কলকাতায় ৪র্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব

কোলকাতায় আয়োজিত হচ্ছে ৪র্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব

কলকাতায় আয়োজিত হচ্ছে ৪র্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব। Credit: Supplied by: Partha Mukhopadhyay

কলকাতায় শুরু হয়েছে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র উৎসব। যে উৎসবকে কেন্দ্র করে সেখানকার সিনে প্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ চোখে পড়েছে। এই উপলক্ষ্যে কলকাতায় এসেছিলেন জয়া আহসান, চঞ্চল চৌধুরীদের মতো বাংলাদেশের বিখ্যাত তারকারা।


কাঁটাতারের বেড়া কিংবা ভৌগলিক সীমারেখা বেঁধে দিলেও এপার বাংলা-ওপার বাংলার মানুষের হৃদয়ের বন্ধন কেউ আলাদা করতে পারবে না বলেছেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আটশ' বছরের পুরনো শহর কলকাতার রবীন্দ্র সদনে চতুর্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ড. হাছান মাহমুদ মৈত্রীর কথা বলেছেন।

বাঙালিরা অনেক মেধাবী উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভারতবর্ষ থেকে যারা নোবেল পুরষ্কার পেয়েছে তাদের অধিকাংশই বাঙালি। মেধায় বাঙালিরা বিশ্বের অনেককে পেছনে রেখে এগিয়ে যাচ্ছে। বাঙালির সংস্কৃতি বিশ্বের উন্নত সংস্কৃতিগুলোর অন্যতম।
১৯৫৭ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে বাংলাদেশে চলচ্চিত্র শিল্পের যাত্রা শুরু উল্লেখ করে বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এপার বাংলা-ওপার বাংলার শিল্প-সংস্কৃতি যেন কাঁটাতারের বেড়ায় আবদ্ধ হয়ে না যায়। শিল্পীদের ভৌগোলিক সীমারেখা নেই। উত্তম- সুচিত্রা শুধু ভারতের নয়, আমারা মনে করি তারা বাংলার, তারা এপার বাংলা-ওপার বাংলারও।

চতুর্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি, ইলেকট্রনিকস ও পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বলেছেন, দু’ দেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে যৌথ উদ্যোগ নিতে হবে। এপার বাংলা-ওপার বাংলার শিল্পীদের মধ্যে আসলে কোন দূরত্ব নেই।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ বলেছেন, বাংলা চলচ্চিত্রের দর্শক এখনো কমেনি। দর্শকদের উৎসাহিত করতে দুই দেশের চলচ্চিত্রকে আরো সুসংগঠিত করতে হবে।

বাংলাদেশের সংসদ সদস্য সাইমুম সারওয়ার কমল, কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনের উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস, প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। শেষে দু'দেশের শিল্পীরা যৌথভাবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। কলকাতার নন্দন ১,২ ও ৩ প্রেক্ষাগৃহে ২ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুর ১ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বাংলাদেশের ২৫টি চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী চলছে।
দুই বাংলার শিল্পী চঞ্চল চৌধুরী, জয়া আহসান, অনির্বান ভট্টাচার্য ও জয় সরকার চতুর্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে চঞ্চল চৌধুরী ছাড়াও গান পরিবেশন করেন টিনা রাসেল, মৌসুমী হোসেন, সাব্বির আহমেদ ও প্রিয়াঙ্কা বিশ্বাস।

উৎসবে প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে হাসিনা: আ ডটার্স টেল, বধ্যভূমিতে একদিন, একটি দেশের জন্য গান, মধুমতি পারের মানুষটি, শেখ মুজিবুর রহমান ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে খড়, ময়না, ট্রানজিট, কোথায় পাবো তারে, ফেরা, নারী জীবন, কাগজ খেলা এবং আড়ং।

উৎসবে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে গুণিন, হৃদিতা, বিউটি সার্কাস, হাওয়া, পরাণ, পায়ের তলায় মাটি নাই, পাপ পূণ্য, কালবেলা, চন্দ্রাবতী কথা, চিরঞ্জীব মুজিব, রেহানা মরিয়ম নূর, নোনাজলের কাব্য, রাত জাগা ফুল, লাল মোরগের ঝুঁটি, গোর, গলুই, গন্ডি, বিশ্ব সুন্দরী, রূপসা নদীর বাঁকে, শাটল ট্রেন, মনের মত মানুষ পাইলাম না, ন-ডরাই, কমলা রকেট, গহীন বালুচর ও ঊনপঞ্চাশ বাতাস।

সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ার বাটনে ক্লিক করুন।

এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: 

আমাদেরকে অনুসরণ করুন 

Share