‘ক্লোজিং দ্য গ্যাপ’ কী?

Happy gardening time with mother and toddler

Família indígena australiana. O programa "Closing the Gap" foi lançado em 2008 para diminuir as diferenças ao nível da saúde e da esperança média de vida entre australianos indígenas e não indígenas. Source: Moment RF / Attila Csaszar/Getty Images

Get the SBS Audio app

Other ways to listen


Published

Presented by Tareq Nurul Hasan
Source: SBS


Share this with family and friends


মানুষের গড় আয়ুর দিক থেকে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় দেশ হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। এ দেশের মানুষ গড়ে ৮৩ বছর পর্যন্ত বাঁচে। কিন্তু অ্যাবঅরিজিনাল ও টরে স্ট্রেইট আইল্যান্ডার জনগোষ্ঠীর মানুষের গড় আয়ু এর চেয়ে প্রায় আট বছর কম। ‘ক্লোজিং দ্য গ্যাপ’ হচ্ছে একটি জাতীয় চুক্তি যা এই অবস্থা পরিবর্তন করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। এটি ফার্স্ট নেশনস অস্ট্রেলিয়ানদের স্বাস্থ্য ও জীবনযাত্রার মানের উন্নতি নিয়ে কাজ করে - যাতে তারা অন্যান্য অস্ট্রেলিয়ানদের মতো একই মানের জীবন এবং সুবিধা উপভোগ করতে পারে। চলুন তাহলে জানা যাক, ক্লোজিং দ্য গ্যাপ কীভাবে শুরু হয়েছিল? এর উদ্দেশ্য কী? ২০২০ সালে কী বদল হয়েছে? আর এ বিষয়ে আমাদের অবস্থান এখন কোথায়?


গুরুত্বপূর্ণ দিক
  • অ্যাবঅরিজিনাল ও টরে স্ট্রেইট আইল্যান্ডার জনগোষ্ঠীর মানুষেরা স্বাস্থ্য এবং গড় আয়ু নিয়ে যে বৈষম্যের মুখে পড়ে তা মোকাবেলার জন্য ২০০৮ সালে ‘ক্লোজিং দ্য গ্যাপ’ চালু করা হয়েছিল।
  • ২০২০ সালে এর কার্যপদ্ধতি সংস্কার করা হয়েছিল যাতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব অ্যাবঅরিজিনাল ও টরে স্ট্রেইট আইল্যান্ডার জনগোষ্ঠীর মানুষের সাথে ভাগ করে নেয়া যায়।
  • এর অগ্রগতি মিশ্রিত, যেমন, পাঁচটি লক্ষ্যমাত্রা সঠিকভাবে এগোচ্ছে তবে কয়েদী এবং আত্মহত্যার হারের মতো ক্ষেত্রগুলিতে অবনতি হচ্ছে।
  • ১৯টি লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে মাত্র পাঁচটি বর্তমানে সঠিক পথে রয়েছে।
এটি শুরু হয়েছিল ২০০৫ সালে, যখন অ্যাবঅরিজিনাল এল্ডার প্রফেসর টম ক্যালমা এও (অফিসার অব দ্য অর্ডার অব অস্ট্রেলিয়া) সামাজিক ন্যায়বিচার বিষয়ক একটি যুগান্তকারী প্রতিবেদন প্রদান করেছিলেন। এতে তিনি অ্যাবঅরিজিনাল ও টরে স্ট্রেইট আইল্যান্ডার জনগোষ্ঠীর মানুষের জন্য এক প্রজন্মের, অর্থাৎ ২৫ বছরের মধ্যে স্বাস্থ্যগত সমতা আনার আহ্বান জানান।

তার এই প্রতিবেদনের পক্ষে জনসমর্থনের ঢেউ উঠেছিল। ২০০৭ সালের মধ্যে, সুপরিচিত অলিম্পিয়ান ক্যাথি ফ্রিম্যান এবং ইয়ান থর্প এই নতুন প্রচারণায় যোগ দিয়েছিলেন।
Stolen Generations Accept Apology From Kevin Rudd On Sorry Day
CANBERRA, AUSTRALIA - FEBRUARY 13: Australian Prime Minister Kevin Rudd meets with Raymattja Marika after delivering an apology to the Aboriginal people for injustices committed over two centuries of white settlement at the Australian Parliament. Rudd's apology referred to the "past mistreatment" of all Aborigines, singling out the "Stolen Generations", the tens of thousands of Aboriginal children taken from their families by governments between 1910 and the early 1970s, in a bid to assimilate them into white society. (Photo by Andrew Sheargold/Getty Images) Credit: Andrew Sheargold/Getty Images
এরপর ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী কেভিন রাড ‘ক্লোজিং দ্য গ্যাপ’ প্রচারণাকে আনুষ্ঠানিক রূপ দেন। সেই একই বছর, তিনি স্টোলেন জেনারেশনের কাছে ন্যাশনাল অ্যাপোলজির মাধ্যমে ক্ষমা প্রার্থনাও করেছিলেন।

‘ক্লোজিং দ্য গ্যাপ’ -এর শুরুর কৌশলটি সাতটি মূল বিষয়ের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছিল – যেমন গড় আয়ু, শিশু মৃত্যুহার, শিক্ষা এবং কর্মসংস্থান। তখন আশা ছিল যে অন্তত দশ বছরের মধ্যে পরিমাপযোগ্য উন্নতি দেখতে পাওয়া যাবে।

