মূল দিকগুলো
- একটি বেনামি চিঠির কারণে লেবার পার্টি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নুরুল খানের প্রার্থিতা থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করেছে
- লেবার পার্টির সমর্থন না থাকলেও নুরুল খানের প্রার্থীতা এখনও বৈধ
- ভিক্টোরিয়ায় লিবারেল পার্টি থেকে আপার হাউজের একই আসন থেকে প্রার্থী হয়েছেন আরেক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত গোলাম হক
২৬ নভেম্বর ভিক্টোরিয়ায় স্টেট নির্বাচনে আপার হাউজ বা লেজিসলেটিভ কাউন্সিলে ওয়েস্টার্ন মেট্রোপলিটান আসনে প্রার্থী হয়েছেন বাংলাদেশি অস্ট্রেলিয়ান নুরুল খান।
শুরুতে তিনি অস্ট্রেলিয়ান লেবার পার্টি থেকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। কিন্তু, পরবর্তীতে লেবার পার্টি তাদের সমর্থন প্রত্যাহার করে।
এ বিষয়ে নুরুল খান বলেন, সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে বেনামে এবং ছদ্ম্যনাম ব্যবহার করে কিছু অভিযোগ তোলা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে লেবার পার্টি তাদের সমর্থন তুলে নেয়।
"এটা নিশ্চিত করা হয়েছে, ১২ তারিখের একটা ইমেইলের মাধ্যমে, যেখানে কনফার্ম করেছে যে লেবার থেকে আমি ডিস্-এনডোর্সড, বাট মাই ক্যান্ডিডেচার ষ্টীল ভ্যালিড।"
নুরুল খান আরও দাবি করেন যে, লেবার পার্টি তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে তাকে সমর্থন করা প্রত্যাহার করে। তবে, তারা এসব অভিযোগের সত্যাসত্য নির্ণয়ে কোনো উদ্যোগ নেয় নি, বলেন তিনি।
তার প্রতি লেবার পার্টির সমর্থন প্রত্যাহারের কোন সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করা হয়েছে কীনা এ প্রসঙ্গে মি. খান বলেন, শেষ চিঠিতে কারণ উল্লেখ করা না হলেও এর আগের একটি চিঠিতে এই বেনামি চিঠির কথা বলা হয়েছিল।
"শেষ চিঠিতে যেটাতে আমাকে ডিস্-এনডোর্স করা হয় সেটাতে কোন কারণ উল্লেখ করা হয়নি, এর আগে ওরা আমাকে একটা চিঠি দিয়েছিল, যে চিঠিতে বলা হয়েছিল যে, আ নাম্বার অফ এলিগেশন করা হয়েছে একটা ইমেইল আইডি থেকে এবং তারা এটা জানে যে, দে এডমিটেড, যে এটা ফেক আইডি, তো ঐখানে তারা বলেছে এই এলিগেশনগুলোর কথা।"
Labor Party withdraws support from Bangladeshi-origin Nurul Khan's candidacy. Credit: Nurul Khan/ Facebook
"তাদের আমি জিজ্ঞাসা করেছি যে, ডু ইউ হ্যাভ প্রুফ - না। এবং আমি এটাও জিজ্ঞাসা করেছি যে, ডিড ইউ কন্টাক্ট এনি ওয়ান অফ দা লিস্টেড পারসন - না। তো, আন্ডার হোয়াট ব্যাসিস, তোমরা আমাকে উইথড্র করতে বলতে বলছ? তখন তারা আমাকে বলে যে, মে ইট অল ফলস, বাট ফর দা ইন্টারেস্ট অফ দা পার্টি, যে আমরা তোমাকে রিকোয়েস্ট করছি উইথড্র করো, ইনিশিয়ালি দা কনভার্সেশন ওয়াজ দ্যাট, তো আমি বলেছি যে নো, তুমি আমাকে একটা আনফেয়ার, আনফাউন্ডেড- একটা গ্রাউন্ডে যদি কিছু একটা করতে বলো, আই এম নট গোয়িং টু ডু দ্যাট, আই এম নট গোয়িং টু উইথড্র, সেখানে একটা রিজনেবল বেসিস থাকতে হবে।"
