“স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে অন্যকে সাহায্য করতে পারায় মানসিক পরিতৃপ্তি পাওয়া যায়“

VOLUNTEERING AUSTRALIA

Perth man Adrian Baillie is one of the many Australians who give back to their community through volunteering. (AAP Image/Supplied by Orange Sky Australia) Source: AAP / SUPPLIED/PR IMAGE

এই বছর ১৫ থেকে ২১ মে অস্ট্রেলিয়ায় পালিত হচ্ছে ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার উইক। ভলান্টিয়ার বা স্বেচ্ছাসেবীদের বলা হয় ‘চেঞ্জ মেকার’। নিজেদের সময় ও শ্রম দিয়ে তারা কম্যুনিটির বাকি মানুষদের সহায়তা করতে সচেষ্ট থাকেন।


ভলান্টিয়ার অস্ট্রেলিয়ার সিইও মার্ক পিয়ার্স জানিয়েছেন, বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে প্রতি বছর প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে থাকেন। আর সংগঠনের বাইরে স্বতপ্রণোদিত হয়ে স্বেচ্ছাশ্রম দেন আরও ৬৫ লক্ষ মানুষ।

ভয়াবহ বন্যা এবং বুশফায়ারের সময় জরুরী অবস্থায় স্বেচ্ছাসেবীরা মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসেন। আবার জরুরী অবস্থা ছাড়াও নিয়মিত কম্যুনিটির ভেতরে স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে যাচ্ছেন অনেকেই।
মেলবোর্নের বাসিন্দা খালেদা পারভীন মুন্নী স্থানীয় সরকারে কর্মরত রয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে স্বেচ্ছাশ্রম দেয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। তিনি মনে করেন, নতুন অভিবাসীরা এ দেশে এসে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে নতুন পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেন।

ভলান্টিয়ারিং অস্ট্রেলিয়ার সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, প্রায় ৭২ শতাংশ স্বেচ্ছাসেবীই মানুষের কল্যাণে কিছু করার তাগিদ থেকে স্বেচ্ছাশ্রমে যুক্ত হন।

২০২০ ও ২০২১ সালে রিজনাল নিউ সাউথ ওয়েলসের ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ডের জন্যে মনোনয়ন পাওয়া বাংলাভাষী স্বেচ্ছাসেবী শিবলী চৌধুরীও একমত পোষণ করেন।
নতুন আসা অভিবাসীরা হয়ত সহসা কর্মক্ষেত্রে ঢুকে যাওয়ার সুযোগ পান না। সেক্ষেত্রে স্বেচ্ছাশ্রমে যুক্ত হয়ে এ দেশের সংস্কৃতি এবং ভাষা সম্পর্কে জানার সুযোগ করে নিতে পারেন তারা।

আর কেবল সামাজিকতাই নয়, সেই সাথে চাকরিপ্রত্যাশী মানুষেরা স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে নেটওয়ার্কিং অর্থাৎ জানাশোনার পরিধি বাড়াতে পারেন, বলেন শিবলি চৌধুরী।

স্বেচ্ছাশ্রম দেয়ার অভিজ্ঞতা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই খুবই আনন্দদায়ক, এবং পরিপূর্ণতা অনুভব করায়। অস্ট্রেলিয়ায় যারা ভলান্টিয়ারিং করতে আগ্রহী, তাদের জন্যে অনেকগুলো ক্ষেত্র রয়েছে।

মহামারীর সময়ে বিভিন্ন রকম নিষেধাজ্ঞা থাকায় স্বেচ্ছাসেবীরা অনেক কর্মকান্ডেই অংশ নিতে পারেননি। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে এখন নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার ফলে প্রায় ৬৯ শতাংশ স্বেচ্ছাসেবীই আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছেন।

অস্ট্রেলিয়ায় ভলান্টিয়ারিং নিয়ে আরও তথ্যের জন্যে দেখুন: volunteeringaustralia.org

সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ার বাটনে ক্লিক করুন।
আমাদেরকে অনুসরণ করুন 

Share