প্রণব মুখোপাধ্যায় দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবিটিসের রোগী ছিলেন। ১০ তারিখ হাসপাতালে ভর্তির পর ধরা পড়ে, তিনি কোভিড-১৯ আক্রান্তও হয়েছেন। সেই অবস্থাতেই ওই দিন রাতে দীর্ঘ অস্ত্রোপচার হয়। তার পর থেকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল প্রণববাবুকে। অস্ত্রোপচারের আগে, নিজের করোনা সংক্রমিত হওয়ার খবর টুইট করে জানিয়েছিলেন তিনিই। সেটাই ছিল প্রণব মুখোপাধ্যায়ের শেষ টুইট। গভীর কোমায় আচ্ছন্ন ছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। রবিবার থেকেই প্রণব মুখোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়। ফুসফুসে সংক্রমণের জেরে সেপটিক শকে আচ্ছন্ন ছিলেন তিনি। রবিবার থেকেই ফের ভারতরত্ন প্রণব মুখোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে।
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পরই বিভিন্ন মহল থেকে এসেছে শোকের বার্তা। শোকজ্ঞাপন করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর লিখেছেন, প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে দেশ শোক প্রকাশ করছে। তিনি আমাদের জাতির উন্নয়নের গতিপ্রকৃতিতে একটি অলঙ্ঘনীয় চিহ্ন রেখে গিয়েছেন। তিনি একজন পণ্ডিত,এক গৌরবময় রাষ্ট্রনায়ক, তিনি সমাজের সমস্ত স্তর থেকেই প্রশংসিত হয়েছিলেন।
শোকপ্রকাশ করেছেন ভারতের বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও। টুইটারে তিনি বলেছেন, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর খবরে শোকাহত। তাঁর মৃত্যুতে একটি যুগের অবসান হল। তাঁর পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং দেশের সব মানুষের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাাচ্ছি।
শোক জ্ঞাপন করে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং টুইট করে জানিয়েছেন, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের প্রয়ানে গভীরভাবে শোকাহত। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন। ভারতের ইতিহাস, কূটনীতি, জননীতি, প্রতিরক্ষা নিয়ে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের অপরিসীম জ্ঞান ছিল।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোকবার্তায় লিখেছেন, দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। এই মৃত্যুতে জাতীয় জীবনে এক অপূরণীয় শূন্যতার সৃষ্টি হল। ব্যক্তিগতভাবে প্রণববাবু আমাকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন এবং বিভিন্ন সময়ে আমি তাঁর ঘনিষ্ঠ ও মূল্যবান উপদেশ পেয়েছি। তিনি আমার জীবনে অভিভাবকতুল্য ছিলেন।
গত ৯ আগস্ট রাতে নিজের দিল্লির বাড়িতে শৌচাগারে পড়ে গিয়েছিলেন প্রণববাবু। পর দিন সকাল থেকে তাঁর স্নায়ুঘটিত কিছু সমস্যা দেখা দেয়। ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। এমআরআই স্ক্যানে দেখা যায়, তাঁর মাথার ভিতর রক্ত জমাট বেঁধে রয়েছে। এরপরই জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। কিন্তু অস্ত্রোপচারের পর অবস্থার উন্নতি হয় নি। ১৩ আগস্ট থেকে তিনি গভীর কোমায় চলে যান।
১৯৬৯ সাল থেকে সংসদীয় রাজনীতিতে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পথচলা শুরু। বছর তিনেক পরে, ১৯৭২ সালে প্রণব মুখোপাধ্যায় বাংলা কংগ্রেস ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন। ১৯৭৩ সালে প্রণব মুখোপাধ্যায় প্রথমবার দেশের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পান। তখন উপমন্ত্রী পদ ছিল, এখন আর সে পদ নেই, উঠে গিয়েছে। ১৯৭৩ সালে উপমন্ত্রী, ১৯৭৪ সালে রাষ্ট্রমন্ত্রী, আর ১৯৭৫ সালে স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী,বছর দুয়েকের মধ্যে ক্ষমতাবান হয়ে উঠছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়।