এবং তারপর থেকে প্রতি বছর আমাদের প্রধানমন্ত্রী এই লক্ষ্যে আমরা কতদূর এগিয়েছি এবং আর কী করার আছে, এসব বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছেন।
SCOTT MORRISON CLOSING THE GAP PRESS CONFERENCE
SCOTT MORRISON CLOSING THE GAP PRESS CONFERENCE Credit: AAPIMAGE
মূল স্ট্র্যাটেজি শুরুর এক দশকেরও বেশি সময় পর ২০১৯ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এই বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। ততদিনে এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে যে এই কৌশল ঠিকভাবে কাজ করছে না। মূল লক্ষ্যগুলির মধ্যে কেবল দুটি সঠিক পথে যাচ্ছে, তবে গড় আয়ুর ব্যবধান আবারও বড় হতে শুরু করেছিল।

তার ফলে সেই মুহূর্তটি একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসাবে চিহ্নিত হয়।

তারপরে এই ধারাটি সংস্কার করা হয় এবং এর নাম বদলে রাখা হয় ন্যাশনাল এগ্রিমেন্ট অন ক্লোজিং দ্য গ্যাপ, এবং সরকারের নেতৃত্বাধীন সমাধান প্রকল্প থেকে ফোকাস সরিয়ে ইন্ডিজেনাস কমিউনিটির সাথে সত্যিকারের অংশীদারিত্বের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়।

প্রায় ৮০ টিরও বেশি অ্যাবঅরিজিনাল ও টরে স্ট্রেইট আইল্যান্ডার জনগোষ্ঠীর সম্প্রদায়-নিয়ন্ত্রিত সংস্থার সমন্বয়ে - নতুন পদ্ধতির নকশা প্রণয়নের জন্য ‘কোয়ালিশন অব পিকস’ নামে একটি গ্রুপ গঠন করা হয়।

ধারণাটি খুব সহজ ছিল: কমিউনিটির জন্য নীতি তৈরি করা উচিত নয় – বরং নীতি তৈরিতে তাদের সাথে রাখা উচিত।

নতুন চুক্তিতে ২০৩১ সালের মধ্যে ১৯টি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:
  • শিশুদের সুস্থ ও সবল হয়ে জন্মানোর নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে
  • শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাকার্যের পূর্ণ সম্ভাবনায় পৌঁছাতে পারবে
  • ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় তরুণদের সংখ্যা কমে আসবে
এটি একটি বৃহত্তর, এবং সামগ্রিক উন্নয়ন পদ্ধতি – যা কেবল স্বাস্থ্যই নয়, বরং সেই সাথে আবাসন, ন্যায়বিচার, সংস্কৃতি এবং অর্থনৈতিক অংশগ্রহণের উপরও দৃষ্টি নিবদ্ধ করে থাকে।

তাহলে এই উন্নয়ন কার্যক্রম আমরা কীভাবে পরিমাপ করতে পারছি?

টম ক্যালমার পরিবর্তনের আহ্বানের পর প্রায় এক প্রজন্ম কেটে গেছে। সেই সময় ইন্ডিজেনাস ও নন-ইন্ডিজেনাস অস্ট্রেলিয়ানদের মধ্যে গড় আয়ুর ব্যবধান ছিল ১১ বছর। এখন তা প্রায় আট বছর। কিন্তু উদ্বেগের বিষয় হলো, কমে আসবার এই প্রবণতা আবারও উল্টো পথে এগোচ্ছে।
MALARNDIRRI MCCARTHY CLOSING THE GAP PRESSER
Lead Convener of the Coalition of Peaks Pat Turner speaks to the media during a press conference at Parliament House in Canberra. Source: AAP / LUKAS COCH/AAPIMAGE
সর্বশেষ প্রোডাক্টিভিটি কমিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিছু ক্ষেত্রে অগ্রগতি হয়েছে- যেমন, ১৯টি লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ১১টিতে উন্নতি হয়েছে। কিন্তু আপাতত সঠিক পথে এগোচ্ছে মাত্র পাঁচটি।

তবে কিছু ক্ষেত্রে উৎসাহিত হওয়ার কারণ রয়েছে: আরও বেশি সংখ্যক শিশু সঠিক ওজন নিয়ে ভূমিষ্ঠ হচ্ছে, এবং আরও বেশি সংখ্যক তরুণ দ্বাদশ শ্রেণী বা বা সমমানের পড়াশোনা শেষ করতে পারছে।

তবে আত্মহত্যার হার এবং প্রাপ্তবয়স্কদের কারাগারে থাকার পরিমাপের মতো কিছু ক্ষেত্র এখন আবার পিছিয়ে যাচ্ছে।

গুদানজি-আররেন্টে নারী, এবং কোয়ালিশন অব দ্য পিকের আহ্বায়ক প্যাট টার্নার বলেন,
লক্ষ্য অর্জনে আমাদের লেগে থাকতে হবে।

অস্ট্রেলিয়ায় আপনার নতুন জীবনে স্থায়ী হওয়ার বিষয়ে আরও মূল্যবান তথ্য এবং টিপসের জন্য ‘অস্ট্রেলিয়া সম্পর্কে জানুন’ পডকাস্ট অনুসরণ করুন।

আপনার কোনো প্রশ্ন বা নতুন কোনো বিষয় নিয়ে আমাদের পডকাস্টে শুনতে চাইলে  
-এ আমাদের ইমেল করুন।

Share