লেবার পার্টি তাদের সমর্থন তুলে নিলেও নুরুল খানের প্রার্থীতা এখনও বৈধ।
তিনি বলেন, ১০ (নভেম্বর, ২০২২) তারিখের দুপুর পর্যন্ত ছিল নমিনেশন উইথড্র করার টাইম। তো যখন আমি উইথড্র করি নাই, তখন তারা আমাকে ডিস-ইনডোর্সড করছে, ব্যালট পেপারে লেখা আছে আমার নাম, অস্ট্রেলিয়ান লেবার পার্টি। ভেরি কনফিউজিং ফর দ্য ভোটার। সো, আমার প্রত্যাহার করার কিছু নাই, ঐটা ঐভাবেই থাকবে। কিন্তু আমি আর পার্টিতে নেই।
মি. খান বলেন, তিনি যদি বিজয়ী হন, তাহলে স্বতন্ত্র সদস্য হিসেবে কাজ করবেন।
"ধরেন আমি যদি উইন করি, আমি যদি ভোট পেয়ে আই উইল বি ট্রিটেড এজ এন ইন্ডিপেন্ডেন্ট ক্যান্ডিডেট।"
আরো দেখুন
নির্বাচন ২০২২: দি লেবার পার্টি
পার্টির সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ বা এর বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা নেবেন কীনা এ প্রসঙ্গে মি. খান বলেন, আমি এই পার্টির কোন বিষয়ে আর আগ্রহী নই, কারন সদস্য হিসেবে লেবার পার্টি থেকে আমার জন্য কোন 'প্রটেকশন' নেই।
'এতে শুধু আমার বিরুদ্ধেই অবিচার করা হয়নি, কমিউনিটির প্রতিও অবিচার করা হয়েছে,' বলেন তিনি।
"আমি নিজেই পার্টি থেকে রিজাইন করেছি...রিজাইন করেছি এজ এ প্রোটেস্ট, হ্যা, এজ এ প্রোটেস্ট ফর ইনজাস্টিস, এন্ড ইনজাস্টিস টু মাই হোল কমিউনিটি এজ ওয়েল।"
বেনামী চিঠিতে নুরুল খান মানিকের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে সে সম্পর্কে তিনি বলেন, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন, এগুলো আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই না, আমি আসলে নোংরা রাজনীতির শিকার।
"বেনামি চিঠি দিয়ে যে কেউ এধরণের বানোয়াট অভিযোগ করতে পারে। কিন্তু পার্টি কোন প্রমাণ ছাড়াই আমাকে ডিস্-এনডোর্স করেছে।"
মি. খান দাবী করেন, "ওই চিঠিতে যেসব ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়েছে যারা আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পর্কে জানে বলে বলা হয়েছে, তাদের নাম ব্যবহারের ক্ষেত্রে তাদের কোন অনুমতি নেয়া হয়নি।"
এ বিষয়ে লেবার পার্টির ভিক্টোরিয়া ব্রাঞ্চের সঙ্গে ফোনে ও ইমেইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাদের কোন প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
ওয়েস্টার্ন মেট্রোপলিটান আসনে লেবার পার্টির আরো চারজন প্রার্থী রয়েছে, তবে নুরুল খানের পরিবর্তে অন্য কোনো প্রার্থী দেয়া হয় নি।
ওয়েস্টার্ন মেট্রোপলিটন রিজিওনের আসনে আপার হাউজে আরো যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের মধ্যে আছেন লেবার পার্টি থেকে লিজি ব্ল্যান্ডথর্ন, ইনগ্রিড স্টিট, সিজার মেলহেম, কিউক লাম; লিবারেল পার্টি থেকে মইরা ডিমিং, ট্রুয়ং লু, গোলাম হক, মানিষ প্যাটেল, এবং লুং ওয়াকার।
লিবারেল পার্টির প্রার্থীদের মধ্যে গোলাম হক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত।
প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।
এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার