজটি ভিজিট করুন।
আরো দেখুন: