প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এবং নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার গ্ল্যাডিস বেরেজিকলিয়ান দুই বিলিয়ন ডলারের চুক্তি সাক্ষর করেছেন যাতে ন্যাশনাল ইলেকট্রিসিটি গ্রিডে প্রতিবছর ৭০ পেটাজুল গ্যাস সরবরাহ করা হবে।
নিউ সাউথ ওয়েলস এককভাবেই ১২০ পেটাজুল গ্যাস ব্যবহার করে।
এই চুক্তিতে স্নোয়ি এলাকা এবং সিডনির মধ্যে যৌথভাবে আন্ডাররাইটিং ইন্টারকানেক্টরের কথা বলা হয়েছে, সেই সাথে কুইন্সল্যান্ড ও নিউ সাউথ ওয়েলসের মধ্যে একটি লিংকও থাকছে।
এটিকে একটি 'ট্রানজিশন' চুক্তি বলা হয়েছে, সেই সাথে এটি নিউ সাউথ ওয়েলসের মধ্য-পশ্চিম অঞ্চলে একটি রিনিউএবল এনার্জি জোন নির্মাণ এবং রাজ্যের অন্যান্য স্থানে নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প স্থাপনে ফেডারেল সরকারের ফান্ডিং আরো জোরদার করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চুক্তির ফলে বিদ্যুতের দাম এবং নিঃসরণ কমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে এবং গ্যাস ব্যবহারের মাধ্যমে সিস্টেমে আরো বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হবে।
প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, এনার্জি উৎপাদনে রাজ্য এবং ফেডারেল সরকারের মধ্যে ঐক্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মিজ বেরেজিকলিয়ান বলেন, গ্যাস সরবরাহ নির্ভর করবে সান্তোস নাড়াবরি গ্যাস প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদনের পর, কিন্তু পোর্ট কেম্ব্ল্যা এবং নিউক্যাসলকেও বিকল্প ভাবা হচ্ছে।
তবে এই চুক্তি মাউন্ট পাইপার স্টেশনে কয়লা সরবরাহে বাধা দূর করতে নিউ সাউথ ওয়েলস সরকারকে চাপে ফেলবে, সেখানে শীঘ্রই উৎপাদন শুরু হবে এবং ২০৪২ সাল পর্যন্ত চলবে।
মি. মরিসন বলেন, কিছু অর্থ ব্যয় হবে কোল ইনোভেশন প্রকল্পে, এতে দেখা হবে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং মাইনিং দূষণ কমাতে পারে কিনা।
মিজ বেরেজিকলিয়ান বলেন, এই চুক্তির বিষয়গুলো স্বচ্ছ।
প্রধানমন্ত্রী আবারো কার্বন ট্যাক্সের ধারণাটি বাতিল করেছেন এবং নিঃসরণ লক্ষমাত্রা অর্জনে এবং নিঃসরণ কমাতে তার মন্ত্রটি আবারো উচ্চারণ করেছেন।
কিন্তু, বিরোধী নেতা এন্থনি আলবানিজি বলেন, সরকার ক্লাইমেট পলিসির বিষয়ে নতুন কিছুই দিতে পারে নি।
ফেডারেল সরকার ন্যাশনাল এনার্জি প্লান এগিয়ে না নিয়ে বরং অন্যান্য রাজ্যগুলোর সাথে একই ধরনের চুক্তির পরিকল্পনা করছে।
সম্ভবত সাউথ অস্ট্রেলিয়া তালিকার পরবর্তী লক্ষ্য, যেখানে প্রিমিয়ার স্টিভেন মার্শাল ২০৫০ সালের মধ্যে কীভাবে জিরো এমিশনের লক্ষমাত্রা অর্জন করা সম্ভব তার একটি পরিকল্পনা অবমুক্ত করবেন।
ক্লিন এনার্জি কাউন্সিলের নতুন এক বিশ্লেষণে দেখা গেছে রিনিউয়েবল এনার্জি প্রজেক্টে বড়ো ধরনের বিনিয়োগ অনেক কমে গেছে।
২০১৮ সালে ৫১ টি প্রকল্পে ১০.৭ বিলিয়ন ডলার থেকে কমে গত বছর ২৮ টি প্রকল্পে ৪.৫ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে ঠেকেছে।
প্রতিবেদনটি বাংলায় শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।