করোনা নিষেধাজ্ঞা শিথিল হওয়ায় মেডিকেল টুরিজমে গতি আসছে ভারতে

People queuing at the reception desk at the Aakash Healthcare hospital (Reuters).jpg

People queuing at the reception desk at the Aakash Healthcare hospital. Source: Reuters

করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারীর দু’বছর অতিবাহিত হওয়ার পর ভারতে সামর্থ্যের মধ্যে চিকিৎসা-সুবিধার সুযোগ আবারও বেড়েছে। রোগীরা ভারতের চিকিৎসা-ব্যবস্থার প্রশংসা করে থাকে। আর, বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজনও সেখানে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছে।


সামর্থ্যের মধ্যে থাকা খরচে মান-সম্পন্ন চিকিৎসা-সেবা প্রদানের জন্য ভারতের সুনাম আছে। কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীর কারণে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ক্ষেত্রে অনেক বিধি-নিষেধ ছিল। প্রায় দু’বছর পরে এসব নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হলে ভারতে চিকিৎসার সুখ্যাতির বিষয়টি আবারও সামনে আসে।

কোভিড-১৯ এর কারণে ভারতের স্বাস্থ্য-সেবা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ে। মূলত ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে সৃষ্ট কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গের পর তারা আন্তর্জাতিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
একটি স্বাস্থ্য-সেবা কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক আশীষ চৌধুরী দাবি করেন, সীমান্ত খুলে দেওয়ার পর আগত রোগীদের সংখ্যা তিন গুণ হয়েছে।

কোভিডের এই সময়টিতে বিশ্বে এখন স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে এবং নিষেধাজ্ঞাগুলো অতি দ্রুত তুলে নেওয়া হচ্ছে। করোনা-সংক্রমণ ক্রমশ কমে যাওয়ায়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং সার্কভুক্ত দেশগুলোর রোগীরা আবারও ভারতে ভ্রমণ করা শুরু করেছে।

ভারতের বড় বড় শহরগুলো, যেমন, নতুন দিল্লি, মুম্বাই এবং সুরাটে, বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে রোগীরা ভীড় জমাচ্ছেন। সে-সব রোগীরা তাদের নিজ নিজ দেশে কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা-সেবা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী করতে পারতো না।

বিভিন্ন কারণেই চিকিৎসা গ্রহণের জন্য মানুষ আন্তর্জাতিক ভ্রমণ করে থাকে। যেমন, নিজের দেশে চিকিৎসার জন্য দীর্ঘ অপেক্ষমান লাইন, সস্তায় চিকিৎসা কিংবা যথাযথ চিকিৎসা লাভের সুযোগ।

নাইজেরিয়ার একজন রোগী বাম্বা ভারতের চিকিৎসা-ব্যবস্থার প্রশংসা করেন।

যে-সব কারণে মানুষ ভারতে চিকিৎসা করতে যায় সেগুলোর মধ্যে রয়েছে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট, কার্ডিয়াক বাইপাস, আই সার্জারি এবং হিপ ট্রান্সপ্লান্ট।

মেডিকেল ট্যুরিজম ইনডেক্স-এর ২০২০-২০২১ সংস্করণ অনুযায়ী, এক্ষেত্রে বিশ্ব র‌্যাংকিং-এ সামগ্রিকভাবে ভারতের অবস্থান দশম।
একটি স্পাইন সার্জারি ইনস্টিটিউটের ডাইরেক্টর ড. মিহির ব্যাপ্ট দাবি করেন, দক্ষিণ এশিয়ান দেশগুলোর হাসপাতালগুলোতে সামর্থ্যের মধ্যে থাকা খরচে উচ্চমান সম্পন্ন চিকিৎসা-সেবা প্রদান করা হয়।

একজন বাংলাদেশী নাগরিক মোহাম্মদ আলিফুদ্দিন তার স্ত্রীকে চিকিৎসা করানোর জন্য ভারতে নিয়ে গেছেন। তিনি সেখানকার চিকিৎসা-ব্যবস্থা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।

এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: 

আমাদেরকে অনুসরণ করুন 

Share