এর পরে, জরুরি অবস্থা এবং প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধী ও তাঁর পুত্র সঞ্জয় গাঁধীর আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন তিনি। এমনিতেই জরুরি অবস্থা গোটা দেশে নিন্দিত হচ্ছিল। যত দিন যাচ্ছিল,ইন্দিরা গাঁধী ততই বিতর্কের চক্রব্যূহে জড়িয়ে যাচ্ছিলেন। সঞ্জয় গাঁধী সম্পর্কে জনমানসে আরও সাংঘাতিক প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছিল। সেই সময়টাতেই ইন্দিরা গাঁধী আর সঞ্জয় গাঁধীর খুব ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠা প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পক্ষে আদৌ ইতিবাচক হয়েছিল কি না, সে বিষয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে। কিন্তু প্রণব মুখোপাধ্যায় সে সময়েই ক্ষমতার সর্বোচ্চ অলিন্দে ঘোরাফেরা শুরু করে দিয়েছিলেন। গাঁধী পরিবারের প্রতি আনুগত্যে অটল থাকাই প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পরবর্তী উত্থানকে আরও সুনিশ্চিত করেছিল।জরুরি অবস্থার পরে যে নির্বাচন হয়েছিল দেশে, ১৯৭৭-এর সেই নির্বাচনে ধরাশায়ী হয় কংগ্রেস। সেই বিরাট পরাজয়ের পরে অধিকাংশ বড় বড় কংগ্রেস নেতা ইন্দিরা গাঁধীকে ছেড়ে যান। কিন্তু প্রণব মুখোপাধ্যায় ছেড়ে যান নি। পরে বছর অর্থাৎ ১৯৭৮ সালে কংগ্রেস ভাগ হয়ে যায়। কিন্তু প্রণব মুখোপাধ্যায় তখনও ইন্দিরা গাঁধীর পাশে ছিলেন। ১৯৮০ সালেই দেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছিলেন যিনি,পরবর্তী তিন-সাড়ে তিন দশক সক্রিয় রাজনীতিতে বিচরণ করার পরেও সেই প্রণব মুখোপাধ্যায় ঐ সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড পর্যায়েই থেকে গিয়েছিলেন।
Pranab Mukherjee died at the Army's Research and Referral Hospital in Delhi at the age of 84. Source: AAP Image/EPA/HARISH TYAGI
২০০৪-এর লোকসভা ভোটে কেন্দ্রে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের বিরুদ্ধে রাজ্যওয়াড়ি পাল্টা নির্বাচনী সমঝোতা গড়ায় মূল কারিগর ছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। ভোটে অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারের পতনের পরে কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ হয় ইউপিএ জোটের। আর সেই ভোটেই এর আগে ৫ বারের রাজ্যসভার সাংসদ প্রণব মুখোপাধ্যায় প্রথমবার লোকসভা ভোট প্রার্থী হয়ে জিতে আসেন। মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হয়ে সেই প্রথমবার জনতার ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হন তিনি।
অন্তরাত্মার ডাক শুনে সোনিয়া গাঁধী প্রধানমন্ত্রিত্ব গ্রহণে অপারগতার কথা জানানোর পরে আলোচনার কেন্দ্রে এসেছিল প্রণব মুখোপাধ্যায়ের নাম। কিন্তু কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেয় মনমোহন সিংহ-কে। দু’দশক পরে ফের প্রণব মুখোপাধ্যায় ফিরে যান তাঁর নাম্বার টু আসনে। ইউপিএ-র দু’টি মেয়াদে প্রতিরক্ষা, বিদেশ, অর্থমন্ত্রকের দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি,নানা গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক দায়িত্ব এমনকি, ভারত-মার্কিন পরমাণু চুক্তি রূপায়ণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন। ২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত দেশের অর্থমন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন কংগ্রসের নেতা প্রণব মুখোপাধ্যায় । ২০১২ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি পদে বসানো হয়েছিল তাঁকে। ২০১৯ সালে ভারতরত্নে ভূষিত হন তিনি।
এর আগে, ১৯৬৭ সালের বিধানসভা ভোটে বাংলা কংগ্রেসের প্রচারে পথে নেমেছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। খুব দ্রুতই বাংলা কংগ্রেসের প্রধান তথা রাজ্যের তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী অজয় মুখোপাধ্যায়ের নজরে পড়ে যান। প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বাবা কামদাকিঙ্করের সঙ্গে অজয়বাবুর ঘনিষ্ঠ পরিচয় ছিল। যদিও তাঁকে কংগ্রেস ছাড়িয়ে নিজের দলে আনতে পারেননি অজয়বাবু। ১৯৬৯ সালের বিধানসভা ভোটে রাজ্যের নানা প্রান্তে প্রচারে পাঠানো হয় প্রণব মুখোপাধ্যায়কে। রাজ্যসভার সাংসদ সাংসদ নির্বাচিত হন প্রণব মুখোপাধ্যায়।
সংসদীয় রাজনীতির ইনিংস শুরু করার পরেই প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধীর নজরে পড়ে গিয়েছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। তার পরে তাঁকে আর পিছনে ফিরে চাইতে হয় নি। ১৯৭১ সালে, প্যারিসে ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের সভায় যে ভারতীয় প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের স্বাধীনতার হয়ে সওয়াল করেছিল, ৩৬ বছরের প্রণব মুখোপাধ্যায় সেই দলে ছিলেন। তখনও তিনি বাংলা কংগ্রেসেই আছেন। ১৯৭৫ সালে কংগ্রেসের টিকিটে দ্বিতীয়বার রাজ্যসভার সদস্য হন প্রণব মুখোপাধ্যায়। তার আগে, ১৯৭৩ সালে শিল্প প্রতিমন্ত্রী হিসেবে প্রথম বার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় প্রবেশ। তত দিনে তাঁর পুরনো দল বাংলা কংগ্রেসও মিশে গিয়েছিল কংগ্রেসে।
প্রণব মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৩৫ সালের ১১ ডিসেম্বর। বীরভূম জেলার কীর্ণাহারের অদূরের মিরিটি গ্রামে। বাবা কামদাকিঙ্কর ছিলেন বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং কংগ্রেস নেতা। জেলা কংগ্রেস সভাপতি, এআইসিসি সদস্য এবং পশ্চিমবঙ্গ বিধান পরিষদেরও সদস্য হয়েছিলেন। সে দিক থেকে দেখতে গেলে রাজনীতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের উত্তরাধিকার সূত্রেই পাওয়া। ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর পর্বের পরে মন দিয়েছিলেন আইনের ডিগ্রিতে। তবে আইনজীবীর পেশাকে বাছেননি কখনওই। ডাক ও তার বিভাগে করণিক এবং হাওড়ার বাঁকড়া স্কুলে শিক্ষকতা পর্বের পরে ১৯৬৩ সালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমতলার অদূরে বিদ্যানগর কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষকতায় যোগ দেন। ১৯৬৬ সালে, বিদ্যানগর কলেজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হরেন্দ্রনাথ মজুমদারের হাত ধরে, শুরু হওয়া রাজনৈতিক সফর প্রণব মুখোপাধ্যায়কে টেনে নিয়ে যায় অনেক দূরের অন্য ঠিকানায়।
১৯৮০ সালের লোকসভা ভোটে দেশজুড়ে প্রবল ইন্দিরা হাওয়ার মধ্যেও বোলপুর কেন্দ্রে সিপিএমের কাছে হেরেছিলেন তিনি। প্রণব নিজেই পরে জানিয়েছিলেন, সে সময় ইন্দিরা তাঁকে লোকসভা ভোটে প্রার্থী হতে নিরুৎসাহী ছিলেন। কারণ, তার বছর তিনেক আগেই ১৯৭৭ সালের লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের দুর্গ মালদহে হেরেছিলেন প্রণব। পরামর্শ না শোনার জন্য প্রণব মুখোপাধ্যায়কে মৃদু ভর্ৎসনাও করেন দলনেত্রী। কিন্তু নয়া মন্ত্রিসভায় বাণিজ্য মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়ার পাশাপাশি, রাজ্যসভায় কংগ্রেসের দলনেতার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৮২ সালে ফের উত্থান। এ বার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে প্রণব মুখোপাধ্যায় হন ইন্দিরা গাঁধী ক্যাবিনেটের, নাম্বার টু। প্রণবের সময়ই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরের দায়িত্ব পেয়েছিলেন মনমোহন সিংহ।
ইন্দিরা গাঁধী নিহত হওয়ার পরে দ্রুত কংগ্রেসের অন্দরে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। রাজীব গাঁধীর সময় তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি করে পাঠানো হয়। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই হাইকম্যান্ডের সঙ্গে সঙ্ঘাতের জেরে দল থেকে বহিষ্কৃত হন। রাষ্ট্রীয় সমাজবাদী কংগ্রেস নামে নতুন দল গড়ে ১৯৮৭ সালের বিধানসভা ভোটে বহু আসনে প্রার্থী দাঁড় করিয়ছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। তাঁদের একজনও জিততে পারেন নি। কিন্তু কয়েক ডজন আসনে ভোট কেটে কংগ্রেস প্রার্থীদের হার সুনিশ্চিত করেছিলেন।
পরে পি ভি নরসিংহ রাওয়ের সময় প্রথমে যোজনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রণব মুখোপাধ্যায়কে। অর্থমন্ত্রী মনমোহন সিংহের আর্থিক সংস্কার নীতি রূপায়ণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। দু’বছর পরে বাণিজ্য মন্ত্রকের দায়িত্ব দিয়ে প্রণব মুখোপাধ্যায়কে ক্যাবিনেটে ফিরিয়েছিলেন পি ভি নরসিংহ রাও। ১৯৯৫ সালে বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্বও দিয়েছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়কে। ১৯৯৬ সালের লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের আসন সংখ্যা ২৩২ থেকে নেমে এসেছিল ১৪০-এ। ভোটে ভরাডুবির দায় নিয়ে নরসিংহ রাও কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরে তাঁর সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের নাম উঠে এসেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সভাপতি হয়েছিলেন সীতারাম কেসরী।
দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক, প্রশাসনিক, সাংবিধানিক নানা দায়িত্ব পালন শেষে বিদায় নিয়েছিলেন সেসব পদ থেকে। তবু অভিভাবকের মতো আশ্রয় হয়ে ছিলেন দলমত নির্বিশেষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বের কাছে। কিন্তু এবার সব ছেড়ে চিরবিদায় নিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়।