গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো
- প্রতিবছর অন্তত চার লাখ অস্ট্রেলিয়ান তাদের আবাসস্থল পরিবর্তন করে থাকে।
- অভিবাসীদের কোন আর্থিক সমস্যা এড়াতে 'বাসা পরিবর্তনের জন্য আলাদা করে বাজেট' করা প্রয়োজন।
- আপনি যখনই স্থান পরিবর্তন করবেন, তখনই আপনার বর্তমান ঠিকানা হালনাগাদ করুন।
- অনেক সময় অভিবাসীরা ভালো সাংস্কৃতিক যোগাযোগ এবং কমুনিটির সহায়তা পেতেও বাসস্থান পরিবর্তন করে।
এক স্টেট থেকে আরেক স্টেটে যাওয়ার এই প্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে। অস্ট্রেলিয়ান ব্যুরো অফ স্ট্যাটিসটিক্স থেকে দেখা যায় এই প্রবণতা অস্ট্রেলিয়ায় জন্ম নেয়া নাগরিকদের থেকে বিদেশে জন্ম নেয়া অভিবাসীদের মধ্যেই বেশি।
নতুন কোন দেশে থিতু হওয়ার প্রক্রিয়াটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। তাই অন্য কোন স্টেটে নতুন করে স্থায়ী হতে চাওয়ার মানে হচ্ছে একই কাজ দুবার করা।
সেটেলমেন্ট সেবা দাতা সংস্থা পাবলিক অ্যাফেয়ার্স ম্যানেজার লরি নোয়েল বলেন, অভিবাসীরা যখন অস্ট্রেলিয়ায় আসেন তাদের আগে থেকেই কোথায় থাকবেন এ ব্যাপারে আরো ভেবে নেয়া উচিত।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির আগে কিছু গবেষণা করে নেয়া ভালো কারণ, সার্টিফিকেট, পড়ার বিষয় এবং স্কুল টার্মের মধ্যে পার্থক্য আছে।লরি নোয়েল, এএমইএস অস্ট্রেলিয়ার পাবলিক অ্যাফেয়ার্স ম্যানেজার
আপনি যখন স্থান পরিবর্তন করবেন তখন চেকলিস্টে কিছু বিষয় থাকতে হবে, যেমন সরকারি দপ্তর, ব্যাংক, আর টি এ এবং অন্যান্য যেসব সার্ভিস আপনি নিয়ে থাকেন সেখানে ঠিকানা পরিবর্তনের বিষয়ে জানানো।
মি. নোয়েল বলেন, এ কাজগুলো অনলাইনে এখন খুব সহজেই করা যায়।
Flat lay of real estate concept ***These documents are our own generic designs. They do not infringe on any copyrighted designs. Source: iStockphoto / Rawpixel/Getty Images/iStockphoto
আপনার তথ্য হালনাগাদ করুন
এটা মনে রাখতে হবে যে স্টেট ও টেরিটরিগুলোর তাদের নিজস্ব নিয়ম কানুন থাকে - যেমন মোটর গাড়ির রেজিস্ট্রেশন এবং ড্রাইভারস লাইসেন্স পরিবর্তন বা ট্রান্সফার, এজন্য আপনাকে ফী দিতে হতে পারে।
এছাড়া অস্ট্রেলিয়ায় ভোট দেয়া বাধ্যতামূলক। আপনি যখনই স্থান পরিবর্তন করবেন, তখনই আপনার বর্তমান ঠিকানা হালনাগাদ করুন। তা না হলে আপনার নাম বাদ দেয়া হতে পারে এবং আপনি হয়তো ভোট দিতে পারবেন না।
শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে জানুন
অস্ট্রেলিয়ায় একটা ন্যাশনাল কারিকুলাম আছে, আপনি যেখানেই বাস করুন বা যে স্কুল সিস্টেমের অধীনে থাকুন না কেন তা আপনাকে অনুসরণ করতে হবে।
এ ক্ষেত্রে এএমইএসের লরি নোয়েল বলেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির আগে কিছু গবেষণা করে নেয়া ভালো কারণ, সার্টিফিকেট, পড়ার বিষয় এবং স্কুল টার্মের মধ্যে পার্থক্য আছে।
Credit: Ariel Skelley/Getty Images
কমিউনিটি ফোরাম ছাড়াও বিভিন্ন সেটেলমেন্ট সার্ভিস এবং মাইগ্রান্ট রিসোর্সেস সেন্টারগুলোও অভিবাসীদের সাহায্য করে থাকে।লরি নোয়েল, এএমইএস অস্ট্রেলিয়ার পাবলিক অ্যাফেয়ার্স ম্যানেজার
পল্লবী থাক্কর ইন্সুরেন্স সম্পর্কে আরো পরামর্শ দেন যে, বাড়ি পরিবর্তনের আগে স্টেট ভেদে প্রিমিয়াম কেমন হবে সে বিষয়ে খোঁজ নেয়া।
সহায়তা নেটওয়ার্ক বাড়ান
অনেক সময় অভিবাসীরা ভালো সাংস্কৃতিক যোগাযোগ এবং কমুনিটির সহায়তা পেতেও বাসস্থান পরিবর্তন করে।
পল্লবী থাক্কর বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাহায্যে তিনি ভালো পরামর্শ পেয়েছেন এবং ভারতীয় কমুনিটির সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পেরেছেন।
লরি নোয়েল বলেন, কমিউনিটি ফোরাম ছাড়াও বিভিন্ন সেটেলমেন্ট সার্ভিস এবং মাইগ্রান্ট রিসোর্সেস সেন্টারগুলোও অভিবাসীদের সাহায্য করে থাকে।
কোয়ারেন্টাইন আইন সম্পর্কে জানুন
এটা অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে অস্ট্রেলিয়ার কোয়ারেন্টাইন আইনগুলো বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কঠোর এবং এক স্টেট থেকে আরেক স্টেটে গেলে তা মানতে হবে। তাই ক্ষতিকর উপাদান থাকতে পারে বলে গাছ, প্রাণীজ উপকরণ, এবং কৃষি উপকরণ সাথে না নেয়াই উত্তম।
সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ার বাটনে ক্লিক করুন।
এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা অডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত।