মূল বিষয়:
- ফার্স্ট নেশন জনগোষ্ঠীর শিল্পকর্ম বৈচিত্র্যময়, এবং কেবল ডট পেইন্টিং-এই সীমাবদ্ধ নয়
- এই শিল্পকর্মের মাধ্যমেই প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে নিজেদের সংস্কৃতির কথা, আধ্যাত্মিক বিশ্বাস এবং জ্ঞানের ধারা অব্যাহত রয়েছে
- শিল্পীদের নিজের ভূমির সাথে সংযুক্ত বোধ করতে সহায়তা করে এই শিল্পকর্মগুলি
- আদিবাসী বিভিন্ন প্রতীকের ব্যবহার নির্ভর করে শিল্পীরা সেগুলির কোন অর্থ বোঝাতে চান তার ওপর
ইন্ডিজেনাস আর্ট একটি অত্যন্ত সমৃদ্ধ শিল্পমাধ্যম, যার কৌশল ও শৈলী অনেক বিস্তৃত, এবং প্রতিটি ফার্স্ট নেশনস জনগোষ্ঠীর নিজস্ব ভূমি, সেগুলির সংস্কৃতি ও সম্প্রদায়ের সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত।
মারিয়া ওয়াটসন-ট্রুজেট হলেন একজন কুরি নারী এবং ওয়ারাডুরি জনগোষ্ঠীর একজন ‘ফ্রেশ ওয়াটার’ নারী।
তিনি একজন স্বশিক্ষিত শিল্পী এবং ফার্স্ট নেশনস বিষয়ক পরামর্শক, যিনি তার আদিবাসী সংস্কৃতিকে ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে আগ্রহী ও উৎসাহী।
Maria Watson-Trudgett is a First Nations consultant, a self-taught artist, and a storyteller Credit: Maria Watson-Trudgett Credit: Courtesy of Richmond Fellowship Queensland, 2019
প্রকৃতপক্ষে কেবল ১৯৭০ এর দশকে এই ডট-পেইন্টিং ধারণাটি আবির্ভূত হয়েছিল। এই ক্ষুদ্র আদিবাসী সম্প্রদায়ের অবস্থান অ্যালিস স্প্রিংসের উত্তর-পশ্চিম দিকে। সেখানেই প্রথম আদিবাসী শিল্পীরা বোর্ডের ওপর অ্যাক্রিলিক পেইন্ট ব্যবহার করে তাদের ঐতিহ্যবাহী ঘটনাগুলির চিত্র আঁকতে শুরু করেছিলেন।
মিজ ওয়াটসন-ট্রুজেট ২০০৯ সালের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণকালীন পড়াশোনার চাপ থেকে মুক্ত হতে চিত্রাঙ্কন শুরু করেছিলেন।
তবে শিল্প যে কেবল মন শান্ত করার একটি উপায়ের চেয়ে আরও অনেক বেশি কিছু, তা তিনি খুব দ্রুতই বুঝতে পেরেছিলেন।
মিজ ওয়াটসন-ট্রুজেটের আঁকা ছবি বিমূর্ত শিল্প ও সমসাময়িক সাংস্কৃতিক অনুভবের একটি আধুনিক সংমিশ্রণ। তিনি আঁকার জন্যে ব্যবহার করেন প্রবাহমান রেখা এবং আদিবাসী বিভিন্ন প্রতীক। তার পূর্বপুরুষেরা যেভাবে মাটির ওপরে প্রতীকের ছাপ আঁকার মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করতেন, সেই প্রক্রিয়ারই এক ধরনের প্রতিধ্বনি খুঁজে পাওয়া যায় তার কাজে।
গামিলারয়/ বিগাম্বল ও ইয়োর্টা ইয়োর্টা শিল্পী আর্কেরিয়া রোজ আর্মস্ট্রং-এর জন্যে শিল্প সবসময়ই তার জীবনের একটা অংশ হয়ে আছে।
মিজ আর্মস্ট্রং তার নিজের আর্টের অনুপ্রেরণা পেয়েছেন তার দাদা-দাদীর কাছ থেকে, যারা নিজেরাও উভয়ই ছিলেন শিল্পী।
তার দাদী ছিলেন একজন গামিলারয় এল্ডার, যিনি ছিলেন এই অঞ্চলের সর্বশেষ স্যান্ড পেইন্টারদের মধ্যে একজন।
Art has always been part of Arkeria Rose Armstrong’s life. Credit Arkeria Rose Armstrong
মিজ আর্মস্ট্রং তার আঁকা ছবিগুলিকে তার দুই শেকড়ের মধ্যকার সম্পর্ক হিসেবে দেখেন।
তিনি বলেন, যখন কোনো শিল্প তিনি সৃষ্টি করতে থাকেন, সেটি তার ভেতর গভীর আবেগ জাগিয়ে তোলে এবং তার নিজের ভূমির সঠিক মানে বুঝতে সহায়তা করে।
আর এই অনুভূতিগুলি তার কন্যার সাথে তিনি ভাগ করে নেন।
ডেভিন্ডার হার্টের পারিবারিক শেকড় রয়েছে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থিত নুঙ্গা কান্ট্রির দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে।
পরবর্তী জীবনে নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের নিমবা কান্ট্রিতে তার নিজস্ব সংস্কৃতির সাথে পুনরায় সংযোগ স্থাপনের আগে তিনি তার শৈশব কাটিয়েছেন অ্যাডেলেড শহরে।
জীবনের শুরুর বছরগুলোতে তাকে অনেক ধরনের প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়েছে।
১৬ বছর বয়সেই তাকে স্কুল ছাড়তে হয়েছিল। একটা কাজ খুঁজে পেতে তাকে লড়াই করতে হয়েছিল সে-সময়, একই সাথে তিনি লড়ছিলেন মাদকাসক্তির বিরুদ্ধেও।
তবে সে-সময় তার চাচা ও ভাইদের সহায়তা ও দিকনির্দেশনা জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে তাকে সাহায্য করেছিল।
আর এসবের মধ্য দিয়ে যে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা তিনি অর্জন করেছেন, সেসবই প্রতিফলিত হয় তার সৃষ্ট শিল্পকর্মে।
তিনি মনে করেন তার জন্যে আর্ট শুধু নতুন প্রজন্মের কাছে নিজেদের ইতিহাস বলে যাওয়াই নয়, বরং নিজের ভেতর ও বাইরের ক্ষত নিরাময়েরও একটি উপায়।
Davinder Hart at Saudi Arabia, UN gala dinner, 2023. Credit Davinder Hart
মিজ আর্মস্ট্রং বলেন, শিল্পকর্মগুলিতে বলা গল্প ও ইতিহাস সম্পর্কে জিজ্ঞাসার মাধ্যমে এই উপলব্ধি প্রাপ্তির সূচনা হতে পারে।
তিনি তার নিজের প্রদর্শনীগুলোতে উপস্থিত থেকে শিল্পকর্মগুলি নিয়ে মানুষের আগ্রহ উপভোগ করেন এবং তাদের নানা জিজ্ঞাসার জবাব দেন।
তিনি মনে করেন,
প্রশ্ন জিজ্ঞেস করার মাধ্যমে শিল্প ও শিল্পী উভয়ের সাথেই দর্শকদের এক ধরনের সংযোগ তৈরি হয়।
সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারে ক্লিক করুন।
।