ক্যাভিয়ার, ট্রাফল এবং মাশরুম বাজারজাত করে থাকে গোয়ামেই লাইফ। দেশ জুড়ে তারা ভোক্তাদের কাছে প্রতিদিন ৩০-৪০ টি বাক্স প্রেরণ করে থাকে। এর মালিক জশ রি আশঙ্কা করছেন যে, অস্ট্রেলিয়া পোস্ট পচনশীল পণ্য-দ্রব্য পরিবহন করা নিষিদ্ধ করায় তার এই সফল ব্যবসা এখন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
পণ্য-দ্রব্য পরিবহনের ক্ষেত্রে তিনি কুলার বক্সে ফ্রোজেন জেল-সহ পণ্য প্যাক করে থাকেন এবং তা এক্সপ্রেস পোস্টে প্রেরণ করে থাকেন। কিন্তু, ১ জুলাই ২০২১ থেকে শুধুমাত্র কুরিয়ারের মাধ্যমে এসব পণ্য-দ্রব্য পাঠানো যাবে। এর ফলে, তিনি বলেন, অনেক আঞ্চলিক ক্রেতা ও ভোক্তার কাছে পণ্য পাঠানো সম্ভব হবে না।
এদিকে নিউ সাউথ ওয়েলসের রিভারিনা অঞ্চলের জুনি লিকারিস অ্যান্ড চকোলেট ফ্যাক্টরিতে এর জন্য কর্মী ছাঁটাই হতে পারে।
প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল ম্যানেজার রিয়ানন ড্রুস বলেন, এ রকম একটি জন-বিচ্ছিন্ন শহরে তারা সত্যিকার অর্থেই অস্ট্রেলিয়া পোস্টের ওপর অনেক বেশি নির্ভর করে থাকেন।
তিনি বলেন, কোভিড যখন পর্যটন শিল্প বন্ধ করে দিয়েছে তখন অনলাইন সেলের ওপরেই তারা নির্ভর করেছেন।
READ MORE
নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
অস্ট্রেলিয়া পোস্ট এক বিবৃতিতে বলেছে,
“বিভিন্ন স্টেট এবং টেরিটোরিতে ভিন্ন ভিন্ন জটিল খাদ্য নিরাপত্তা এবং নিয়ন্ত্রণের শর্তাবলীর কারণে অস্ট্রেলিয়া পোস্ট আগামী ৩০ জুন থেকে কতিপয় খাদ্য-পণ্য পরিবহন করা বন্ধ করবে।”
“বহু উৎপাদকের প্রতি এই সিদ্ধান্তের অভিঘাত আমরা অনুধাবন করি এবং সামনে অগ্রসর হওয়ার পথ নির্ধারণের জন্য বর্তমানে আমরা কাজ করছি ভোক্তাদের এবং শিল্প নিয়ন্ত্রকদেরকে নিয়ে।”
তবে, স্মল বিজনেস অমবুডজম্যান ব্রুস বিলসন আশঙ্কা করছেন, কোনো বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় এর ফলাফল ভয়ানক হতে পারে।
অস্ট্রেলিয়া পোস্টের পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের তুলনায় গত বছর অনলাইন সেল বেড়েছে ৫৭ শতাংশ।
স্টেকহোল্ডাররা অস্ট্রেলিয়া পোস্টের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, এই ডেলিভারি নিষেধাজ্ঞার তারিখ আরও পিছিয়ে দেওয়ার জন্য এবং নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গে বসে একটি সমাধানে পৌঁছানোর জন্য।
প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।