অ্যালেক্স রিভচিন একজিকিউটিভ কাউন্সিল অব অস্ট্রেলিয়ান জিউরি-র কো-সিইও। তিনি জায়োনিজম নিয়ে একটি বইও লিখেছেন।
তার মতে, জায়োনিজমের ধারণাটি উনিশ শতকের শেষের দিকে আবির্ভূত হয়েছিল এবং বিংশ শতাব্দীতে পূর্ণ রূপ নিয়েছে। এটি আংশিকভাবে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু হিসাবে বিশ্বজুড়ে ইহুদিদের নিপীড়নের একধরনের প্রতিক্রিয়া।
ইসরায়েল রাষ্ট্র ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিন অঞ্চলের একটি অংশে তার প্রতিষ্ঠা ও স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
সবসময়ই এর বিপক্ষে মত ছিল অনেকের, এবং এখনও এমন অনেকেই আছে যারা বিশ্বাস করে ইসরায়েলের অস্তিত্ব থাকা উচিত নয়।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ফিলিস্তিনের গাজা শহরে হামলা চালিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উঠেছে ইসরায়েল রাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে।
তবে মি. রিভচিন বলছেন,
ইসরায়েলের সঙ্গে ইহুদিদের সম্পর্ক গভীর ও নিবিড়।
তিনি বলেন, এই দৃঢ় সংযোগের কারণেই ইসরায়েলের সমালোচনা ইহুদিদের জন্য সঙ্কটপূর্ণ হতে পারে।
তারপরও তিনি বলছেন, ইসরায়েল রাষ্ট্রের সমালোচনা করা ইহুদিবিদ্বেষী অথবা অ্যান্টিজায়োনিস্ট নয়।
অস্ট্রেলিয়ান সেন্টার ফর জুইশ সিভিলাইজেশনের পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক ডেভিড স্লিউকি বলেন, ইহুদিবিদ্বেষকে ইসরায়েল-বিরোধী সমালোচনার ছদ্মবেশেও ব্যবহার করা যেতে পারে - 'ইহুদি' শব্দের পরিবর্তে 'জায়োনিস্ট' বা 'ইসরায়েলি' শব্দগুলি ব্যবহার করার মাধ্যমে।
তিনি আরও বলেন, জায়োনিজম, ইসরায়েল এবং অ্যান্টিসেমিটিজম নিয়ে বর্তমান বিতর্ক তাদের সম্প্রদায়কে এখন আরও বেশি কোণঠাসা করে ফেলছে।
অস্ট্রেলিয়ায় ঠিক কতজন ইহুদি নিজেদের জায়োনিস্ট হিসাবে পরিচয় দেয় তা জানা নেই, তবে বেশিরভাগ জরিপে দেখা যায় এই সংখ্যা শতকরা প্রায় ৭০ থেকে ৮০ ভাগ।
আবার অল্পসংখ্যক কিছু মানুষ রয়েছে যারা এই সংযোগ অনুভব করে না। তবে তাদের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান।
সারাহ শোয়াটর্জ একজন মানবাধিকার আইনজীবী। তার কাছে জায়োনিজমের সংজ্ঞা অন্যদের চেয়ে ভিন্ন।
মিজ শোয়ার্টজ বলেন,
আসলে অস্ট্রেলিয়ায় ইহুদিবিদ্বেষের উত্থানের একটি অংশে ইন্ধন জোগাচ্ছে এই জায়োনিজম ও ইহুদি পরিচয়ের সংমিশ্রণ।
সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ার বাটনে ক্লিক করুন