সম্প্রতি ন্যাশনাল কেবিনেট মিটিংয়ের পর প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, অস্ট্রেলিয়া সরকার কোভিড ১৯-এর একটি তৃতীয় ভ্যারিয়েন্ট খুব গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে, এটি ব্রাজিল এবং জাপানে ছড়িয়েছে, সেইসাথে তারা ভ্যাকসিনের অগ্রগতিও পর্যবেক্ষণ করছে।
নোভাভেক্স নামক মাল্টি-বিলিয়ন ডলারের যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যাকসিন উৎপাদক প্রতিষ্ঠান সিডনির একটি কোম্পানিকে মনোনীত করেছে, যাতে এটি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন অনুমোদন নিশ্চিত করে এবং অস্ট্রেলিয়ায় বিতরণের জন্য পরিকল্পনা করে।
নোভাভেক্স-এর সাথে ৫১ মিলিয়ন ডোজের একটি চুক্তি হয়েছে, এটি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র এবং মেক্সিকোতে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, কোভিড ভ্যাকসিন হাতে পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে অনুমান করা যায় না, এবং এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে থেরাপিউটিক গুডস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।
মিঃ মরিসন বলেন, বর্তমানে প্রবীণ নিবাসগুলোতে থাকা এবং কাজ করার জন্য ভ্যাকসিনেশন বাধ্যতামূলক নয় বা এমন কোন পরিকল্পনাও হয়নি।
এদিকে ফেডারেল সরকার বলেছে তারা প্রবীণনিবাস কর্মীদের কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন নিতে বাধ্য করবে না।
ডেপুটি চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডঃ মাইকেল কিড বলেন, প্রবীণনিবাস কর্মীদের কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন নিতে উৎসাহিত করা হবে, তবে এটি হবে ঐচ্ছিক, এমনটাই বলা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী ন্যাশনাল কেবিনেট মিটিংয়ে আন্তর্জাতিক যাত্রী আগমনের ক্যাপ নিয়েও কথা বলেন। বর্তমান আন্তর্জাতিক যাত্রী আগমনের যে সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে, তার কোন পরিবর্তন হবে না আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত।
ঐসময়ের পর সরকার পরিকল্পনা করবে এবং অস্ট্রেলিয়ান যাত্রী যারা আসবে তাদের নেগেটিভ কোভিড ১৯ টেস্ট রেজাল্ট নিয়ে আসতে হবে।
সরকার হোটেল কোয়ারেন্টিন সিস্টেম থেকে চাপ কমাতে চায়, যাতে আরো অস্ট্রেলিয়ানরা দেশে ফিরতে পারে।
অন্তত ৩৯,০০০ অস্ট্রেলিয়ান এখনো বিদেশে আটক পড়েছে, এবং ফিরে আসতে কোন ফ্লাইট পাচ্ছে না।
এদিকে প্রায় ১৫০০ মৌসুমী কর্মীকে প্যাসিফিক আইল্যান্ড থেকে ভিক্টোরিয়ায় ঢুকতে দেয়া হবে, এ নিয়ে টাসমানিয়ার সাথে একটি চুক্তি হয়। ওই কর্মীরা টাসমানিয়ান সরকারের অধীনে দুসপ্তাহের কোয়ারেন্টিনে থাকবে, এরপর তারা ফার্মের কাজে নিয়োজিত হবে। টাসমানিয়ান প্রিমিয়ার পিটার গুটওয়িন বলেন, তার সরকার ওই কর্মীদের জন্য মেলবোর্নের হোটেল কোয়ারেন্টিনের খরচ দেবে।
কোভিড ১৯ সংক্রান্ত আরো হালনাগাদ স্বাস্থ্য তথ্য ও সহায়তা কি আছে তা আপনার ভাষায় জানতে ভিজিট করুন sbs.com.au/coronavirus.
আরো দেখুন: