এবিবিসি'র বেশিরভাগ সদস্য এই এজিএম-এ উপস্থিত ছিলেন। সভায় বিগত বছরের আর্থিক তথ্য বিবরণী ও উল্লেখযোগ্য সাফল্য তুলে ধরা হয় এবং ২০২৩-২০২৫ সালের জন্য নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচিত করা হয়।
এজিএমের প্রথম অংশে, বিদায়ী চেয়ারপারসন আবু শাহদাত সরকার উল্লেখ করেন যে, ২০ শে মার্চ, ২০২১ তারিখে তার কমিটি ভূমিকা নেওয়ার পর থেকে সংগঠনটিকে একটি সম্মানজনক এবং গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা হিসাবে অবস্থান করার জন্য একটি ব্যতিক্রমী প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য।
সম্প্রতি, "বাংলাদেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) সেক্টরের সম্ভাবনা" বিষয়ক একটি সেমিনার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে ফোর সিজন হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়। এবিবিসি, এবিবিএফ ও বাংলাদেশ হাই কমিশন ক্যানবেরার সাথে যৌথ উদ্যোগে এই আয়োজন করা হয়। সিডনি-ভিত্তিক কিছু আইটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বিদেশ থেকেও ভার্চুয়ালি কিছু আইটি প্রতিষ্ঠান এই ইভেন্টে যুক্ত হয়েছিল।
বিদায়ী কোষাধ্যক্ষ, মোহাম্মদ হোসেন পূর্ণাঙ্গ আর্থিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
বিদায়ী কমিটির সাধারণ কাজ শেষ হওয়ার পর, চেয়ারপারসন কমিটি ভেঙে দেন এবং মিসেস ওয়েন্ডি ই লিন্ডসে, প্রিজাইডিং অফিসার জনাব অ্যান্থনি খৌরি এবং জনাব রফিকুল আলম খানের সহায়তায় একটি নতুন কমিটির নির্ধারনের জন্য নির্বাচন পরিচালনা করেন। নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্যাম্পবেলটাউন স্থানীয় এলাকার ডেপুটি মেয়র মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল এবং অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামের (এবিবিএফ) সভাপতি জনাব রতন খান।
নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি
সর্বসম্মতিক্রমে নতুন মেয়াদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ফয়েজ দেওয়ান। সহ-সভাপতি পদে আবু শাহদাত সরকার ও মোহাম্মদ শাহিনুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন। সম্পাদক মোতাসিম বিল্লাহ, সহ-সম্পাদক কাউন্সিলর সাজেদা আক্তার ও লিটন বাউল, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক কোষাধ্যক্ষ।
আট জন কার্যনির্বাহী সদস্য নিম্নরূপ নির্বাচিত হন যারা হলেন সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ, মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম, রবিন ফেরদৌস, সাজ্জাদ হক, হেমা জোয়ার্দার, সাদিক করিম, মোহাম্মদ ফাহাদ চৌধুরী, মোহাম্মদ ভূঁইয়া।
নবনির্বাচিত চেয়ারপার্সন জনাব ফয়েজ দেওয়ান তার বক্তৃতায় অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগকে আরো উন্নীত করার জন্য সকল স্টেক হোল্ডারদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি তাকে এবং কমিটিকে নির্বাচিত করার জন্য তাদের ওপরে আস্থা রাখার জন্য সকল সদস্যদের ধন্যবাদ জানান এবং এবিবিসি সংগঠনটিকে একটি সফল সংগঠন হিসেবে পরিচিতি দিতে সংশ্লিষ্ট সকলের অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা কামনা করেন এবং সংগঠনটিকে আরো সাফল্যমণ্ডিত করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
নবনির্বাচিত সম্পাদক, জনাব মোতাসিম বিল্লাহ উপস্থিত বিশিষ্ট অতিথিদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। যার মধ্যে আইনসভার প্রাক্তন সদস্য মিজ ওয়েন্ডি লিন্ডসে, যিনি নির্বাচন কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন, জনাব অ্যান্টনি খৌরি এবং জনাব রফিকুল আলম খান, যিনি প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, জনাব সাখাওয়াত হোসেন, বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল, যিনি নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করেন এবং জনাব মনিরুল ইসলাম, এবিবিসির সাবেক সভাপতি ও উপদেষ্টা ছিলেন।
জনাব বিল্লাহ বাংলাদেশের মহামান্য হাই কমিশনার জনাব আল্লামা সিদ্দিকীর কাছেও তার কৃতজ্ঞতা জানান, যিনি তার শুভেচ্ছা পাঠিয়েছেন। তিনি এবিবিসি এর প্রাক্তন সহকর্মীদের এবং এবিবিসি এর সকল নতুন এবং বিদ্যমান সদস্যদেরকে ধন্যবাদ জানান।
জনাব বিল্লাহ বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক লেনদেন বৃদ্ধিতে প্রচার ও সুবিধার্থে সহযোগিতার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
জনাব বিল্লাহ বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার প্রচার ও এবিবিসি ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন এবং উপস্থিত সকল সদস্যদেরকে আন্তরিকভাবে স্বাগতম জানান।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি