বৃহস্পতিবার রাজস্থানে আজমেঢ় শরিফ দরগা পরিদর্শনে যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তার আগে যাওয়ার পথে জয়পুর বিমানবন্দরে নামেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে জয়পুর বিমানবন্দরে স্থানীয় সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে বিশেষ অনু্ষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। বিমান থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নামতেই শিল্পীরা নাচতে শুরু করেন।
আধিকারিকদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করতে করতে শিল্পীদের দিকে এগিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সৌজন্য বিনিময় পর্ব শেষ হলে তিনি শিল্পীদের সঙ্গে নাচের তালে পা মেলাতে শুরু করেন। শূন্যে হাত তুলে নাচতে দেখা যায় তাঁকে।
অন্যদিকে, আজমেঢ় শরিফ দরগায় গিয়ে বিশেষ প্রার্থনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর আজমেঢ় শরিফ প্রদক্ষিণ করেছেন তিনি।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ, জনগণ এবং সমগ্র মুসলিম উম্মাহর উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করে নফল নামাজ ও মোনাজাত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুফি সাধক হজরত মঈনুদ্দিন চিশতি (রহ.) মাজার খাজা গরিবে নওয়াজ দরগাহ শরিফে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করেছেন এবং কিছু সময় অবস্থান করেছেন। পরে শেখ হাসিনা আজমির দরগাহ শরিফের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু, প্রতিবেশী বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে কেন ডাকা হয় নি, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতায় তৃণমূল কংগ্রেসের এক সভায় তিনি বলেছেন, পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে কিছু বলতে চান না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক খুব ভাল। এই প্রথম দেখলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এলেন; কিন্তু, বাংলা বাদ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যে তাঁর পুজো বা ইদের উৎসবে উপহার দেওয়ার সম্পর্ক, তা উল্লেখ করে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নাম উল্লেখ না করে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এত রাগটা কিসের? এত গুস্সা কিঁউ? বড়া বড়া বাবু লোগো কো ইতনা গুস্সা কিউ হ্যায়! এর পরে অতীতের কয়েকটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ তুলেছেন, শিকাগো থেকে আমন্ত্রণ পেলেও তাঁকে আটকে দেয় কেন্দ্র সরকার। চীনেও যেতে দেওয়া হয় নি। এ নিয়ে তাঁর যে কোনও আক্ষেপ নেই তা বুঝিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বাংলায় ঘুরলেই সারা বিশ্বে ঘোরা হয়ে যাবে।
অন্যদিকে, দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির পরিবারের সদস্যরা। নয়াদিল্লির আইটিসি মৌর্য হোটেলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তারা। বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে পারিবারিক বন্ধনে আবদ্ধ প্রণব মুখার্জির পরিবার। প্রণব মুখার্জি ও তার স্ত্রী শুভ্রা মুখার্জি সম্প্রতি প্রয়াত হয়েছেন, কিন্তু তাঁর পরিবারের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পর্ক এখনো অটুট রয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় ভারত সফরে থাকা শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে যান তাঁরা।
পরিবারের পক্ষ থেকে প্রণব মুখার্জির ছেলে প্রাক্তন সাংসদ অভিজিৎ মুখার্জি ও মেয়ে শর্মিষ্ঠা মুখার্জি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। সাক্ষাতের পর প্রণব মুখার্জির মেয়ে শর্মিষ্ঠা মুখার্জী এক টুইট বার্তায় বলেছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে এসেছেন। দুই পরিবারের বন্ধন দীর্ঘদিনের। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলতেন, বাবা প্রণব মুখার্জি তাঁর পরিবারের অভিভাবক ছিলেন। এখন বাবার অনুপস্থিতিতে তিনি তাঁদের কাছে তাই। সৃষ্টিকর্তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দীর্ঘ, সুস্থ জীবন দান করুন।
চার দিনের ভারত সফর শেষে ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
READ MORE
নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: